Thank you for trying Sticky AMP!!

দেশে ভারতীয় চলচ্চিত্র মুক্তির পক্ষে নিপুণ

নিপুণ

শুক্রবার মুক্তি পেয়েছে ‘শোভনের স্বাধীনতা’ ছবিটি। এ ছবিতে অভিনয় করেছেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত অভিনেত্রী নিপুণ। প্রথম আলোর সঙ্গে আলাপে দেশের চলচ্চিত্র, এর উন্নয়ন এবং সীমাবদ্ধতা— নানা বিষয় নিয়েই কথা বলেন এ অভিনেত্রী। চলচ্চিত্র নিয়ে কথা প্রসঙ্গে নিপুণ জানিয়েছেন, দেশে ভারতীয় চলচ্চিত্র মুক্তি পাওয়া উচিত। তাঁর মতে, এর ফলে বাংলাদেশে চলচ্চিত্রের ক্ষেত্রে একটা সুস্থ প্রতিযোগিতা তৈরি হবে।

এ প্রসঙ্গে নিপুণ বলেন, ‘এর ফলে যেমন আমাদের এখানে আরও ভালো ছবি নির্মিত হবে, তেমনি দেখা মিলবে গুণী অভিনয়শিল্পীদেরও।’

নিপুণ অভিনীত ‘শোভনের স্বাধীনতা’ ছবিটির নির্মাতা মানিক মানবিক। ছবিটি নির্মিত হয়েছে রশীদ হায়দারের উপন্যাস ‘শোভনের স্বাধীনতা’ অবলম্বনে। সামনে মুক্তি পাবে, দন্তচিকিৎসক অরূপ রতন চৌধুরীর ‘স্বর্গ থেকে নরক’। এই দুটি ছবিতেই নিপুণের সহশিল্পী ফেরদৌস।

দেশে ভারতীয় ছবির মুক্তি প্রসঙ্গে নিপুণ বলেছেন, ‘আমি বরাবরই সুস্থ প্রতিযোগিতার মাধ্যমে টিকে থাকায় বিশ্বাসী। আমি বিশ্বাস করি, মেধা কেউ কারও কাছ থেকে কেড়ে নিতে পারে না। সৃজনশীল মাধ্যম চলচ্চিত্রও হচ্ছে মেধার খেলা। এখানে সবাই তাঁদের মানসম্পন্ন কাজের মাধ্যমেই টিকে থাকবেন।’

দেশে চলচ্চিত্রের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট একটা অংশ বাংলাদেশে ভারতীয় চলচ্চিত্র মুক্তির পক্ষে, আবার আরেকটি অংশ এর বিপক্ষে। যারা এর বিপক্ষে তাঁদের মত হচ্ছে, ভারতীয় চলচ্চিত্র বাংলাদেশে মুক্তি পেলে এ দেশের চলচ্চিত্রশিল্প যেটুকু অবশিষ্ট আছে তাও ধ্বংস হয়ে যাবে। কিন্তু এমনটা মনে করেন না নিপুণ। তিনি বলেছেন, ‘আমরা নানা উপায়ে ভারতীয় ছবিগুলো দেখি। কেউ তা দেখা বাদ দিচ্ছি না। তাই অযথা এসব বিতর্কে না জড়িয়ে আমাদের ছবিকে কীভাবে সব শ্রেণির দর্শকের কাছে আরও ভালো লাগবে; সেদিকে মনোযোগী হওয়াটাই উত্তম।’ তিনি বলেন, আমি আমার কাজটা ঠিকভাবে যদি করি, তাহলে আমার চারপাশে কে কী করল তাতে কিছু যায় আসে না।’

নিপুণ আরও বলেন, ‘আমাকে প্রায়ই দেশের বাইরে যেতে হয়। দেশের বাইরে গেলে আমি কিন্তু হিন্দি সিনেমাও দেখি। এখন আমাদের সিনেমাও যদি আন্তর্জাতিকমানের হয়, হয়তো তাহলে দেশের বাইরে কোথাও গেলে আমরা আমাদের দেশের সিনেমাও দেখতাম।’

বর্তমান সময়ের চলচ্চিত্র প্রসঙ্গে নিপুণ বলেন, ‘এখনকার বেশির ভাগ ছবিকেই কোনোভাবে আলাদা করা যায় না। এসব ছবিতে নেই কোনো বৈচিত্র্য। ভালো গল্পের যেমন অভাব, তেমনি অভাব প্রধান অভিনয়শিল্পীদের অভিনয় ক্ষমতারও।’ তিনি বলেন, ‘আমার কাছে তো মনে হয়, দর্শক যদি ১৫-২০টি ছবির টাইটেল বাদ দিয়ে ছবি দেখা শুরু করেন, তাহলে দেখা যাবে সব গল্পই এক। একই রকম নাচ, সবকিছু একই রকম। যে চরিত্রে যে মানানসই নয়, তিনি সেই চরিত্রে কাজ করছেন। এসব রীতিমতো হাস্যকর।’

নিপুণ বলেন, ‘কবে যে এখান থেকে মুক্তি মিলবে তা নিয়ে আমি সন্দিহান। সবকিছু ভেঙেচুরে নতুনভাবে সাজাতে হবে। না হলে চলচ্চিত্রের অবস্থা আরও খারাপ হবে।’

কুমিল্লার মেয়ে নিপুণ রাশিয়ার মস্কো অটোমোবাইল অ্যান্ড রোড কনস্ট্রাকশন ইউনিভার্সিটি থেকে কম্পিউটার সায়েন্সে স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেন। এর পর ঢাকায় ফিরে ২০০৬ সালে এম এ আওয়ালের ‘রত্নগর্ভা মা’ ছবিতে অভিনয়ের মাধ্যমে ঢাকাই চলচ্চিত্রে যাত্রা শুরু করেন। নয় বছর ধরে চলচ্চিত্রের সঙ্গে আছেন নিপুণ। অভিনয় করেছেন ৫০ টির বেশি চলচ্চিত্রে। অভিনয়ের জন্য দুবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারও পেয়েছেন তিনি।