Thank you for trying Sticky AMP!!

আটকে আছে আমদানি সিনেমা

‘জান্নাত’ ছবির পোস্টার, ‘পাঙ্কু জামাই’ ছবির পোস্টার

তথ্য মন্ত্রণালয় থেকে জানা গেছে, প্রযোজকদের কাছ থেকে এর মধ্যে চলচ্চিত্র রপ্তানির জন্য কোনো আবেদন জমা পড়েনি। কিন্তু প্রযোজকেরা বলছেন, প্রায় দু-আড়াই মাস আগেই রপ্তানির জন্য একাধিক ছবির আবেদন জমা দেওয়া হয়েছে মন্ত্রণালয়ে।

চলচ্চিত্র আমদানি–রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান এন ইউ ট্রেডার্স সূত্রে জানা গেছে, নিয়ম মেনেই গত বছরের ডিসেম্বর মাসের মাঝামাঝি পাংকু জামাই ছবিটি ভারতের কলকাতায় রপ্তানির জন্য তথ্য মন্ত্রণালয়ে আবেদন করা হয়। প্রায় আড়াই মাস হয়ে গেল, এখনো অনুমোদন পাওয়া যায়নি। এ ব্যাপারে প্রতিষ্ঠানটির কর্ণধার কামাল মোহাম্মদ কিবরিয়া বলেন, ‘আবেদন করার পর আমার জানামতে এসব বিষয়ে মন্ত্রণালয়ের শেষ মিটিং হয়েছে গত বছর ডিসেম্বরের শেষে। ওই মিটিংয়ে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।’ তিনি আরও বলেন, ‘এখান থেকে আমার ছবি রপ্তানি করে কলকাতার যে ছবি আমদানি করার প্রস্তুতি নিচ্ছি, অনুমোদন পেতে দেরি হলে সেই ছবি আরও পুরোনো হয়ে যাবে। পাইরেসি হওয়ারও আশঙ্কা আছে। নানা কারণে আমরা আরও পিছিয়ে যাচ্ছি। ক্ষতির মুখে পড়ব তখন।’

আমদানি-রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান ইন উইন এন্টারপ্রাইজের কর্ণধার ইফতেখারউদ্দিন নওশাদ জানান, ২০১৮ সালের ১২ নভেম্বর ফিফটি ফিফটি লাভ ও ২০১৯ সালের ৬ জানুয়ারি জান্নাত কলকাতায় রপ্তানির জন্য তথ্য মন্ত্রণালয় আবেদন করা হয়। নওশাদ বলেন, ‘অনেক আগেই আমি দুটি ছবি রপ্তানির জন্য আবেদন করেছি। এখনো অনুমোদনের চিঠি পাইনি। শুনেছি, এ ব্যাপারে এখনো কোনো মিটিংই হয়নি। অনুমোদন পেলে কলকাতার ছবি আমদানি করতে পারতাম। ছবির অভাবে তো সিনেমা হল বন্ধ হয়ে যাওয়ার অবস্থা।’

দুই প্রযোজকের তিনটি ছবি রপ্তানির আবেদন করার কথা বলা হলেও তথ্য মন্ত্রণালয় থেকে জানা গেছে, সেখানে এ ধরনের কোনো আবেদন পড়েনি। তথ্য মন্ত্রণালয়ের চলচ্চিত্র বিভাগের উপসচিব একরামুল হক সরকার বলেন, ‘আমার জানামতে, ছবি রপ্তানির জন্য কোনো আবেদন জমা পড়েনি। এ ধরনের আবেদন পেলে প্রক্রিয়া অনুযায়ী বৈঠকের মাধ্যমে অনুমোদন দিয়ে দিই।’ তবে তিনি জানান, প্রশাসনিক কর্মকর্তা কিছু কাজে বাইরে আছেন। তাঁর কাছে এ–সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য থাকতে পারে। এদিকে প্রযোজকেরা জানিয়েছেন, চলচ্চিত্র রপ্তানি করার জন্য সংশ্লিষ্টদের কাছে আবেদন গৃহীত হওয়ার নথি তাঁদের কাছে আছে।

বাংলাদেশের চলচ্চিত্র আমদানি-রপ্তানি নীতিমালায় কলকাতা থেকে একটি ছবি আমদানি করার জন্য আগে সেখানে একটি ছবি রপ্তানি করতে হবে। সে ক্ষেত্রে প্রথমে তথ্য মন্ত্রণালয়ের কাছ থেকে চলচ্চিত্র রপ্তানির অনুমোদন নিতে হয়।