Thank you for trying Sticky AMP!!

চীনের সম্মেলনে বাংলাদেশের তিন শিল্পী

লুবনা মারিয়াম, অমিত চৌধুরী ও সুইটি দাস চৌধুরী

নাচ, কর্মশালা ও প্রবন্ধ উপস্থাপন করতে চীন যাচ্ছেন বাংলাদেশের তিন নৃত্যশিল্পী। তাঁরা হলেন সাধনা সংস্কৃতি কেন্দ্রের শিল্পনির্দেশক ও পরিচালক লুবনা মারিয়াম, নৃত্য পরিচালক অমিত চৌধুরী ও সুইটি দাস চৌধুরী। চীনের বেইজিংয়ে সংগীতশিক্ষা অ্যালায়েন্সের প্রথম সম্মেলনে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করবেন তাঁরা।

৫ থেকে ৭ মে চীনের বেইজিংয়ের অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে সেন্ট্রাল কনজারভেটরি অব মিউজিকের সংগীতশিক্ষা অ্যালায়েন্সের প্রথম সম্মেলন ‘অ্যাক্রস দ্য সিল্ক রোড’। এতে ১৬টি দেশ থেকে যোগ দিচ্ছেন ৭০ জনেরও বেশি সংগীতজ্ঞ ও পণ্ডিত। বাংলাদেশ থেকে এতে অংশ নিচ্ছেন নৃত্যশিল্পী লুবনা মারিয়াম, অমিত চৌধুরী, সুইটি দাস, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের থিয়েটার অ্যান্ড পারফরমেন্স স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষক সৈয়দ জামিল আহমেদ এবং চারুকলা অনুষদের শিক্ষক কামাল উদ্দিন।
লুবনা মারিয়াম জানান, চীনের সেন্ট্রাল কনজারভেটরি অব মিউজিক এ সম্মেলনে তাঁদের আমন্ত্রণ জানিয়েছে। তিনি বলেন, ‘প্রথমবারের মতো এ সম্মেলন। তারা কী করতে চাইছে, সেটা দেখার জন্য উদ্‌গ্রীব হয়ে আছি। আমার বিশ্বাস, তাঁরা বুঝতে পেরেছে যে যুদ্ধ করে আর কিছুই হবে না, সংস্কৃতির মাধ্যমে কূটনৈতিক সম্পর্ক টিকিয়ে রাখতে হবে।’
সম্মেলনের তৃতীয় দিন বড় পর্দায় ভিজ্যুয়াল গবেষণা ‘সহজিয়া নাচের মাধ্যম: বাংলাদেশের আধ্যাত্মিক নৃত্য অনুশীলনের একটি ঐতিহাসিক বিবরণ’ উপস্থাপন করবেন লুবনা মারিয়াম। এ ছাড়া প্রবন্ধ উপস্থাপন করবেন সৈয়দ জামিল আহমেদ। লুবনা মারিয়ামের সহযোগিতায় অমিত চৌধুরী ও সুইটি দাস ‘বাংলাদেশের নৃত্যের মূল’ নিয়ে একটি কর্মশালা পরিচালনা করবেন। এ ছাড়া রবীন্দ্র ও নজরুলসংগীত, বাংলাদেশের মণিপুরি নাচ ও বাউলগানের সঙ্গে একটি নৃত্য প্রযোজনা উপস্থাপন করবেন তিন শিল্পী।
দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশের নৃত্য নিয়ে গবেষণা করে আসছেন লুবনা মারিয়াম। নাচের সংগঠন কল্পতরুর নৃত্য পরিচালক অমিত চৌধুরী ভরতনাট্যম শিল্পী ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের থিয়েটার অ্যান্ড পারফরমেন্স স্টাডিজ বিভাগের প্রদর্শকের দায়িত্ব পালন করছেন। মণিপুরি নৃত্যশিল্পী সুইটি দাস মণিপুরি সম্প্রদায়ের নাচ নিয়ে গবেষণা করছেন। লুবনা মারিয়ামসহ এ দুই শিল্পী ৩ মে চীনের উদ্দেশে যাত্রা করবেন।