Thank you for trying Sticky AMP!!

অন্ধ হয়ে যাওয়ার ভয়ে আছেন অমিতাভ

অমিতাভ বচ্চন ভয় পেয়েছিলেন যে তিনি অন্ধ হয়ে যাচ্ছেন কিনা। ছবি: ইনস্টাগ্রাম

নিয়মিত ব্লগ লেখেন বলিউডের শাহেনশাহ অমিতাভ বচ্চন। আজ শনিবার তাঁর ব্লগ লেখার ৪ হাজার ৪১৭তম দিন। শুক্রবার তিনি দায়েরির মতো করে লেখা এই ব্লগে লিখলেন কত কথা! স্মৃতি হাতড়ে ফিরে গেলেন অতীতে। লেখার ভূমিকাটা অবশ্য দেওয়া হয়েছে করোনাকেই। লিখেছেন, ‘আপনারা সবাই সামাজিক দূরত্ব মেনে একসঙ্গে থাকুন। আজ ইসলাম ধর্মের শব ই বরাত। পৃথিবী তাঁর ইতিহাসের সবচেয়ে ভয়ঙ্কর সময়ের ভিতর দিয়ে যাচ্ছে। সবাই ঘরে থেকে আপনারা প্রার্থনা করুন।’

এরপরেই দাদাসাহেব ফালকে জয়ী, ৭৭ বছর বয়সী এই অভিনেতা লিখেছেন, ‘এখন সবকিছু কেমন ঝাপসা দেখি। লেখা মাঝে মাঝে দুটো করে দেখি। আমি কি অন্ধ হয়ে যাচ্ছি?' এরপরই ৪ বার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারজয়ী এই তারকা লেখেন যে, যখন তিনি ছোট ছিলেন, তখন চোখে কিছু হলে মা শাড়ির আঁচল বলের মতো করে মুখে দিয়ে চোখে লাগিয়ে ভাপ দিত, তাতেই সেরে যেত। আর এখন যেন কিছুতেই কিছু হয় না।

ডাক্তার নিশ্চিত করেছেন, অন্ধ হয়ে যাচ্ছেন না অমিতাভ বচ্চন। ছবি: ইনস্টাগ্রাম

অবশ্য এসবের মাঝেই ডাক্তার দেখিয়েছেন অমিতাভ বচ্চন। ডাক্তার ওষুধ আর চোখের ড্রপ দিয়ে জানিয়েছে, এতেই ঠিক হয়ে যাবে। ভয়ের কিছু নেই। অন্ধ হয়ে যাবার কোন কারণ নেই। নিয়মিত প্রেসক্রিবশন মেনে চললে ঠিক হয়ে যাবে। আর কম্পিউটার, টুইটার, ফেসবুক, ইনস্টাগ্রামকে একটু কম সময় দিতে বলেছেন। চোখকে বিশ্রাম নিতে বলেছেন। আর অমতাভ বচ্চনও ব্লগে লিখে নিজেকে কথা দিয়েছেন, কবিতা পড়া কমিয়ে দেবেন।

অমিতাভ বচ্চন। ছবি: ইনস্টাগ্রাম

চোখের মতো লিভারও ভালো নেই অমিতাভের। বিগত ২০ বছর ধরে লিভারের মাত্র ২৫ শতাংশের উপর ভরসা করেই বেঁচে আছেন অমিতাভ বচ্চন। কিছু দিন আগে এই অভিনেতা জানিয়েছিলেন, ২০০০ সালে যক্ষ্মার চিকিৎসা হয়েছিল তাঁর। তিনি জানতেন না, তারও আরও ৮ বছর আগে থেকে সেই রোগে ভুগছিলেন তিনি।

বিগ বি বলেছিলেন, 'আমি সব সময়ই আমার নিজের উদাহরণ দিই। নিজেরই নিজের রোগকে আগে চিহ্নিত করতে হবে। আমার জনসমক্ষে বলতে কোনও অসুবিধে হয় না। আমার শরীরে যক্ষ্মা রয়েছে। হেপাটাইটিস বিও হয়েছিল। দূষিত রক্ত আমার লিভারের ৭৫ শতাংশ নষ্ট করে দিয়েছে। কিন্তু যেহেতু আমি ২০ বছর পরেও রোগকে চিহ্নিত করতে পেরেছিলাম, তাই ৭৫ শতাংশের পর ২৫ শতাংশ লিভার নিয়েও আমি দিব্যি বেঁচে রয়েছি।'