Thank you for trying Sticky AMP!!

সবার জবাব একটাই—ভালো কাটেনি বছরটা

বছরটা আমাদের সবার জন্য আতঙ্কের ছিল

আজ বৃহস্পতিবার চলতি বছরের শেষ দিন। কেমন কাটল ২০২০ সাল? সবার জবাব একটাই—ভালো কাটেনি। বরং বছরটা ছিল ‘বিষে ভরা বিশ’। পুরোটা বছর করোনাভাইরাসের থাবায় বিধ্বস্ত। সহশিল্পী, প্রিয়জনদের হারানোর বছর এটি। বিদায়বেলা বছরটি সঙ্গে করে নিয়ে যাচ্ছে বিনোদন ও সংস্কৃতি অঙ্গনের নানা গুণীজনকে। এই বছরে করোনা মহামারিতে পড়ে না-ফেরার দেশে পাড়ি জমিয়েছেন দেশে-বিদেশের অনেক তারকা। বাংলাদেশেও করোনা কেড়ে নিয়েছে অনেক কিংবদন্তি তারকাকে। এ ছাড়া নানা রকম অসুখে ভুগে মারা গেছেন শোবিজ অঙ্গনের অনেক তারকা। কয়েকজন তারকা ও গুণী মানুষের ২০২০ সাল কেমন কেটেছে, তা দেখে নেওয়া যাক।

সংগীতশিল্পী রুনা লায়লা। ছবি: প্রথম আলো

রুনা লায়লা, সংগীতশিল্পী
পুরো পৃথিবীটাই কেমন যেন বদলে গেছে। এক ভাইরাস সবকিছু টালমাটাল করে দিল। এই করোনায় আমরা কত কত প্রিয়জনকে হারালাম। তাদের মধ্যে কাছের মানুষ যেমন ছিল, তেমনি পরিচিতজনেরাও ছিল। পুরো পৃথিবীজুড়ে এ রকম কিছু হবে, কেউ ভাবতে পারেনি। এখন একটাই দোয়া, পৃথিবী দ্রুত এই ভাইরাসমুক্ত হয়ে উঠুক। এ বছর বিনোদন অঙ্গন যেমন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, তেমনি পৃথিবীব্যাপী নানা সেক্টর খুব নাজুক অবস্থায় পড়েছে। পৃথিবী সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে অর্থনৈতিকভাবে। তবে আমি আশাবাদী, সব ঠিক হয়ে যাবে।

শাকিব খান, চিত্রনায়ক
বছরটা শুরু হয়েছিল অনেক আশা আর সম্ভাবনা নিয়ে। বড় কিছু কাজের পরিকল্পনা করেছিলাম। বাংলাদেশ, ভারত ও ইউরোপে বড় ক্যানভাসের কয়েকটি ছবি শুটিংয়ের শিডিউল ছিল। এর মধ্যে যৌথ প্রযোজনার ছবিও ছিল।

সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধে শাকিব খান

হয়তো ওই সিনেমাগুলো দিয়ে এ বছরে চলচ্চিত্র ইন্ডাস্ট্রি আরও চাঙা হতে পারত। কিন্তু সবকিছু এলোমেলো করে দিয়েছে কোভিড–১৯। করোনায় ঘরবন্দী জীবনে নিজের সঙ্গে অনেক কথা বলেছি। লম্বা সময় ধরে কাজে ব্যস্ত থাকায় কোনটা আসল কোনটা নকল, বুঝতে পারিনি। এই সময়ে তা বুঝতে পেরেছি।

চঞ্চল চৌধুরী

চঞ্চল চৌধুরী, অভিনেতা
করোনার কারণে সারা বছর একটা সংকটপূর্ণ সময় পার করেছি। সব সেক্টরে একটা স্থবির অবস্থা বিরাজ করেছে। একটা সময় পরে অবশ্য প্রতিটি সেক্টর সংকট কাটিয়ে আবার নতুন স্বাভাবিক জীবন শুরু করেছে। ব্যক্তিগতভাবে বছরের শেষ দিকে এসে আমার একটি ওয়েব সিরিজ তাকদীর ভক্ত ও দর্শকের কাছে গ্রহণযোগ্যতা পেয়েছে।

আমি পেশাদার সংগীত শিল্পী না, তারপরও একটি গান গেয়েছি, শ্রোতারা তা গ্রহণ করেছেন। পারিবারিক বন্ধনের জায়গাটা নতুন করে সবার শক্ত হয়েছে, এটা ছিল বড় একটি অর্জন। চিন্তা করার সুযোগও পেতাম না। কিন্তু এবার সম্পর্কগুলো সবাই ঝালাই করতে পেরেছি।

সব সেক্টরে একটা স্থবির অবস্থা বিরাজ করেছে। একটা সময় পরে অবশ্য প্রতিটি সেক্টর সংকট কাটিয়ে আবার নতুন স্বাভাবিক জীবন শুরু করেছে।
রুমানা রশিদ ঈশিতা। ছবি: ফেসবুক থেকে

ঈশিতা, অভিনেত্রী
বছরটা আমাদের সবার জন্য আতঙ্কের ছিল। এই বছরের মতো আর কোনো বছরে এত আপনজন এবং এত গুরুত্বপূর্ণ মানুষদের হারিয়েছি বলে মনে হয় না। ইতিবাচকভাবে বললে এই বছরে আমরা নিজেদের জানার সুযোগ পেয়েছি। পরিবারের সঙ্গে সময় দেওয়ার সুযোগ পেয়েছি। কাজের ক্ষেত্রে বছরটি দারুণ কেটেছে। আমার দুটি নাটক প্রশংসিত হয়েছে। বছরের প্রথম দিকে নাটক দুটিতে অভিনয় করেছি। তবে কাজের ক্ষেত্রে দুঃখ লাগছে, আমি বেশ কয়েকটা ভালো কাজ করোনাভাইরাসের কারণে করতে পারিনি। তবে যদি ভালো সময় আসে, আবার কাজ করব।