Thank you for trying Sticky AMP!!

চট্টগ্রামে দর্শকের সঙ্গে জয়া ও ফারিয়া

চট্টগ্রামের সিলভার স্ক্রিনে শবনম ফারিয়া ও জয়া আহসান। ছবি: প্রথম আলো

চট্টগ্রামের প্রথম ও একমাত্র সিনেপ্লেক্স ‘সিলভার স্ক্রিনের’ প্লাটিনাম হলে ‘দেবী’ চলছে। একেবারে শেষ দিকে আলো-আঁধারি প্রেক্ষাগৃহটিতে ঢুকলেন জয়া আহসান ও শবনম ফারিয়া। দর্শকদের সঙ্গে বসে দেখলেন সিনেমার শেষাংশ। দর্শকেরা তখনো জানেন না এটি। সিনেমা শেষে আলো জ্বলতেই সবার চোখে-মুখে বিস্ময়। পর্দায় এতক্ষণ ধরে যাঁদের অভিনয়ে মোহাবিষ্ট ছিলেন, স্বয়ং তাঁরাই চোখের সামনে! হলরুমজুড়ে ভেসে এল এই কয়েকটি শব্দ—‘ওয়াও জয়া আহসান, ওয়াও শবনম ফারিয়া’।

গতকাল রোববার নিজের প্রযোজিত ও অভিনীত ছবিটির প্রচারণার জন্য চট্টগ্রামে এসেছিলেন জয়া আহসান। সঙ্গে ছিলেন এই ছবির মাধ্যমে বড় পর্দায় অভিষেক হওয়া শবনম ফারিয়াও। বেলা দেড়টায় তাঁরা আসেন নগরের ফিনলে স্কয়ারে অবস্থিত সিলভার স্ক্রিন সিনেপ্লেক্সে।

সিনেমা দেখা শেষে দর্শকের মুখোমুখি জয়া ও ফারিয়া। ছবিটির মার্কেটিং কনসালট্যান্ট রুম্মান রশিদ খান দুজনকে মাইক এগিয়ে দিয়ে দর্শকদের জন্য গাইতে বলেন ‘দেবী’ ছবির অনুপম রায়ের গাওয়া ‘দুমুঠো বিকেল’ গানটি। তাঁরা গাইলেন গানটির কিছু অংশ। তাঁদের সঙ্গে কণ্ঠ মেলালেন দর্শকেরাও।

সিলভার স্ক্রিন সিনেপ্লেক্স দেখে মুগ্ধ জয়া। তিনি বলেন, ‘এত মিষ্টি একটা হল। এত সুন্দর পরিবেশ। খুব এক্সক্লুসিভ মনে হচ্ছে আসলে। আমরা সিনেমাপ্রেমীরা বাংলাদেশে যে রকম পরিবেশ দেখতে চাই, এই হল সে রকম। “দেবী” খুব ভালো চলছে। তাই খুব ভালো লাগছে। এ ধরনের ছবি আমাদের দর্শকদের রুচিও ধীরে ধীরে পাল্টে দেবে বলে আমার বিশ্বাস।’ শবনম ফারিয়া বলেন, ‘চট্টগ্রাম আমার বেড়ে ওঠার শহর। এই শহরটা তাই ভীষণ প্রিয়। দর্শকেরা আমাদের “দেবী”কে খুব ভালোভাবে গ্রহণ করেছেন দেখে ভালো লাগছে।’

এ ছাড়া বিকেল চারটায় জয়া ও ফারিয়া নগরের কাজির দেউড়ি এলাকার আলমাস সিনেমা হলেও যান।

দর্শকেরাও মুগ্ধ ‘দেবী’ দেখে। ইস্ট ডেল্টা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিবিএ–পড়ুয়া ফারাহ শারমিন বন্ধুদের নিয়ে এসেছিলেন ‘দেবী’ দেখতে। তিনি বলেন, ‘দুর্দান্ত ছবি। সবার অভিনয় মনে দাগ কেটেছে।’