Thank you for trying Sticky AMP!!

ইরানে শুটিংয়ে আহত অনন্ত জলিল

ইরানের হাসপাতালে অনন্ত জলিল

বাংলাদেশের চলচ্চিত্রের আলোচিত নায়ক অনন্ত জলিল সম্প্রতি ইরানে শুটিং করতে গিয়ে আহত হয়েছেন। জানা গেছে, ইরানের হেরাতের এক দুর্গম পাহাড় ও মরুভূমি এলাকায় অনন্ত জলিল তাঁর নতুন ছবি ‘দিন-দ্য ডে’র শুটিং করছিলেন। এ সময় উটের পিঠ থেকে পড়ে গিয়ে তিনি মারাত্মক আহত হন। তাঁকে দ্রুত স্থানীয় একটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু সেখানে চিকিৎসাব্যবস্থা অপ্রতুল থাকায় তাঁকে তেহরান থেকে ৩৪০ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থিত ইরানের তৃতীয় বৃহত্তম নগরী এসফাহনে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে প্রয়োজনীয় পরীক্ষার পর জানা গেছে, অনন্ত জলিল বুকের পাঁজরে মারাত্মক ব্যথা পেয়েছেন। তাঁকে দুই সপ্তাহের সম্পূর্ণ বিশ্রাম নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এর পর ‘দিন-দ্য ডে’ ছবির শুটিং স্থগিত রাখা হয়।

অনন্ত জলিলের আহত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ‘দিন-দ্য ডে’ ছবির ইরান অংশের মূল পরামর্শক ও উপদেষ্টা ড. মুমিত আল রশিদ। তিনি আরও জানান, আহত হওয়ার পর অনন্ত জলিল ঢাকায় ফিরে আসেন। দেশে ফেরার পর তাঁর বুকের ব্যথা আরও প্রকট আকার ধারণ করে। এরপর তাঁকে থাইল্যান্ডের বামরুনগ্রাদ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এখন সেখানে তিনি চিকিৎসকের নিবিড় তত্ত্বাবধানে আছেন।

অনন্ত জলিল। ছবি: ফেসবুক থেকে নেওয়া

বাংলাদেশ ও ইরানের যৌথ প্রযোজনার ছবিতে অভিনয় করছেন অনন্ত জলিল। ছবিটির বাংলাদেশ অংশের প্রযোজকও তিনি। গত ২৭ ফেব্রুয়ারি থেকে ইরানে ছবিটির শুটিং হচ্ছে।

ইরানের ফারাবি সিনেমা ফাউন্ডেশনের পরিচালক আলীরেজা তাবেশ এর আগে তেহরান টাইমসকে জানিয়েছেন, তাঁরা বাংলাদেশের সঙ্গে যৌথ প্রযোজনার এই ছবিটি করছেন। বাংলাদেশের আলোচিত চিত্রনায়ক ও চলচ্চিত্র প্রযোজক অনন্ত জলিলের সঙ্গে এ ব্যাপারে তাঁদের ইতিবাচক আলোচনা হয়েছে। তিনি বলেছেন, ‘বিশ্বের বিভিন্ন দেশে মুসলমানদের ওপর যে নির্যাতন হচ্ছে, তা-ই তুলে ধরা হবে ছবিতে। অনন্ত জলিল আমাদের সঙ্গে তাঁর ভাবনা আর পরিকল্পনা শেয়ার করেছেন। তাঁর এই ভাবনা একেবারেই এ সময়ের। ইসলাম নিয়ে এমন একটি ছবি নির্মাণ আমরা মনে করি খুবই জরুরি।’

ইরানের ফারাবি সিনেমা ফাউন্ডেশনের পরিচালক আলীরেজা তাবেশের সঙ্গে অনন্ত জলিল

গত বছর জুন মাসে ফারাবি সিনেমা ফাউন্ডেশনের সঙ্গে আলোচনার জন্য তেহরান যান অনন্ত জলিল। তখন তেহরান টাইমসকে তিনি বলেন, ‘দিন-দ্য ডে’ ছবির পুরো শুটিং তিনি ইরানে করতে চান। ইরানের সুন্দর আর নয়নাভিরাম স্থানগুলো এই ছবির জন্য খুবই প্রয়োজন। আর আলীরেজা তাবেশের সঙ্গে আলোচনার ব্যাপারে অনন্ত জলিল বলেন, ‘আমি আমার ভাবনা তাঁদের শুনিয়েছি। সব শুনে তাঁরাও আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। সিরিয়া, ইয়েমেনসহ বিশ্বের অনেক দেশে মুসলমানদের নির্যাতন করা হচ্ছে। এই বিষয়গুলো আমি ছবিতে তুলে ধরব।’