Thank you for trying Sticky AMP!!

গুপ্তচর নাকি ডাবল এজেন্ট!

রেড স্প্যারো ছবিতে জেনিফার লরেন্স

জেনিফার লরেন্স! সম্প্রতি মাদার চলচ্চিত্রের মাধ্যমে বেশ আলোড়ন তোলেন এই অভিনেত্রী। সেই রেশ কাটতে না কাটতেই আবার আরেকটি ব্যবসাসফল ছবি উপহার দিতে যাচ্ছেন তিনি—এমনটাই ভাবছেন হলিউড-বোদ্ধারা। রেড স্প্যারো চলচ্চিত্রের মূল গল্প গড়ে উঠেছে একজন গুপ্তচরকে নিয়ে। প্রিমা ব্যালেরিনা ডোমিনিকা এগরোভা। হঠাৎ করে চোট পেয়ে নিজের চেনা পৃথিবীকে হারিয়ে ফেলে যে। যোগ দেয় রেড স্প্যারোতে। সেখানে নিজেকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করতে শেখে ডোমিনিকা। কঠিন ধাপ আর শিক্ষা পার করে গুপ্তচর হিসেবে নিজেকে প্রমাণ করে সে। যোগ দেয় মিশনে। রাশিয়ান গুপ্তচর হিসেবে কাজ করে। তাকে কাজ দেওয়া হয় সিআইএর ভেতরে গিয়ে কাজ করার, খবরাখবর সংগ্রহ করার। কিন্তু শক্তিশালী আর কঠোর এই নারীই একসময় ভালোবেসে ফেলে সিআইএ অফিসার জোয়েল এডগার্টনকে। নিজের চারপাশের সব অবিশ্বাসের ভিড়ে বিশ্বাস করতে শুরু করে কেবল ওই একটি মানুষকেই। একটা সময় প্রশ্ন ওঠে আসলেও কি শুধুই একজন রাশিয়ান গুপ্তচর সে, নাকি কেবল একজন ডাবল এজেন্ট? আঙুল ওঠে তার দিকে!

ফ্রান্সিস লরেন্স পরিচালিত এই চলচ্চিত্রটিতে আরও অভিনয় করেছেন জোয়েল এডগার্টন, শার্লট র‍্যামপ্লিং, জেরেমি আয়রন্স, মেরি-লুইস পার্কারসহ আরও অনেকে। জেসন ম্যাথিউসের বই রেড স্প্যারো অনুসারে চিত্রায়িত এই চলচ্চিত্রটির ডোমিনিকা এগোরোভা চরিত্রে জেনিফার নিজের সর্বোচ্চটাই দিয়েছেন। কিন্তু এই চরিত্রটির পরিণতি কোথায়? জানতে হলে ছবিটি দেখতে হবে। রেড স্প্যারো মুক্তি পাওয়ার কথা ছিল ১০ নভেম্বর, ২০১৭ তে। কিন্তু শেষ সময় এসে তারিখ পিছিয়ে দেয় ২০ সেঞ্চুরি ফক্স। ইতিমধ্যে ফেব্রুয়ারির ৫ তারিখ হয়ে গেছে এই মুভির বিশেষ প্রদর্শনী। মার্চের ২ তারিখ পুরো পৃথিবীর জন্য মুক্তি পাবে এটি। সমালোচকদের হতাশ করেনি ছবিটি। ইতিবাচক এবং মিশ্র অনুভূতি এসেছে ছবিটিকে নিয়ে।

তবে ছবিটি মুক্তি দিতে বেশ বেগ পেতে হয়েছে ছবির কলাকুশলীকে। প্রথমদিকে আর রেটিং পেয়ে অনেকটা বিপাকেই পড়ে গিয়েছিল রেড স্প্যারো। নৃশংসতা, নগ্নতা, অপ্রীতিকর ভাষা এবং যৌন নৃশংসতার জন্য আটকে যায় ছবিটি। যুক্তরাজ্যে আন্ডার ফিফটিন এবং কানাডায় ১৮এ রেটিং পায় চলচ্চিত্রটি। এ ছাড়া অস্ট্রেলিয়া ও অন্যান্য দেশে সহিংসতা এবং যৌনতার জন্য সমালোচিত হয়েছে চলচ্চিত্রটি। যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডায় মুক্তি পাওয়ার প্রথম সপ্তাহেই ১৮ থেকে ২৫ মিলিয়ন ডলার আয় করে নেবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। সমালোচনায় অনেক এগিয়ে থাকলেও রোটেন টম্যাটোজের কাছ থেকে ৬৪ শতাংশ রেটিং পেয়েছে মুভিটি। ১০-এর মধ্যে একে দেওয়া হয়েছে ৬। মেটাক্রিটিক অবশ্য আরও একটু বেশি সমালোচনা করার মাধ্যমে ছবিটিকে দিয়েছে মাত্র ৫৬ শতাংশ রেটিং। ছবিটি জেনিফার লরেন্সের, গল্পটি যে বইটির ছায়া অবলম্বনে তৈরি করা হয়েছে সেটিও বেশ বিখ্যাত। আলোচক ও সমালোচকেরা নানা কথা বলবেন। কারণ কথা বলাই তাঁদের কাজ। আর আপনার কাজ আপনি কোনটাকে বেছে নেবেন সেটা বোঝা।

সাদিয়া ইসলাম

রোটেন টম্যাটোজ, মেটাক্রিটিক অবলম্বনে