Thank you for trying Sticky AMP!!

সুপারম্যান কীভাবে ওড়ে?

সুপারম্যানের উড়ে চলার পেছনের কর্মযজ্ঞ

ঝড়ের বেগে উড়ছে সুপারম্যান! পেছনে ধেয়ে আসছে ভয়ংকরদর্শন শত্রু, ভেঙে পড়ছে উঁচু উঁচু দালান। দেখে উত্তেজনায় আমরা কেমন আঁতকে উঠি, তাই না! সেই সঙ্গে ভেতরে ভেতরে একটা প্রশ্ন উঁকিঝুঁকি দিতে থাকে, ‘কীভাবে বানায় এসব?’

একই প্রশ্ন খেলা করে ‘ভিজুয়াল ইফেক্ট’-এ ভরপুর অন্য দারুণ সব ছবি দেখতে বসেও। এলিস যখন চমৎকার ওয়ান্ডারল্যন্ডে ঘুরে বেড়ায়, স্পাইডারম্যান যখন কিলবিলে প্রাণীটার সঙ্গে যুদ্ধ করতে থাকে, তখনো প্রশ্নটা মন থেকে তাড়ানো যায় না। সহজ উত্তর হলো, এসব অ্যানিমেশনের খেল। তবে পুরোটাই তো অ্যানিমেশন নয়। শুটিংয়ের কিছু কারসাজিও থাকে। ভেঙে পড়া দালান কিংবা ধেয়ে আসা কিলবিলে প্রাণী, সবই বসানো হয় শুটিংয়ের পর। এ ক্ষেত্রে একটা বড় অবদান রাখে ‘ক্রোমা স্ক্রিন’। একে ‘ক্রোমা কি’ও বলা হয়। ক্রোমার পুরো ব্যাপারটা খুবই মজার। সহজ করে সেটাই তোমাদের বলছি, শোনো।

‘ভিজুয়াল ইফেক্ট’ ব্যবহারের আগে



ক্রোমা শুটিংয়ে সাধারণত সবুজ আর নীল রঙের পর্দা বা দেয়াল ব্যবহার করা হয়। দৃশ্য ধারণের পর ভিডিও সম্পাদনার সময় সবুজ বা নীল রঙের জায়গায় সম্পূর্ণ অন্য একটি ছবি বা ভিডিও বসিয়ে দেওয়া হয়। ধরো, তুমি একটা সবুজ কাপড়ের সামনে দাঁড়িয়ে ছবি তুললে। সম্পাদনার মাধ্যমে সবুজ রংটাকে ডিজনিল্যন্ডে বদলে দেওয়া হলো। ব্যস, দিব্যি দেখা যাবে, তুমি ডিজনিল্যন্ডে দাঁড়িয়ে আছো! মজাটা এখানেই। কম্পিউটারের কি-বোর্ড ও মাউসে কিছু নির্দেশনা দিলেই হলো। ভোজবাজির মতো যেকোনো একটি রং হাপিশ হয়ে সম্পূর্ণ অন্য একটা দৃশ্য হাজির হয়।

‘ভিজুয়াল ইফেক্ট’ ব্যবহারের পর



দিলাম গোপন তথ্যটা ফাঁস করে! এরপর সুপারহিরোরা যখন শঙ্কিত মুখ করে ছুটতে থাকবে, পেছনে আসলে কেবল একটা সবুজ বা নীল দেয়াল—ভেবে তোমার হাসি পেয়ে যাবে না তো?

 মো. সাইফুল্লাহ