Thank you for trying Sticky AMP!!

বিশেষ বন্ধুর কথা বললেন তারা

তারা সুতারিয়া ছবি: সংগৃহীত

প্রথম ছবিতেই রাতারাতি তারকা হয়ে গেছেন তারা সুতারিয়া। যদিও অভিনয়জীবনের প্রথম ছবি স্টুডেন্ট অব দ্য ইয়ার টু বক্স অফিসে সফলতা পায়নি, তবে তা নিয়ে এতটুকু নিরাশ নন বলিউডের এই নবাগতা। মুম্বাইয়ের একটি পাঁচ তারা হোটেলে আড্ডার শুরুতেই উঠে এল তাঁর ব্যর্থতার কথা। অত্যন্ত আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে তারা বলেন, ‘আমি স্টুডেন্ট অব দ্য ইয়ার ছবির বড় ভক্ত। ছবিটি বক্স অফিসে সফল হয়েছিল। কিন্তু এর সিক্যুয়াল খুব একটা ভালো ব্যবসা করতে পারেনি। তার জন্য আমি এতটুকুও হতাশ নই। আমি মনে করি, ছবিটি খুবই মজাদার, হালকা মেজাজের এবং আজকের প্রজন্মের জন্য ছিল। এ ধরনের ছবি খুব কমই হয়। একজন অভিনেত্রী হিসেবে এর থেকে ভালো অভিষেক আর হতে পারে না।’

অভিষেক ছবিতেই তারা প্রযোজক হিসেবে পেয়েছেন করণ জোহরকে। এবারের ছবি তিনটিই বড় ব্যানারের তলায়। এ ব্যাপারে তারা কি ভাগ্যকে কৃতিত্ব দেন? এর জবাবে তিনি বলেন, ‘আমি ভাগ্যে বিশ্বাস করি। পাশাপাশি কর্মেও বিশ্বাসী। আমি ছয় বছর বয়স থেকে শিল্পকলার সঙ্গে যুক্ত। আজ প্রায় ১৬ বছর ধরে সৃজনশীল কাজ করছি। তাই তার সুফল তো পাবই।’

মিলাপ জাভেরির মারজাওয়া ছবিতে তারাকে মূক ও বধিরের চরিত্রে দেখা যাবে। আর তার জন্য অনেক প্রস্তুতি নিতে হয়েছে এই নবাগত নায়িকাকে। এ প্রসঙ্গে তারা বলেন, ‘এই ছবির জন্য আমাকে সাংকেতিক ভাষা শিখতে হয়েছে। ব্ল্যাক বরফি ছবিতে যিনি অমিতাভ বচ্চন, রানী মুখার্জি আর রণবীর কাপুরকে সাইন ল্যাঙ্গুয়েজ শিখিয়েছিলেন, তাঁর কাছে ক্লাস করতে হয়েছে।’

তারার সঙ্গে সিদ্ধার্থ মালহোত্রার সম্পর্ক নিয়ে এই মুহূর্তে বলিউডে নানা গুঞ্জন। এদিকে আবার রণবীর কাপুরের ভাই আদর জৈনের সঙ্গেও তাঁর সম্পর্কের কথা শোনা যায়। কিছুদিন আগে দিওয়ালি পার্টিতে আদরের সঙ্গে তারাকে দেখা গেছে। তাই এই সাক্ষাতে উঠে এল তাঁর সম্পর্কের কথা। সিদ্ধার্থের প্রসঙ্গে তারা বললেন, ‘আমাকে গতকালও এক সাংবাদিক আমাদের সম্পর্কের কথা জিজ্ঞেস করেছিলেন। আমি তাঁকে বলেছি, সবাইকেই বলি—সিদ্ধার্থ আমার খুব ভালো বন্ধু। আমাদের মধ্যে দারুণ সম্পর্ক। তবে সেটা প্রেম নয়।’ আর আদরের ব্যাপারে তারা স্পষ্ট জানিয়ে দেন, আদর জৈন তাঁর একজন বিশেষ বন্ধু। লাজুক হাসি হেসে তিনি বলেন, ‘আদরের সঙ্গে আমার বন্ধুত্ব একটু বিশেষ। আমি ওর সঙ্গ খুবই উপভোগ করি। আমরা একসঙ্গে অনেক সময় কাটাই। আমরা বিভিন্ন জায়গায় ঘুরতে যাই। আমরা দুজনেই খেতে ভালোবাসি। আমাদের পছন্দ খুব মেলে।’

ছোটবেলায় গায়িকা হতে চেয়েছিলেন তারা। কিন্তু ঘটনাক্রমে হয়ে গেছেন অভিনেত্রী। সিনেমার জগতের বাইরে থেকে এলেও ধীরে ধীরে নিজেকে এই জগতের একজন করে নিয়েছেন। তবে ফিল্মি পার্টিতে যেতে লজ্জা পান এই নায়িকা। তারা বলেন, ‘ফিল্মি পার্টিতে যেতে আমার খুব লজ্জা লাগত, অস্বস্তি হতো। আমার সঙ্গে আগে অনন্যা (পান্ডে) আর টাইগার (শ্রফ) থাকত। তাই ওরা আমাকে সহজ হতে খুব সাহায্য করত, কিন্তু এখন ওরা আমার পাশে নেই। তাই অস্বস্তি এখনো লাগে।’