Thank you for trying Sticky AMP!!

মান্না, দিতি, মিশার পর কে?

মান্না, দিতি, মিশা এবং ...

২০১৭ সালের শেষ দিকে ঘোষণা দেওয়া হলেও ‘নতুন মুখের সন্ধানে’ কার্যক্রম নিয়ে একসময় অনিশ্চয়তা দেখা দেয়। বাংলাদেশ চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির সভাপতি মুশফিকুর রহমান গুলজার আজ শুক্রবার প্রথম আলোকে জানান, আর কোনো অনিশ্চয়তা নয়, শিগগিরই শুরু হচ্ছে ‘নতুন মুখের সন্ধানে’ কার্যক্রম। আগামীকাল শনিবার সকালে রাজধানীর ঢাকা ক্লাবে এ আয়োজন নিয়ে সংবাদ সম্মেলন হবে। সেখানে ‘নতুন মুখের সন্ধানে’ কার্যক্রম নিয়ে বিভিন্ন পরিকল্পনা তুলে ধরা হবে।

‘নতুন মুখের সন্ধানে’ কার্যক্রমে নিজেদের শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণ করে বাংলাদেশের চলচ্চিত্রে রাজত্ব করেন মান্না, দিতি, সোহেল চৌধুরী, অমিত হাসানের মতো নায়ক-নায়িকা। খল চরিত্রের অভিনেতা আর বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির বর্তমান সভাপতি মিশা সওদাগর এসেছেন এই ‘নতুন মুখের সন্ধানে’ কার্যক্রম থেকেই। বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন সংস্থা (বিএফডিসি) প্রথমবারের মতো ১৯৮৪ সালে ‘নতুন মুখের সন্ধানে’ কার্যক্রম আয়োজন করে।

বাংলাদেশের চলচ্চিত্রের বর্তমান পরিস্থিতির জন্য অনেকেই শিল্পী সংকটকে দায়ী করেন। এই সংকট নিরসনে ‘নতুন মুখের সন্ধানে’ কার্যক্রম কিছুটা হলেও ভূমিকা রাখতে পারে, তেমনটাই মনে করছেন এই আয়োজনের উদ্যোক্তারা। আগামী সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহ থেকে শুরু হবে ‘নতুন মুখের সন্ধানে’ কার্যক্রম। মুশফিকুর রহমান গুলজার জানান, এবার নায়ক-নায়িকাসহ সাতটি বিভাগে অভিনয়শিল্পী বাছাই করা হবে।

মুশফিকুর রহমান গুলজার বলেন, ‘গত শতকের নব্বই দশকেও চলচ্চিত্রে অনেক নায়ক-নায়িকা ছিলেন। তখন তাঁদের মধ্যে কাজ নিয়ে ছিল সুস্থ প্রতিযোগিতা। কিন্তু এখন নির্ভর করার মতো শিল্পী একজনই। প্রেক্ষাগৃহে দর্শক টানার মতো শিল্পীর সংকট প্রকট। ভিন্ন ধরনের গল্প নিয়ে ছবি তৈরির পরিকল্পনা করা হলে তার জন্য নায়ক-নায়িকা পাওয়া যায় না। জ্যেষ্ঠ অভিনয়শিল্পীদের বড় শূন্যতা রয়েছে। আমাদের মনে হয়েছে, এ মুহূর্তে চলচ্চিত্রে নতুন মুখের খুব প্রয়োজন।’

মান্না, সোহেল চৌধুরী, দিতি, অমিত হাসান, আমিন খান, মিশা সওদাগরসহ জনপ্রিয় অনেক শিল্পী ‘নতুন মুখের সন্ধানে’ প্রতিযোগিতার মাধ্যমে চলচ্চিত্রের সঙ্গে যুক্ত হয়েছিলেন। বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন সংস্থার (বিএফডিসি) উদ্যোগে এর আগে ১৯৮৪, ১৯৮৮ ও ১৯৯০ সালে ‘নতুন মুখের সন্ধানে’ প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। এবার এই আয়োজনকে স্বাগত জানিয়েছেন বিএফডিসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক আমীর হোসেন। তিনি বলেন, ‘এ ধরনের আয়োজন নিয়মিত হওয়া দরকার।’