Thank you for trying Sticky AMP!!

প্রাণভয়ে আত্মগোপনে আছেন সংগীতশিল্পী তৌসিফ

তৌসিফ আহমেদ

এখনো শঙ্কায় আছেন তৌসিফ আহমেদ। বৃহস্পতিবার দুপুরে ফেসবুকে এক পোস্টে এই সংগীতশিল্পী লিখেছেন, ‘(সাধারণ ডায়েরিতে অভিযুক্ত আরিফের) সব কথাই তো তাহলে সঠিক। সে যা ইচ্ছা করে তাই করতে পারে। তার ছেলেরাও বুক উঁচিয়ে ঘুরছে আর আমাকে প্রাণভয়ে লুকিয়ে থাকতে হচ্ছে।’ রাজধানীর মোহাম্মদপুরের কাদেরাবাদ হাউজিং এলাকায় মারধরের শিকার এক তরুণকে বাঁচাতে গিয়ে হুমকির মুখে আছেন তৌসিফ।

তৌসিফ আহমেদ

মোহাম্মদপুর থানায় সাধারণ ডায়েরি করার তৃতীয় দিনে আক্ষেপ করে তৌসিফ ফেসবুকে লিখেছেন, ‘থানায় গিয়ে জিডি করলাম, সাংবাদিক ভাই-বন্ধুরা দেশবাসীকে জানাল, আমার সঙ্গে কী হয়েছে। টিভিতেও হুমকিদাতার রেকর্ডিং প্রচার করা হলো। দুর্ভাগ্য, এখন পর্যন্ত তাকে খুঁজে বের করে গ্রেপ্তার বা আইনের আওতায় নিয়ে আসা সম্ভব হলো না! অথচ তার নামে খুনসহ প্রায় ২০টির মতো মামলা আছে। বাসার সামনে যেতেও ভয় লাগে। কখন জানি চোরাগোপ্তা হামলা হয়?’

তৌসিফের সাধারণ ডায়েরির তদন্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদপুর থানার উপপরিদর্শক মোহাম্মদ রেজাউলের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে বললেন, ‘জিডি করার পরপরই সেদিন রাতে স্পটে গিয়েছিলাম। ওসি স্যারের সঙ্গেও বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছি। আমাদের সোর্সরাও জানিয়েছেন, আরিফ নামের একজন মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত আছেন। কিন্তু তিনি এলাকায় দৃশ্যমান নন, তাঁকে সেভাবে কেউ চেনেও না, কিন্তু সবাই তাঁর নাম জানে। আমরা তৌসিফ সাহেবকে আশ্বস্ত করতে চাই, তাঁর পালিয়ে থাকার কিছু নেই। দেশে আইন আছে, আমরা তাঁর অভিযোগের ব্যাপারটি খুব গুরুত্ব দিয়ে দেখছি।’

তৌসিফ আহমেদ

মঙ্গলবার রাতে মোহাম্মদপুর থানায় দায়ের করা সাধারণ ডায়েরিতে তৌসিফ লিখেছেন, ‘২১ জুন রাত সাড়ে ১১টার সময় বাসায় ফেরার পথে কাদেরাবাদ হাউজিং ৩ নম্বর রোডে ১০-১২ জন ছেলে মিলে একজনকে মারধর করতে দেখি। বিবেকের তাড়নায় আহত ছেলেটাকে বাঁচাতে যাই। আহত ছেলেটাকে আমার কাছে নিয়ে আসতে সক্ষম হই। ঘটনা এখানেই শেষ হয়ে যেতে পারত। কিন্তু রাত ১২টার কাছাকাছি সময়ে ফোনে হাত-পায়ের রগ কেটে ফেলার হুমকি দেওয়া হয়।’

সংগীতশিল্পী তৌসিফ

‘বৃষ্টি ঝরে যায়’ গানের মাধ্যমে পরিচিতি পান তৌসিফ আহমেদ। গত ঈদে জি-সিরিজের ব্যানারে তৌসিফের সর্বশেষ নতুন গান প্রকাশিত হয়েছিল। আসছে ঈদেও ভক্তদের জন্য থাকবে তাঁর নতুন কাজ। পাশাপাশি এই শিল্পী ব্যস্ত আছেন নিজ ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান নিয়ে।