Thank you for trying Sticky AMP!!

অবন্তী সিঁথির হাতে পুরস্কার তুলে দেন কণ্ঠশিল্পী কানিজ সুবর্ণা ও ব্যান্ড মাইলসের ভোকাল হামিন আহমেদ

প্রথমবারেই পাঠকের ভোটে মেরিল–প্রথম আলো পুরস্কার শিসকন্যার

মেরিল–প্রথম আলো পুরস্কার ২০২১–এ তারকা জরিপে সেরা গায়িকা হয়েছেন অবন্তী সিঁথি। জামালপুরের এই গায়িকার পুরো নাম অবন্তী দেব সিঁথি। এবারই প্রথম তিনি সেরা গায়িকার জন্য মনোনীত হয়েছেন। আর প্রথমবারেই সবাইকে তাক লাগিয়ে দর্শকের ভোটে জিতে নেন সেরা গায়িকার পুরস্কার। শুক্রবার রাতে রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রের হল অব ফেমে জাঁকজমকপূর্ণ আয়োজনে তাঁর হাতে পুরস্কার তুলে দেন কণ্ঠশিল্পী কানিজ সুবর্ণা ও ব্যান্ড মাইলসের ভোকাল হামিন আহমেদ।
সেরা গায়িকার পুরস্কার পেয়ে সিঁথি তাঁর প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করতে গিয়ে বলেন, ‘প্রথমবারের মতো মনোনয়ন পাওয়াটা আমার কাছে খুব আনন্দের একটি ব্যাপার ছিল। সেই সঙ্গে প্রথমবারই সেরা গায়িকার পুরস্কার পাওয়াটা আমার কাছে অনেক স্পেশাল। গানটি ডুয়েট একটি গান। আমার সঙ্গে গেয়েছেন রেহান রাসুল। গীতিকার সোমেশ্বর অলি এবং সুরকার ও সংগীত পরিচালক সাজিদ সরকার—যাঁরা না থাকলে গানটাই হতো না এবং “নেটওয়ার্কের বাইরে”র পরিচালক মিজানুর রহমান—তাঁদের প্রতি আমি কৃতজ্ঞ এত সুন্দর গানটা আমাকে দিয়ে গাওয়ানোর জন্য। আর এই গানের জন্য এত মানুষের ভালোবাসা পেয়েছি, এটাই আমার জন্য অনেক বড় পাওয়া। দর্শক গানটিকে পছন্দ করায় তাঁদের প্রতি আমি কৃতজ্ঞ।’

অবন্তি সিঁথি

তিনি আরও বলেন, ‘সংগীতকে পেশা হিসেবে নেওয়াই তো অনেক বড় চ্যালেঞ্জ। এই চ্যালেঞ্জ যখন আমি নিই, তখন আমার মা এবং বড় বোন আমাকে অনেক সাপোর্ট করে। আসলে এই জায়গায় আসার জন্য ওদের অবদান অনেক বেশি। আমি অনেক দিন শিক্ষকতা পেশায় ছিলাম। তিন বছর একটা বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়িয়েছি। এরপর আমার হঠাৎ করে মনে হলো, গানটাই হয়তো করা উচিত আমার। সিদ্ধান্ত নিতে পারছিলাম না ওই সময় যে আমি শুধু শিক্ষকতায় থাকব, নাকি শুধু গানই করব। যখন আমি গান গাওয়ার চ্যালেঞ্জটা নিই, তখন আমার পরিবার আমাকে মানা করেনি। এই মানা না করাটাই তো আমার জন্য অনেক বড় সাপোর্ট যে তারা কিছু বলছে না আমাকে।’

অবন্তি সিঁথি

সিঁথির বেড়ে ওঠা জামালপুরে। সিঁথিরা তিন বোন। তাঁর বাবা চাইতেন, মেয়েরা পড়াশোনার পাশাপাশি কিছু একটা শিখুক। সেখানে সবারই স্বাধীনতা ছিল। সিঁথি দেখতেন তাঁর বড় বোনকে গান গাইতে। তাঁর পাশে বসে থাকতেন। এভাবে গানের প্রতি তাঁরও একটা ঝোঁক তৈরি হয়। তিনি সুশান্ত দেব কানুর কাছে প্রথম গান শেখেন। শুরু হয় গানের চর্চা।

অবন্তি সিঁথি

নিম্নমাধ্যমিকে পড়াশোনার সময়ই ২০০৬ সালে তিনি গানের রিয়েলিটি শোতে অংশ নেন। কিন্তু বাদ পড়েন। বাবা চাইতেন মেয়ে সফল হোক। গান করে নাম করুক। পরে বাবা মারা যান। তারপর চার/পাঁচ বছরের জন্য গান থেমে যায়। পড়াশোনা করতে থাকেন। ভর্তি হন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে রসায়নে। পরে আবার গানের চর্চা শুরু করেন। ২০১২ সালে বন্ধুদের উৎসাহে ক্লোজআপ ওয়ানে অংশ নেন। পরে সারেগামাতেও অংশ নেন।