Thank you for trying Sticky AMP!!

চরিত্র ফুটিয়ে তুলতে ঝুঁকি নিয়েছি

বিউটি সার্কাস ছবিতে এই রূপেই দেখা যাবে জয়া আহসানকে

এ মাসেই শুরু হয়েছে মাহমুদ দিদার পরিচালিত প্রথম চলচ্চিত্র বিউটি সার্কাস-এর শুটিং। নওগাঁ জেলার সাপাহারে সার্কাসের সেট ফেলে শুটিং হয়েছে চলচ্চিত্রটির। প্রথম ধাপের কাজ শেষে ঢাকায় ফিরেছে পুরো বিউটি সার্কাস দল। এ ছবির প্রধান চরিত্র, অর্থাৎ বিউটির চরিত্রে অভিনয় করছেন জয়া আহসান। শুটিংয়ের অভিজ্ঞতা বললেন প্রথম আলোর কাছে।
‘বিউটি সার্কাস’–এর চরিত্রটা কেমন?
এ ধরনের চরিত্র আমি এর আগে করিনি। আগে যাত্রার একটি মেয়ের চরিত্রে অভিনয় করেছিলাম। কিন্তু সার্কাসের একজন মেয়ের চরিত্র এটাই প্রথম। যেখানে শুটিং করতে গিয়েছিলাম, সেটা খুব বেশি শুটিংবান্ধব নয়।
কোনো সমস্যা হয়েছিল?
প্রথম দিকে ছিল থাকা ও খাওয়ার সমস্যা। গিয়ে প্রথম দুই দিন আমি খুবই অসুস্থ ছিলাম। শুরুতে স্থানীয় ডাকবাংলোতে থাকার ব্যবস্থা হয়েছিল। পরে স্থানীয় একজনের বাড়িতে থেকেছি। তঁাদের সেবা ও ভালোবাসায় মোটামুটি সুস্থ হয়ে শুটিং করতে পেরেছিলাম। তবে বিদ্যুৎ ও পানির বেশ সমস্যা ছিল।
সার্কাসের অংশটুকুর শুটিং কেমন হলো?
এটা সম্পূর্ণ অন্য রকম অভিজ্ঞতা। যখন মেকআপ নিয়ে ও সাজপোশাক পরে সেটে দাঁড়িয়েছি, তখন অসুস্থতার কথা ভুলে গিয়েছি। সেটটা ফেলা হয়েছিল বিশাল জায়গাজুড়ে। চার রাত শুটিং করেছি শুধু দড়ির ওপর দাঁড়িয়ে। তা ছাড়া সার্কাসের অনেক খেলা দেখাতে হয়েছে। সব কটিই খুব ঝুঁকিপূর্ণ।
এ ধরনের চরিত্রে অভিনয় করার জন্য প্রস্তুতি কেমন ছিল?
আমি সাধারণত যেকোনো চরিত্রে অভিনয়ের আগে অনেক প্রস্তুতি নিয়ে থাকি। কিন্তু এবার সে সুযোগ পাইনি। খুব দ্রুত আমাকে চরিত্রের মধ্যে ঢুকতে হয়েছে। পরিচালক ও অন্য সবার সহযোগিতা পেয়েছি। শুটিংয়ের আগের দিন প্র্যাকটিস করেছি। সার্কাসের সবাই সহযোগিতা করেছে আর একজন ফাইট ডিরেক্টর ছিলেন, তিনিও সহযোগিতা করেছেন।
এ ক্ষেত্রে কি কোনো ডামি বা স্টান্টম্যান ব্যবহার করা হয়েছে?
একদমই না। আসলে বেশ ভয়ংকর কিছু দৃশ্যে শট দিতে হয়েছে। অনেকটা অনিরাপদও ছিল তা। তবু ঠিকঠাক চরিত্র ফুটিয়ে তুলতে এই ঝুঁকি আমি নিয়েছি। ঘোড়া ও হাতিতে চড়ার অভিজ্ঞতাও হয়েছে। মাঝ দিয়ে সার্কাসের সবার সঙ্গে খুব ভালো সম্পর্ক হয়ে গেছে। আসলে তাদের সঙ্গে আমাদের খুব বেশি পার্থক্য নেই। তারাও আর্টিস্ট, আমরাও তা-ই। ওরা আমাকে খুব আপন করে নিয়েছিল। চলে আসার সময় ওদের কান্না দেখে প্রচণ্ড খারাপ লেগেছে।
আপনার অন্য কাজগুলোর কী অবস্থা?
আপাতত আমার প্রথম প্রযোজিত ও সরকারি অনুদানের চলচ্চিত্র দেবী নিয়ে ব্যস্ত আছি। এখন শুটিংয়ের পূর্বপ্রস্তুতি চলছে। আগামী মার্চেই শুটিং শুরু করার ইচ্ছা আছে।
সাক্ষাৎকার: হাবিবুল্লাহ সিদ্দিক