Thank you for trying Sticky AMP!!

কঙ্গনা রনৌত

কঙ্গনার প্রথম চুমুর অনুভূতি

নিজের প্রথম চুমুর অনুভূতি নিয়ে কঙ্গনা বলেছেন, ‘প্রথম চুমুর অনুভূতি একদমই ম্যাজিক্যাল ছিল না। তখন আমি কিছুই জানতাম না, বুঝতাম না। আমি আমার প্রেমিককে চুমু খাওয়ার চেষ্টা করি।

কোনো কিছুতেই রাখঢাক নেই বলিউড অভিনেত্রী কঙ্গনা রনৌতের। শুধু বলিউডের অন্দরের খবর নয়, নিজের জীবনের গোপন কথা নিয়েও খোলা খাতা তিনি। বিভিন্ন সময় একাধিক নায়কের সঙ্গে তাঁর সম্পর্কের কথা বারবার উঠে এসেছে আলোচনায়। এবার এই বলিউড অভিনেত্রী নিজের জীবনের প্রথম প্রেম এবং প্রথম চুমুর অনুভূতি নিজেই ভক্ত-অনুসারীদের জানালেন। কঙ্গনা যখন প্রথম প্রেমে পড়েন, তখন তিনি ষোড়শী। আজও তিনি ভুলতে পারেননি সেই প্রেমের কথা। তবে তাঁর প্রথম চুম্বনের অভিজ্ঞতা খুব একটা বিশেষ ছিল না।

কঙ্গনা রনৌত

কঙ্গনার কথায়, একদমই ‘ম্যাজিক্যাল’ ছিল না সেই চুমুর অনুভূতি। জীবনের প্রথম ‘ক্রাশ’ নিয়ে কঙ্গনা বলেন, ‘প্রথম ভালোবাসার অনুভূতি আমি পাই আমার এক শিক্ষককে দেখে। আমরা যখন কৈশোর থেকে তারুণ্যে পা রাখি, তখন অনেক শিক্ষকের জন্যই আমাদের হৃদয়ে অন্য রকম অনুভূতি কাজ করে। আমারও তাই হয়েছিল। আসলে ১৫-১৬ বছরের কিশোরদের চেহারায় দাড়ি-গোঁফের রেখা স্পষ্ট হয় না। তাই ওই সময়ে শিক্ষকদের ব্যক্তিত্বই কিশোরীদের বেশি আকর্ষণ করে।’ নিজের অভিজ্ঞতার বয়ান করতে গিয়ে কঙ্গনা বলেন, ‘আমি তখন নবম শ্রেণির ছাত্রী। আমি মনে মনে আমার এক শিক্ষকের প্রেমে পড়ে যাই। ওই সময় “চান্দ ছুপা বাদল ম্যায়” গানটি মুক্তি পেয়েছিল। আমি ওড়না নিয়ে গানটি গাইতাম, আর সেই শিক্ষককে মনে মনে কল্পনা করতাম!’

কঙ্গনা রনৌত

এ তো গেল একতরফা প্রেমের কথা। একেবারে বাল্যকালের দুই তরফা প্রেম নিয়েও কথা বলেন এই ঠোঁটকাটা অভিনেত্রী। তিনি বলেন, ‘১৭-১৮ বছর বয়সে আমি প্রথম প্রেমের সম্পর্কে জড়াই। তখন আমি চণ্ডীগড়ে থাকতাম। আমার প্রেমিক ছিল ২৮ বছর বয়সী মিষ্টি এক পাঞ্জাবি তরুণ। ও আমাকে দেখে বলেছিল, “তুমি তো বাচ্চা মেয়ে!” এই কথা শুনে আমার হৃদয় ভেঙে গিয়েছিল।’

কঙ্গনা রনৌত
নিজের অভিজ্ঞতার বয়ান করতে গিয়ে কঙ্গনা বলেন, ‘আমি তখন নবম শ্রেণির ছাত্রী। আমি মনে মনে আমার এক শিক্ষকের প্রেমে পড়ে যাই। ওই সময় “চান্দ ছুপা বাদল ম্যায়” গানটি মুক্তি পেয়েছিল। আমি ওড়না নিয়ে গানটি গাইতাম, আর সেই শিক্ষককে মনে মনে কল্পনা করতাম!’

নিজের প্রথম চুমুর অনুভূতি নিয়ে কঙ্গনা বলেছেন, ‘প্রথম চুমুর অনুভূতি একদমই ম্যাজিক্যাল ছিল না। তখন আমি কিছুই জানতাম না, বুঝতাম না। আমি আমার প্রেমিককে চুমু খাওয়ার চেষ্টা করি। ও আমাকে বলে, “মুখটা তো একটু সরাও...”। কিন্তু আমি তা করতে পারিনি। আসলে ওই সময় আমি হতভম্ব আর আড়ষ্ট হয়ে গিয়েছিলাম। পরে আমি ওকে মেসেজ করে অনুরোধ করি, প্লিজ, আমাকে আর একটা সুযোগ দাও। আমি শিখে নেব। আমি নিজেই নিজের হাতের তালুতে চুমু খেয়ে আড়ষ্টতা কাটানোর প্র্যাকটিস করতাম। রীতিমতো চুমু খাওয়ার মহড়া দিয়েছিলাম!’

কঙ্গনা রনৌত