Thank you for trying Sticky AMP!!

কঙ্গনাকে জিজ্ঞাসাবাদ করবে পুলিশ!

কঙ্গনা রনৌত

বলিউড তারকা কঙ্গনা রনৌতকে নাকি পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ করবে। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, ২০১৬ সালে তিনি নাকি আইনজীবী রিজওয়ান সিদ্দিকিকে হৃতিক রোশনের মুঠোফোন নম্বর দিয়েছিলেন। পুলিশকে এমনটাই জানিয়েছেন রিজওয়ান সিদ্দিকি। কল ডেটা রেকর্ডস (সিডিআর) বেআইনিভাবে সংগ্রহের অভিযোগে সম্প্রতি তাঁকে গ্রেপ্তার করে থানে পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদে রিজওয়ান সিদ্দিকির কাছ থেকে আরও একজনের নাম জানতে পেরেছে পুলিশ, তিনি আয়েশা শ্রফ, বলিউড তারকা জ্যাকি শ্রফের স্ত্রী। ‘স্টাইল’ ছবির অভিনেতা সাহিল খানের সঙ্গে আয়েশা শ্রফের অবৈধ সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল। যখন তাঁদের সম্পর্কে ভাঙন ধরে, তখন সাহিলের মুঠোফোন নম্বর তিনি রিজওয়ান সিদ্দিকিকে দেন। জানা গেছে, পুলিশ তাঁকেও জিজ্ঞাসাবাদ করবে।

স্ত্রী অঞ্জলি নওয়াজের পেছনে নাকি গোয়েন্দা নিয়োগ করেছিলেন বলিউডের অভিনেতা নওয়াজউদ্দিন সিদ্দিকি। স্ত্রীর কল ডেটা রেকর্ডসের বিস্তারিত চেয়েছিলেন সেই গোয়েন্দার কাছ থেকে। রিজওয়ান সিদ্দিকি পুলিশকে জানান, স্ত্রীর ওপর নজরদারি চালানোর জন্য তাঁকে স্ত্রীর মুঠোফোন নম্বর দিয়েছিলেন নওয়াজউদ্দিন সিদ্দিকি। স্ত্রী কোথায় যাচ্ছেন, কার সঙ্গে দেখা করছেন—এসব তথ্য রেকর্ড-প্রমাণসহ নিয়েছেন ব্যক্তিগতভাবে নিযুক্ত সেই গোয়েন্দার কাছ থেকে।

কিন্তু কঙ্গনা রনৌত কেন হৃতিক রোশনের মুঠোফোন নম্বর রিজওয়ান সিদ্দিকিকে দিয়েছিলেন আর কেন সাহিল খানের মুঠোফোন নম্বর দিয়েছিলেন আয়েশা শ্রফ, তা এই দুজনকে জিজ্ঞাসাবাদের পর নিশ্চিত হতে পারবে থানে পুলিশ।

থানে পুলিশের অপরাধ দমন বিভাগের উপপুলিশ কমিশনার অভিস্কে ত্রিমুখে সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘তদন্তে দেখা গেছে, আয়েশা একটি বেসরকারি গোয়েন্দা সংস্থার মাধ্যমে অভিনেতা সাহিল খানের সিডিআর সংগ্রহ করে তা রিজওয়ানের হাতে তুলে দিয়েছিলেন। সাহিলের সিডিআর কেন তিনি সংগ্রহ করেছিলেন, তা জানতে আয়েশাকে ডাকা হবে। একই বিষয় জানতে কঙ্গনাকেও ডেকে পাঠানো হবে। এ ছাড়া সংশ্লিষ্ট মোবাইল অপারেটরের কর্মকর্তার কাছে এ ব্যাপারে বিস্তারিত তথ্য চেয়ে চিঠি দেওয়া হয়েছে।’

গত বছর হৃতিক রোশনের বিরুদ্ধে মামলা করে আইনি নোটিশ পাঠিয়েছিলেন কঙ্গনা রনৌত। আয়েশা শ্রফও সাহিল খানের বিরুদ্ধে প্রতারণার মামলা করেছিলেন।

রিজওয়ান সিদ্দিকি বলিউডের একজন সেলিব্রিটি আইনজীবী। বিভিন্ন তারকার মামলা পরিচালনা করেছেন তিনি। পুলিশ ইতিমধ্যেই রিজওয়ান সিদ্দিকির ল্যাপটপ ও ফোন জব্দ করেছে। তবে রিজওয়ান সিদ্দিকি দাবি করেছেন, নওয়াজউদ্দিন সিদ্দিকি আর তাঁর ভাইকে বাঁচাতে পুলিশ রিজওয়ানকে ফাঁসাচ্ছে। আর পুলিশের মতে, সিডিআর দুর্নীতি মামলায় নওয়াজউদ্দিনের সরাসরি কোনো যোগ নেই, তিনি এ মামলার একজন উল্লেখযোগ্য সাক্ষী।

সম্প্রতি থানে পুলিশের অপরাধ দমন শাখা ১১ জনকে গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের বেশির ভাগই ব্যক্তিগতভাবে নিযুক্ত গোয়েন্দা। এদিকে পুলিশের বরাত দিয়ে সংবাদমাধ্যম লিখেছে, গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের কাছ থেকে পাওয়া তথ্য যাচাই করার জন্য নওয়াজউদ্দিন সিদ্দিকিকে জিজ্ঞাসাবাদের সিদ্ধান্ত নেয় মুম্বাই পুলিশের অপরাধ দমন বিভাগ।

পুলিশ আরও জানিয়েছে, বেআইনিভাবে ফোনকলের তথ্য বিক্রির জন্য গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের মধ্যে কয়েকজন ৩০ থেকে ৫০ হাজার রুপি পর্যন্ত নিয়ে থাকেন। আর এই চক্র ব্যক্তিগতভাবে নিযুক্ত গোয়েন্দাদের কথামতো কাজ করে।