Thank you for trying Sticky AMP!!

বৃত্তের বাইরের ছবি নিয়ে 'আউট অব দ্য বক্স'

প্রদর্শনী ঘুরে দেখছেন অতিথিরা। ধানমন্ডি, ঢাকা, ৯ নভেম্বর। ছবি: সংগৃহীত

প্রদর্শনীর শিরোনাম ‘আউট অব দ্য বক্স’। কেন এমন নামে সাত বছর ধরে এই আলোকচিত্র প্রদর্শনীর আয়োজন করা হচ্ছে, তা প্রদর্শনীটি ঘুরে না দেখলে বোঝা যাবে না। গতানুগতিক ছবির বাইরেও যে একটি ফটোগ্রাফিক দুনিয়া রয়েছে, তারই উদাহরণ হতে পারে এই প্রদর্শনী। প্রদর্শনীর আয়োজক দেশের অন্যতম অনলাইনভিত্তিক আলোকচিত্র প্রতিষ্ঠান থ্রু দ্য লেন্স বাংলাদেশ (টিটিএল-বিডি)। পৃষ্ঠপোষকতা করছে সনি আলফাসহ বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান। চিরচেনা বৃত্তের বাইরের ছবিগুলোকে মেধা ও কঠোর পরিশ্রম দিয়ে সাজিয়েছেন কিউরেটর জুয়েল পল।

গতকাল শুক্রবার বিকেলে রাজধানীর দৃক গ্যালারিতে প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন আলোকচিত্রী ও পাঠশালা সাউথ এশিয়ান মিডিয়া ইনস্টিটিউটের অধ্যক্ষ আবীর আবদুল্লাহ। আগামীকাল ১১ নভেম্বর বেলা ৩টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত প্রদর্শনী চলবে।

প্রদর্শনীতে স্থান পাওয়া মঈন আহমেদের একটি আলোকচিত্র। ধানমন্ডি, ঢাকা, ৯ নভেম্বর। ছবি: সংগৃহীত

অনুষ্ঠানে আবীর আবদুল্লাহ বলেন, ‘সামনের দিনগুলোতে আলোকচিত্রকলা বদলে যাবে, এই প্রদর্শনী হতে পারে সেই বদলে যাওয়ার সূচনা।’

সনি ইন্টারন্যাশনালের বাংলাদেশ শাখার প্রধান এলেক্স ই বলেন, ‘বাংলাদেশে যে ফটোগ্রাফি নিয়ে এত ব্যতিক্রমধর্মী কাজ হচ্ছে, তা এই প্রদর্শনীতে না এলে আমি জানতে পারতাম না।’

টিটিএল-বিডির প্রধান সাউদ আল ফয়সাল জানিয়েছেন, তাঁরা তরুণ আলোকচিত্রীদের নিয়ে এভাবেই এগিয়ে যেতে চান। ভবিষ্যতে আরও ভিন্নভাবে এবং বড় পরিসরে এই প্রদর্শনী করার পরিকল্পনা তাঁদের রয়েছে।

আবীর আবদুল্লাহর কাছ থেকে পুরস্কার গ্রহণ করছেন ফারহানা সেতু। ধানমন্ডি, ঢাকা, ৯ নভেম্বর। ছবি: সংগৃহীত

এবারের আসরে একক ও পোর্টফোলিও ক্যাটাগরিতে মোট ৫১ জন আলোকচিত্রীর ১০৪টি আলোক চিত্রকর্ম প্রদর্শিত হচ্ছে।
প্রতিযোগিতার মাধ্যমে ছবিগুলো নির্বাচন করা হয়েছে। প্রতিযোগিতার বিচারক ছিলেন আলোকচিত্রী ইসমাইল ফেরদৌস, রোহিত ভহরা ও সাউদ আল ফয়সাল। উদ্বোধনী দিনে মোট ১১ জন অংশগ্রহণকারীকে পুরস্কৃত করা হয়। লিউকেমিয়া-আক্রান্ত শিশুদের ছবির জন্য গ্র্যান্ড পুরস্কার অর্জন করেন ফারহানা সেতু।

টিটিএল প্রতিবছর এই ব্যতিক্রমধর্মী প্রদর্শনীর আয়োজন করে আসছে। ২০০৭ সালে টিটিএল যাত্রা শুরু করে। আলোকচিত্র জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা বিনিময় এই গ্রুপের অন্যতম লক্ষ্য। প্রতিষ্ঠান নিয়মিত ফটো-ওয়াক, ফটো-সাফারি, আড্ডা ও প্রদর্শনীর আয়োজন করে থাকে।