Thank you for trying Sticky AMP!!

২৭ বার শট দিতে হয়েছে: অর্ষা

অর্ষা

শুটিং হচ্ছিল নেপালে। নাটকের নাম প্রেম ও ঘৃণার মাঝামাঝি। পরিচালক ছিলেন সকাল আহমেদ। এই নাটকের একটা দৃশ্যে সহ-অভিনেতা মিলন ভাইয়ের (আনিসুর রহমান মিলন) সঙ্গে ধাক্কা খেতে হবে আমাকে। খুবই সাধারণ একটা দৃশ্য। এ রকম কত নাটকেই তো ধাক্কাধাক্কির দৃশ্য থাকে। আমি নিজেও ধাক্কার দৃশ্যে অভিনয় করেছি অনেকবার। সাধারণত এ রকম শট প্রথমবারেই ‘ওকে’ হয়ে যায়। কিন্তু সেবার হলো না। কী এক অজানা কারণে ধাক্কার পূর্ব মুহূর্তে মিলন ভাই হেসে ফেলেন। শট এনজি। সবাই ভাবলাম দ্বিতীয় শটে ওকে হবে। কিন্তু না। দ্বিতীয় শটেও হলো না। এরপর তৃতীয়, চতুর্থ, পঞ্চম...। ভাবুন তো, কতবার শটটা দিতে হয়েছে? ২৭ বার। হ্যাঁ, সা-তা-শ বার এনজি হওয়ার পর শটটা ওকে হয়েছিল সেবার।
২.
নাটকের নাম সাতকাহন। এই নাটকের একটা দৃশ্য ছিল এ রকম: একটা বেলগাছের নিচে দাঁড়িয়ে আমি সংলাপ বলব। সংলাপের মাঝামাঝি পর্যায়ে হঠাৎ গাছ থেকে একটা বেল পড়বে। সেই বেলটা ধরে নিয়ে সংলাপ চালিয়েই যাব। তো বেলগাছের ওপর একটা ছেলেকে উঠিয়ে দেওয়া হলো। সে বেল ফেলবে আর আমি হাতের মুঠোয় লুফে নিয়ে সংলাপ বলব। যথারীতি আমি সংলাপ বলেই যাচ্ছি, বলেই যাচ্ছি; বেল আর পড়ে না। বেলটা যখন পড়ল, ততক্ষণে আমার সহ-অভিনেতা আমার সামনে এসে দাঁড়িয়েছে এবং বলাবাহুল্য বেলটা তার মাথার ওপরেই পড়েছে। ফলে শটটি হলো এনজি।

 ৩.

সাতকাহন-এরই আরেকটা দৃশ্যের কথা মনে পড়ছে। স্যান্ডেল দিয়ে মারতে হবে আমার এক সহ-অভিনেতাকে—এ রকম ছিল দৃশ্যটা। কারণ, বিশ্ববিদ্যালয়ে যাওয়া-আসার পথে আমাকে উত্ত্যক্ত করে ছেলেটা। তো যথাসময়ে শুটিং শুরু হয়ে গেল। পরিচালকের নির্দেশ ছিল, খুব আলতোভাবে স্যান্ডেল দিয়ে মারব আমি। কিন্তু কেন জানি মারটা জোরে হয়ে যাচ্ছিল এবং দৃশ্যটা বাস্তবসম্মত হচ্ছিল না। ফলে বেশ কবার এই শট দিতে হয়েছে আমাকে। ওদিকে স্যান্ডেলের মার খেতে খেতে আমার সহ-অভিনেতা বেচারা...।

অনুলিখন: মারুফ ইসলাম