Thank you for trying Sticky AMP!!

জাদুঘরের বাদ্যযন্ত্র গ্যালারি আবার খুলল

শনিবার দুপুরে বাদ্যযন্ত্র গ্যালারির উদ্বোধন করছেন জাতীয় জাদুঘরের মহাপরিচালক ফয়জুল লতিফ চৌধুরী। ছবি: প্রথম আলো

জাতীয় জাদুঘরের বাদ্যযন্ত্র গ্যালারি অবশেষে চালু হলো। সংস্কার এবং নতুন করে সাজসজ্জার কারণে দীর্ঘ ৬ বছর গুরুত্বপূর্ণ এ গ্যালারিটি বন্ধ ছিল। আজ শনিবার দুপুরে গ্যালারিটির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হয়। খুলে দেওয়া হয় দর্শকদের জন্য।
কবি সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে জাতীয় জাদুঘরের মহাপরিচালক ফয়জুল লতিফ চৌধুরী গ্যালারিটির উদ্বোধন ঘোষণা করেন।
ফয়জুল লতিফ চৌধুরী বলেন, যেখানেই বা যে উদ্দেশ্যেই বাজুক, বাজনায় বাদ্যযন্ত্র লাগে। বিভিন্ন প্রত্নতাত্ত্বিক ও সাহিত্যিক উৎস থেকে বাংলায় বাদ্যযন্ত্রের বিভিন্নতা ও ব্যবহারের ব্যাপ্তির প্রমাণ পাওয়া যায়। অনেক বাদ্যযন্ত্র এখন হারিয়ে যাওয়ার পথে। গত ৬ বছরে গুরুত্বপূর্ণ নিদর্শন দর্শক দেখতে পারেনি মূলত সংস্কারকাজের জন্য। আজ বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরে ছয় বছর পর বাদ্যযন্ত্র গ্যালারিটি জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করতে পেরে আমি অত্যন্ত আনন্দিত। এখন থেকে জাতীয় জাদুঘরের প্রতিটি গ্যালারি দর্শকের জন্য খোলা থাকবে।
আনুষ্ঠানিক বক্তৃতা এবং উদ্বোধনের পর খুলে দেওয়া হয় গ্যালারিটি। গ্যালারির চারপাশে শোকেসে সাজানো ৪ ধরনের মোট ১৩৩টি বাদ্যযন্ত্র। রয়েছে ১৯৭০ সালে সংগ্রহ করা বাদ্যযন্ত্র থেকে শুরু করে সাম্প্রতিক সময়েরও বাদ্যযন্ত্র। একতারা, দোতারা, ঢাক, ঢোল, কাড়া, মৃদঙ্গ, মন্দিরা, ডমরু, কাঁসর, করতাল, বীণা, বাঁশি, ঘণ্টি, সেতার, তানপুরা, সরোদ, সারেঙ্গি, এসরাজ থেকে শুরু করে হারমোনিয়াম, একোর্ডিয়ান, বেহালা, গিটার, বিউগলসহ নানা দেশে নানা যুগের বাদ্যযন্ত্র।
এ গ্যালারিতে আছে ৪ ধরনের বাদ্যযন্ত্র। যেমন বায়ুর দ্বারা অনুরণন তৈরির বাদ্যযন্ত্র ‘শুষির’, চর্মাচ্ছাদিত এবং চামড়ার আঘাতে হওয়া ‘আনন্ধ যন্ত্র’, প্রাণিজ তন্তু সুতা বা ধাতব দিয়ে তৈরি ‘ততযন্ত্র’ এবং ধাতু নির্মিত যন্ত্র আঘাত যোগে বাজানো ‘ঘন যন্ত্র’।

উদ্বোধনের পর দর্শক এবং অতিথিরা প্রদর্শনী দেখছেন । ছবি: প্রথম আলো

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আলোচক ছিলেন ইতিহাস ও ধ্রুপদি শিল্পকলা বিভাগের কিপার স্বপন কুমার বিশ্বাস, জাতিতত্ত্ব ও অলংকরণ শিল্পকলা বিভাগের কিপার নূরে নাসরীন, বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের সংরক্ষণ রসায়নবিদ মো. আকছারুজ্জামান নূরী এবং সমকালীন শিল্পকলা ও বিশ্বসভ্যতা বিভাগের উপ-কিপার শক্তিপদ হালদার। সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের সচিব মো. শওকত নবী।
শাহবাগের জাতীয় জাদুঘরের তৃতীয় তলার ২৮ নম্বর গ্যালারিটি বাদ্যযন্ত্রের গ্যালারি। টিকিট কেটে যে কেউ এটি দেখতে যেতে পারেন। বৃহস্পতিবার বাদে সপ্তাহের অন্য সব দিন এই সংগ্রহশালা সাধারণ মানুষের জন্য উন্মুক্ত থাকে। জাদুঘরে গ্রীষ্মকাল, শীতকাল ও রমজান মাস পরিদর্শনের সময়সূচি এই তিনটি ভাগে বিভক্ত।
বর্তমানে রমজান মাসের সময়সূচি আলাদা: শনিবার-বুধ (সকাল ৯.৩০টা থেকে বিকেল ৩.০০টা পর্যন্ত খোলা থাকে)।
গ্রীষ্মকালীন (এপ্রিল-সেপ্টেম্বর) শনিবার-বুধ (সকাল ১০.৩০ টা থেকে বিকেল ৫.৩০ টা পর্যন্ত এবং শুক্রবার বিকেল ৩.০০টা থেকে রাত ৮.০০টা পর্যন্ত খোলা থাকে)
শীতকালীন (অক্টোবর থেকে মার্চ) শনিবার-বুধ (সকাল ৯.৩০টা থেকে বিকেল ৪.৩০টা পর্যন্ত এবং শুক্রবার বিকাল ৩.০০টা থেকে রাত ৮.০০টা পর্যন্ত খোলা থাকে)