Thank you for trying Sticky AMP!!

কনা নাকি 'কনামনা'

কনা

 জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী কনার ভালো নাম দিলশাদ নাহার কনা হলেও পারিবারিক পরিমণ্ডলে তিনি আরও দুটি নামে পরিচিত। বাবা-মায়ের কাছে কনা নামটি কনুতে রূপান্তরিত হলেও বাচ্চাদের কাছে তাঁর নামটি আরও মজার—‘কনামনা’।
 মাত্র চার বছর বয়সেই গানের সঙ্গে পরিচিতি ঘটে তাঁর।
 মিরপুরের টাইনি টটস স্কুলে ভর্তি হওয়ার মধ্য দিয়েই কনার স্কুলজীবনের হাতেখড়ি।
 শিক্ষাজীবনে কনার কাছে গণিত বিষয়টা ছিল সাক্ষাৎ যমের মতো। সাময়িক পরীক্ষাগুলোতে অঙ্কের ফলাফল ১৭-১৮ নম্বরে ঘোরাঘুরি করলেও চূড়ান্ত পরীক্ষায় সেটা ৩৩-এ পৌঁছাত খুব কষ্ট করে। আর সে ৩৩ নম্বরকেই তাঁর কাছে নাকি ফার্স্টক্লাস নম্বর বলে মনে হতো।
 পড়াশোনায় গণিতের প্রতি ভয়াবহ রকমের ভীতি থাকলেও কনার কাছে জ্যামিতি ছিল খুব মজার ও সহজ একটি বিষয়। আর তাই হয়তো নিজের একটি অ্যালবামের নামও রেখেছেন জ্যামিতিক ভালোবাসা!
 কনার হাতেগোনা কয়েকজন প্রিয় শিক্ষকের একজন হলেন জনপ্রিয় অভিনেতা মোশাররফ করিম। একসময় একটি কোচিং সেন্টারে ইংরেজি ও বাংলার শিক্ষক মোশাররফ করিম কনার কাছে ইংরেজি বিষয়টাকে করে তুলেছেন সহজবোধ্য।
 ‘আমরা সবাই রাজা আমাদের এই রাজার রাজত্বে’ গানটি শেখার মধ্য দিয়েই কনার গানের ভুবনে পা রাখা। আনুষ্ঠানিকভাবে তার কণ্ঠে গাওয়া প্রথম গানটি ছিল ‘গ্রামছাড়া ওই রাঙা মাটির পথ’।
 জীবনের প্রথম কোনো গানের প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে এ শিল্পী দ্বিতীয় স্থান অর্জন করেন, আর তাও মাত্র পাঁচ বছর বয়সে।
 ছোটবেলায় স্থির করা জীবনের লক্ষ্যটা বড় হতে হতে অনেকের ক্ষেত্রেই পরিবর্তিত হয়ে যায়, কিন্তু কনা একটু ব্যতিক্রম। তাঁর আজীবনের স্বপ্ন একজন ‘রুনা লায়লা’ হওয়ার।
 একজন সুগায়িকা হয়ে এখন হয়তো অনেক ভক্তকেই তিনি অটোগ্রাফ দিয়ে থাকেন, কিন্তু মজার বিষয় হলো জীবনের প্রথম অটোগ্রাফটি নিতে গিয়ে এ শিল্পীকে বেশ বেগ পেতে হয়েছে। নীল রঙের ডায়েরিতে নেওয়া জীবনের প্রথম অটোগ্রাফটি তিনি পেয়েছিলেন স্বনামধন্য অভিনেতা ও বিজ্ঞাপন নির্মাতা আফজাল হোসেনের কাছ থেকে।
 মাত্র বছর কয়েক আগে একটি অনুষ্ঠানে অংশ নিতে যাওয়ার সময় গাড়ি দুর্ঘটনায় প্রায় প্রাণ হারাতে বসেছিলেন তিনি। দুর্ঘটনায় পতিত গাড়িটি তাঁকে নিয়ে রাস্তা থেকে ১৪ ফুট নিচে একটি গর্তে পড়ে যায়। কিন্তু অবিশ্বাস্য হলেও সত্যি, ঘটনার পরপরই প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে তিনি যথারীতি অনুষ্ঠানে অংশ নেন।
 আনন্দ প্রতিবেদক