Thank you for trying Sticky AMP!!

'বাপজানের বায়োস্কোপ' দিয়ে বাজিমাত

‘বাপজানের বায়োস্কোপ’ সিনেমার দৃশ্য

২০১৫ সালের ঘোষিত জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারের বাজিমাত করেছেন নতুন নির্মাতা রিয়াজুল রিজুর সিনেমা। তাঁর পরিচালিত প্রথম সিনেমা অর্জন করেছে আটটি বিভাগের পুরস্কার। ২১টির মধ্যে আটটি পুরস্কার পেয়ে নিজেও বিস্মিত। ভাবেননি জীবনের প্রথম সিনেমায় এত পুরস্কার তাঁর ঝোলায় উঠবে।

রিয়াজুল রিজু জানান, চলচ্চিত্র সেন্সর বোর্ড থেকে গতকাল বৃহস্পতিবার আনুষ্ঠানিকভাবে তাঁকে খবরটি জানানো হয়েছে। এ অনুভূতি ভাষায় প্রকাশ করার মতো নয়।
রিজু বলেন, ‘জীবনে এত বেশি অপ্রাপ্তি, একসঙ্গে এত সাফল্য হজম করতে তাই সময় নিতে হচ্ছে। মানসিকভাবে তো প্রস্তুত ছিলাম না। অসংখ্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি সরকারকে, জুরিবোর্ড আর আমার শুভানুধ্যায়ীদের। ধন্যবাদ জানাই সিনেমার সঙ্গে যুক্ত সবাইকে, যাঁরা আমার প্রতি সব সময় সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন।’
২০১৫ সালের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে যেসব বিভাগে ‘বাপজানের বায়োস্কোপ’ পুরস্কার পাচ্ছে, তা হচ্ছে শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র, শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র পরিচালক, শ্রেষ্ঠ গায়ক, শ্রেষ্ঠ গীতিকার, শ্রেষ্ঠ সুরকার, শ্রেষ্ঠ কাহিনিকার, শ্রেষ্ঠ চিত্রনাট্যকার ও শ্রেষ্ঠ সম্পাদক।
জীবনের প্রথম ছবিটি আজ নির্মাতা রিয়াজুল রিজু যেভাবে সাফল্যে ভাসিয়েছে, তা নির্মাণ করতে গিয়ে তাঁকে মুখোমুখি হতে হয়েছিল নানান অভিজ্ঞতার। বললেন, ‘শুটিং হয়েছিল একদম প্রত্যন্ত এলাকায়। সিরাজগঞ্জের এনায়েতপুর থানার লাঙলমোড়া চরে। সেখানে শিল্পীদের থাকার জন্য আলাদা ব্যবস্থা করতে হয়েছিল। চর এলাকায় প্রায়ই ধূলিঝড় হতো। পুরো ইউনিট নিয়ে সেই ধূলিঝড়েও পড়েছিলাম। অনেকে অসুস্থও হন।’
‘বাপজানের বায়োস্কোপ’ সিনেমায় অভিনয় করেছেন শহীদুজ্জামান সেলিম, শতাব্দী ওয়াদুদ, সানজিদা তন্ময়, মাসুদ মহিউদ্দিন, হাফসা মৌটুসী, তারেক বাবু প্রমুখ। সিনেমার কাজ শেষ করতে গিয়ে শিল্পীদের কাছ থেকে সহযোগিতা যেমন পেয়েছেন, তেমনি কষ্টকর অভিজ্ঞতাও হয়েছে। তবে সবকিছুকে হাসিমুখে মেনে নিয়েছেন বলে জানান তিনি। বললেন, ‘চরাঞ্চলের মানুষের জীবনের গল্প নিয়ে এই সিনেমা। সবার সহযোগিতা ছাড়া এই সিনেমার কাজ শেষ করা মোটেও সম্ভব ছিল না। তবে মাঝেমধ্যে কেউ কেউ আপত্তিকর আচরণ করেছেন। আমি হাসিমুখে সব ভুলে গেছি। আমি জানি, ভালো কিছু করতে গেলে প্রতিকূলতা বরণ করতে হবে। বারবার হতাশ হয়ে আবার মানসিকভাবে শক্ত হয়েছি।’