Thank you for trying Sticky AMP!!

৫ মে শিল্পী সমিতির নির্বাচন

শিল্পী সমিতির নির্বাচনে সম্ভাব্য সভাপতি প্রার্থী ওমর সানি ও মিশা সওদাগর

কমিটির মেয়াদ শেষ হওয়ার তিন সপ্তাহের মাথায় বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নতুন নির্বাচনের ঘোষণা এল। গতকাল বিকেলে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির কার্যালয়ে কার্যকরী কমিটির এক সভায় অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে সিদ্ধান্ত হয় আগামী ৫ মে শিল্পী সমিতির পরবর্তী নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সভাশেষে এ তথ্য দেন আগের সমিতির সভাপতি শাকিব খান।

গত ৭ ফেব্রুয়ারি চলতি কমিটির মেয়াদ শেষ হয়েছে। শিল্পী সমিতির গঠনতন্ত্রে ৮ (চ)-তে আছে, পূর্ববর্তী কার্যকরী পরিষদের মেয়াদ শেষে অতিরিক্ত ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন হতে হবে। তবে নির্বাচনের দিন পর্যন্ত আগের কমিটিই ক্ষমতায় বহাল থাকবে। আগামী ৮ মে অতিরিক্ত এই ৯০ দিনের মেয়াদ শেষ হবে।
নির্বাচনের ব্যাপারে শাকিব খান বলেন, ‘আমরা নিয়মের মধ্যেই নির্বাচন দিচ্ছি। আগামী ৮ মে অতিরিক্ত ৯০ দিনের মেয়াদ শেষ হবে। তার আগেই ৫ মে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।’
এই ঢালিউড নায়ক বলেন, ‘আমরা শিল্পী সমিতিটাকে শিল্পীদের কল্যাণে রাখতে চাই। এখানে ব্যক্তিগত কারও স্বার্থ নেই। তাই প্রতি দু বছর অন্তর নির্বাচনটা যেন সুন্দরভাবে নিয়মের মধ্যে হতে পারে, সেই দিকটা মাথায় রেখে আমরা কাজ করছি।’
নির্বাচনের তারিখ নির্ধারিত হলেও তফশিল ঘোষণা হয়নি এখনো। এ বিষয়ে জানতে চাইলে শাকিব খান বলেন, ‘আগামীকাল শিল্পী সমিতির পিকনিক। তা নিয়ে একটু ব্যস্ততা যাচ্ছে। আশা করছি, দু-এক দিনের মধ্যেই তফশিল ঘোষণা করতে পারব।’
এদিকে নির্বাচনের তারিখ নির্ধারিত হওয়ায় স্বাগত জানিয়েছেন পরবর্তী নির্বাচনের সম্ভাব্য সভাপতি প্রার্থী মিশা সওদাগর। তিনি বলেন, ‘এটাই আমরা চেয়েছিলাম যে, নিয়মের মধ্যেই নির্বাচনটা হোক। কে জিতল, সেটা বড় কথা নয়। নির্বাচনটা যাতে সুন্দরভাবে আনন্দঘন পরিবেশের মধ্য দিয়ে হয়, এটাই আমাদের কাম্য।’
এরই মধ্যে শিল্পী সিমিতির এই নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দুটি প্যানেল হয়েছে। একটি প্যানেলে মিশা সওদাগরের সঙ্গে সাধারণ সম্পাদক পদে প্রার্থী হয়েছেন জায়েদ খান। আরেকটি প্যানেলে সভাপতি প্রার্থী ওমর সানি, সাধারণ সম্পাদক পদে দাঁড়িয়েছেন ইলিয়াস কোবরা।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, দুটি প্যানেলই এরই মধ্যে ২১ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ প্যানেল তৈরি করে ফেলেছেন। তফশিল ঘোষণার পরেই তা প্রকাশ করবেন তাঁরা।