Thank you for trying Sticky AMP!!

জীবনের নতুন অধ্যায় নিয়ে উচ্ছ্বসিত প্রিয়াঙ্কা

বলিউড অভিনেত্রী প্রিয়াঙ্কা চোপড়া। ছবি: ইনস্টাগ্রাম


নাম আনফিনিশড, কিন্তু সেটাই ফিনিশড করে ছাড়লেন বলিউড অভিনেত্রী প্রিয়াঙ্কা চোপড়া। তাঁর নিজের স্মৃতিকথাগুলো বইয়ের মোড়কে আসছে অবশেষে। আর তা তিনি জানান দিলেন ইনস্টাগ্রামে একটি ছবি পোস্ট করে। সেখানে দেখা গেল প্রিয়াঙ্কার হাসির ছবি। তাতে লেখা ‘আনফিনিশড বাই প্রিয়াঙ্কা চোপড়া’।

এটাই বইয়ের প্রচ্ছদ কি না, তা অবশ্য নিশ্চিত নয়। ছবিটির সঙ্গে একটি দীর্ঘ স্ট্যাটাসও দিয়েছেন প্রিয়াঙ্কা। তিনি লিখেছেন, ‘অসম্পূর্ণ এবার সম্পূর্ণ হলো। মাত্র চূড়ান্ত কপি পাঠালাম। ওয়াও! আপনাদের সঙ্গে এটি শেয়ার না করে পারলাম না। স্মৃতিকথার প্রতিটি শব্দ আমার আত্মদর্শন এবং আমার জীবনের প্রতিচ্ছবি।’ হ্যাশট্যাগ দিয়ে লিখেছেন—‘আসছে’, ‘আনফিনিশড’।
দুই বছর আগে এই স্মৃতিকথা লেখা নিয়ে শিরোনামে এসেছিলেন তিনি। তখন জানা যায়, নিজের জীবনকে এবার ভক্তদের সঙ্গে শেয়ার করতেই স্মৃতিকথা লেখার তোড়জোড়। তারপর অনেক সময় পেরিয়েছে। লকডাউনের দীর্ঘ বন্ধ কাজে লাগিয়ে এবার শেষ করে ফেললেন কাজ।

বলিউড অভিনেত্রী প্রিয়াঙ্কা চোপড়া। ছবি: ইনস্টাগ্রাম।

প্রিয়াঙ্কার মতে, বইটির লক্ষ্য একজন নারীকে বিশাল স্বপ্ন দেখতে অনুপ্রাণিত করা। একজন অভিনেতার বেশ কিছু গল্প ও ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা দিয়ে সাজানো হয়েছে এই স্মৃতিকথা। বইটি প্রকাশ করছে ভারতের পেঙ্গুইন র‌্যানডম হাউস। প্রিয়াঙ্কা বইটির ব্যাপারে এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, ‘বইটি একেবারে সৎ, মজার, আধ্যাত্মিক, দৃঢ় ও প্রতিবাদী, ঠিক যেমনটি আমি। আমি সব সময়ই একজন ব্যক্তিগত মানুষ। আমি কখনোই আমার জীবনের এসব গল্প বলিনি। কিন্তু এবার বলার জন্য প্রস্তুত হচ্ছি।’

বলিউড অভিনেত্রী প্রিয়াঙ্কা চোপড়া। ছবি: ইনস্টাগ্রাম।

প্রিয়াঙ্কা ইনস্টাগ্রামে দেওয়া দীর্ঘ স্ট্যাটাসে লেখেন, ‘আমি সব সময়ই একটি বই লিখতে চেয়েছি। কিন্তু সময় ঠিকঠাক ধরা দেয়নি। আমি সব সময়ই ধৈর্যকে প্রাধান্য দিয়েছি। কারণ, আমি তখনো প্রস্তুত ছিলাম না। আমি অনেক কিছু করতে চেয়েছি, অনেক বেশি বাঁচতে চেয়েছি, অনেক বেশি অর্জন করতে চেয়েছি স্মৃতিকথা লেখার আগে, যা সব সময়ই ব্যক্তিগত রাখার চেষ্টা করেছি।’

প্রিয়াঙ্কা তাঁর জীবনের নতুন এই অধ্যায় নিয়ে বেশ উচ্ছ্বসিত। শেষে তিনি লিখেছেন, ‘যদি আমি পারি, তাহলে যে কেউ পারবে।’ তাঁর এই শেষ কথা দিয়েই বোঝা যায়, জীবনে নিজেকে প্রতিষ্ঠা করার নানা চড়াই–উতরাইয়ের গল্পই হয়তো ধরা দিয়েছে তাঁর এই স্মৃতিকথায়।