Thank you for trying Sticky AMP!!

ফ্রান্স থেকে আসছেন স্ত্রী আর দুই ছেলে

আনোয়ার হোসেন। ছবি: ফেসবুক থেকে নেওয়া

আলোকচিত্রশিল্পী, সিনেমাটোগ্রাফার ও মুক্তিযোদ্ধা আনোয়ার হোসেনকে আগামীকাল সোমবার শেষ শ্রদ্ধা জানানো হবে। ফেডারেশন অব ফিল্ম সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক বেলায়াত হোসেন জানিয়েছেন, সর্বসাধারণের শ্রদ্ধা জানানোর জন্য আনোয়ার হোসেনের মরদেহ আগামীকাল বেলা ১১টায় নেওয়া হবে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে। দুপুর সাড়ে ১২টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ প্রাঙ্গণে আনোয়ার হোসেনের জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। জানাজা শেষে মিরপুরে অবস্থিত শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে তাঁকে সমাহিত করা হবে।

বেলায়াত হোসেন আরও জানান, আগামীকাল ফ্রান্স থেকে বাংলাদেশে আসবেন আনোয়ার হোসেনের স্ত্রী মিরিয়াম হোসেন এবং আনোয়ার হোসেনের দুই ছেলে আকাশ হোসেন ও মেঘদূত হোসেন।

এদিকে কিংবদন্তি আলোকচিত্রশিল্পী, বাংলাদেশের অন্যতম শ্রেষ্ঠ সিনেমাটোগ্রাফার ও মুক্তিযোদ্ধা আনোয়ার হোসেনের আকস্মিক মৃত্যুতে ফেডারেশন অব ফিল্ম সোসাইটিজ অব বাংলাদেশ এবং ফেডারেশনের অন্তর্ভুক্ত দেশের বিভিন্ন চলচ্চিত্র সংসদ গভীর শোক প্রকাশ করছে।

ফ্রান্সপ্রবাসী আনোয়ার হোসেন গত ২৮ নভেম্বর বাংলাদেশে আসেন। গতকাল শনিবার সকালে তাঁর মরদেহ পান্থপথের হোটেল ওলিও ড্রিম হেভেন থেকে উদ্ধার করা হয়। শেরেবাংলা নগর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) লিটন মাতুব্বর বলেন, ‘পান্থপথের হোটেল ওলিও ড্রিম হেভেনের ব্যবস্থাপক ফোন করে জানান, আনোয়ার হোসেনের কক্ষটি ভেতর থেকে বন্ধ। ডাকাডাকি করেও সাড়া পাওয়া যাচ্ছে না। এরপর পুলিশ গিয়ে দরজা ভেঙে বিছানায় মৃতদেহ পায়।’ আনোয়ার হোসেনের মরদেহ স্কয়ার হাসপাতালের হিমঘরে রাখা হয়েছে।

বেলায়াত হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, ‘এ বছর আনোয়ার হোসেনের ৭০তম জন্মদিন, তাঁর আলোকচিত্র জীবনের ৫০ বছর এবং সিনেমাটোগ্রাফির ৪০ বছর পূর্তি হওয়ার কথা। তার প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম আমরা। ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে তাঁর দেশে আসার কথা থাকলেও চলচ্চিত্রকার শেখ নিয়ামত আলীর স্মরণসভায় অংশ নিতে তিনি কদিন আগেই চলে আসেন।’

১৯৪৮ সালের ৬ অক্টোবর পুরান ঢাকায় আনোয়ার হোসেনের জন্ম। আরমানিটোলা স্কুল থেকে মাধ্যমিক পরীক্ষায় বোর্ডে তৃতীয় হয়েছিলেন। নটর ডেম থেকে উচ্চমাধ্যমিক পাস করে ভর্তি হয়েছিলেন বুয়েটের স্থাপত্যবিদ্যা বিভাগে। সেখানেও ভালো ফল করেন। তবে একসময় সিনেমাটোগ্রাফি পড়তে চলে যান ভারতে। ১৯৬৭ সালে আলোকচিত্রের জীবন শুরু করেন তিনি।

‘সূর্য দীঘল বাড়ী’, ‘এমিলের গোয়েন্দা বাহিনী’, ‘পুরস্কার’, ‘অন্য জীবন’, ‘লালসালু’, ‘শ্যামলছায়া’ চলচ্চিত্রের চিত্রগ্রাহক হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পান আনোয়ার হোসেন। কমনওয়েলথ গোল্ড মেডেলসহ ৬৮টি আন্তর্জাতিক পুরস্কার পেয়েছেন তিনি।

আনোয়ার হোসেন বিয়ে করেন অভিনেত্রী ডলি আনোয়ারকে। ১৯৯১ সালে ডলি আনোয়ার আত্মহত্যা করেন। ১৯৯৫ সালে ফ্রান্সে চলে যান আনোয়ার হোসেন। ১৯৯৬ সালে ফরাসি মেয়ে মারিয়ামকে বিয়ে করেন।