Thank you for trying Sticky AMP!!

প্রদর্শনীর আগে উপস্থিত কলকাতায় বাংলাদেশের উপহাইকমিশনার এবং তথ্যচিত্রের নির্মাতা, গবেষক শাহরিয়ার কবির

কলকাতায় ‘হাকানের শান্তিযাত্রা’

বিশ্বব্যাপী যখন যুদ্ধ, ধর্মীয় বিদ্বেষ মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে, তখন শান্তির ‘বার্তা’ নিয়ে কলকাতায় এসেছে ‘হাকানের শান্তিযাত্রা’। তুরস্কের একজন বাঁশিবাদক ও লেখক হাকান কীভাবে সুফিবাদ ও কবি জালাল উদ্দিন রুমি থেকে লালনের দর্শনে আকৃষ্ট হয়েছেন, সেই তথ্যই এবার তুলে ধরা হয়েছে ‘হাকানের শান্তিযাত্রা’ প্রামাণ্য তথ্যচিত্রে। বাংলাদেশের সাংবাদিক ও তথ্যচিত্রটির পরিচালক শাহরিয়ার কবির সেসব তথ্য তুলে ধরে তৈরি করেছেন ‘হাকানের শান্তিযাত্রা’ তথ্যচিত্রটি। গতকাল বুধবার এই প্রথম তথ্যচিত্রটি প্রদর্শিত হয়েছে কলকাতা প্রেসক্লাবে।
গতকাল বিকেলে কলকাতা প্রেসক্লাবে ভারত–বাংলাদেশ মৈত্রী সমিতি আয়োজিত একটি অনুষ্ঠানে এ তথ্যচিত্র প্রদর্শিত হয়। তথ্যচিত্রটিতে মৌলবাদ ও মানবতার বাণী তুলে ধরা হয়। তথ্যচিত্রটি তৈরি করেন বাংলাদেশের শাহরিয়ার কবির। তথ্যচিত্রটিতে ধর্মনিরপেক্ষতা আর মৌলবাদবিরোধী শান্তির বাণী শোনানো হয়।

এ অনুষ্ঠানে শাহরিয়ার কবির বলেছেন, তথ্যচিত্রটি বাংলাদেশের পাশাপাশি কোরিয়া ও তুরস্কের পর কলকাতায় প্রথম প্রদর্শিত হলো বুধবার। বলেছেন, যখন তরুণ সমাজ উগ্র মৌলবাদের দিকে ঝুঁকছে, তখন বাঁশিবাদক হাকানের মতো সুফিবাদে আকৃষ্ট হচ্ছেন মানুষ।
শাহরিয়ার কবির বলেছেন, রুমি হলেন ধর্মনিরপেক্ষতা আর মানবতার এক দর্শন। তাই তো এই তথ্যচিত্রে মানবতা ও ভালোবাসার ঐক্যের এক ছবি তুলে ধরা হয়েছে। তবে বাদ রাখা হয়েছে আধ্যাত্মিকতাকে। এই চলচ্চিত্র প্রদর্শনীতে উপস্থিত ছিলেন কলকাতায় নিযুক্ত বাংলাদেশের উপহাইকমিশনার তৌফিক হাসান, সাংবাদিক বাহারউদ্দিন, অধ্যাপক শক্তিনাথ ঝা, কলকাতা প্রেসক্লাবের সভাপতি স্নেহাশিস সুর প্রমুখ।
তথ্যচিত্রটি বাংলাদেশ ও তুরস্কের যৌথ প্রযোজনায় তৈরি হয়েছে।