Thank you for trying Sticky AMP!!

করোনা নিয়ে সিনেমা, উঠে এল বর্ণবাদও

করোনা ছবির পোস্টার। ছবি: সংগৃহীত

একটি ভবনের লিফটে আটকা পড়েছে ছয় ব্যক্তি। ভবনটির লোকজন করোনায় আক্রান্ত। আটকে পড়া ব্যক্তিদের মধ্যে এক চীনা নারী কাশছেন। সবাই ধরে নিয়েছেন, তিনি করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। ফলে অন্যরা এখন কীভাবে এর থেকে বাঁচবেন? ৮ মার্চ মুক্তি পাওয়া ট্রেলারে এটুকুই দেখানো হয়েছে।

করোনাভাইরাসকে কেন্দ্র করে তৈরি হচ্ছে কানাডীয় থ্রিলার করোনা। ছবিটির স্লোগান ‘ফিয়ার ইজ আ ভাইরাস’ বা ভয় একটি ভাইরাস। কানাডিয়ান-পার্সিয়ান নির্মাতা মোস্তফা কেশভারির এ ছবিতে লিফটে আটকা পড়া কিছু মানুষের মধ্য দিয়ে এ সময়ে ভয়ংকর স্নায়ুচাপ ও অন্যান্য পারিপার্শ্বিক পরিস্থতি তুলে ধরেছেন। উঠে এসেছে বর্ণবাদের মতো বিষয়ও। কেন এই চলচ্চিত্র নির্মাণ করলেন? দ্য গার্ডিয়ান পত্রিকাকে উত্তরে কেশভারি বলেন, ‘আমার সিনেমার চরিত্রগুলোর মতো আমিও একবার লিফটে আটকা পড়েছিলাম। আর সেখানেই চীনা পর্যটকদের ওপর হামলার একটি খবর পড়েছিলাম। ওই মুহূর্তে আমার শিরদাঁড়া বেয়ে নেমেছিল ভয়ের স্রোত। সেই অনুভূতি আমার মনের কোথাও না কোথাও লেগে ছিল। সেখান থেকেই এ রকম একটি সিনেমা বানানোর আইডিয়া মাথায় আসে।’

থ্রিলার ঘরানার এ সিনেমার শুটিং হয় কানাডার ব্রিটিশ কলম্বিয়ার ভ্যাঙ্কুভারে। ইতিমধ্যে সম্পাদনার টেবিল পেরিয়ে মুক্তির অপেক্ষায়। তবে ছবিটির মুক্তি কবে দেওয়া হবে, সে বিষয়ে কোনো আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসেনি। ছবিটি যাতে বাস্তব মনে হয়, সে জন্য ক্যামেরা হাতে কেবল সিঙ্গেল টেকেই চলচ্চিত্রটির সম্পূর্ণ দৃশ্য ধারণ করা হয়েছে। এমনকি লিফটে আটকা পড়ার ভীতি এবং একই সঙ্গে করোনায় আক্রান্ত হওয়ার শঙ্কা কিংবা আতঙ্ক বস্তুনিষ্ঠভাবে ফুটিয়ে তুলতে নির্মাতা সংলাপে তাৎক্ষণিক পরিবর্তনও এনেছেন।

নির্মাতার ভাষায়, ‘প্রথমে এ ভাইরাস চীনে আঘাত হানলেও বর্তমানে তা সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ছে। ফলে এটি আর এখন শুধু একটি জাতির সমস্যা নয়। সমগ্র মানবজাতিকে এখন সম্মিলিতভাবে এ ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়তে হবে। যখন ভাইরাসটি আক্রান্ত করার বেলায় কোনো বৈষম্য করছে না, সেখানে আমরা কেন নিজেদের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করছি?’