বাঙালি মানসপটের এক স্বপ্নপ্রতিমা
সুচিত্রা সেন আজও বাঙালির মানসপটে এক স্বপ্নপ্রতিমা হিসেবে বিরাজ করছেন। সুচিত্রা সেনের লোকচক্ষুর অন্তরালে থেকে নির্জনবাস আজ কার্যত একধরনের লোকশ্রুতির চেহারা নিয়েছে। তিনি আমৃত্যু বাঙালির মানসপটে এক স্বপ্নসুন্দরীর মতো বিরাজ করেছেন। বাঙালিমাত্ররই এটি একটি সুপরিচিত অনুভূতি।
বলার অপেক্ষা রাখে না, জনপ্রিয়তার শীর্ষে উঠেছিলেন সুচিত্রা সেন। তাঁর অভিনয়সমৃদ্ধ বহু দৃশ্য আজও মানুষের হূদয়ে দাগ কেটে আছে। এ বিষয়ে আমার আর তেমন বলার নেই। তবে আমি সুচিত্রা সেনের শেষ ছবি প্রণয় পাশার নায়ক ছিলাম। আবার গোড়ার দিকেও আমি সুচিত্রা সেনের সঙ্গে নায়কের ভূমিকায় অভিনয় করেছি সাত পাকে বাঁধা ছবিতে। সেই ছবিতে সুচিত্রা সেনের অসামান্য অভিনয় সবাইকে মুগ্ধ করেছিল। পরবর্তী সময়ে দত্তা ছবিতেও আমি সুচিত্রার সঙ্গে অভিনয় করার সুযোগ পেয়েছিলাম।
সুচিত্রা সেনের মূল্যায়ন নিয়ে কোনো পণ্ডিতি-তর্ক তোলার অবকাশ রাখে না। কথা হলো, একটি সম্পূর্ণ প্রজন্মের স্বপ্নপ্রতিমা হয়ে চিত্রজগতে ছিলেন সুচিত্রা সেন। সেই স্বপ্ন এক বছর, দুই বছর নয়, বাঙালির একাধিক দশককে আলোড়িত করেছে। ফলে এটা বললে অত্যুক্তি হবে না যে সুচিত্রা সেনের স্থান বঙ্গমানসে একধরনের অমরতা লাভ করেছে। সেই অমরতা বাঙালি দেখতে পান সুচিত্রার সৌন্দর্যে। তাই আজও উত্তম-সুচিত্রা জুটি সৌন্দর্যের একটি প্রতীক হিসেবেই বাঙালির মনে গেঁথে রয়েছে। তাঁর মৃত্যু চলচ্চিত্রশিল্পের এক মহিরুহের পতন। এ ক্ষতি অপূরণীয়।
ভারতের পশ্চিমবঙ্গের খ্যাতিমান অভিনয়শিল্পী
আরও পড়ুন
-
চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ বছর করতে শিক্ষামন্ত্রীর সুপারিশ
-
‘বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিকদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা গণমাধ্যমের স্বাধীনতা হরণের নামান্তর’
-
সস্ত্রীক আত্মহত্যার আগে যে দুটি কাজ করেছিলেন হিটলার
-
যুক্তরাষ্ট্রে শিখ নেতা পান্নুন হত্যাচেষ্টায় ভারতের ‘র’ জড়িত
-
করছাড় প্রত্যাহার করা হলে ৪ বছরে ৬০ হাজার কোটি টাকা রাজস্ব বাড়বে: আহসান মনসুর