Thank you for trying Sticky AMP!!

পাকিস্তান সরকার কিনছে রাজ কাপুর ও দীলিপ কুমারের বাড়ি

রাজ কাপুর ও দীলিপ কুমার

ভারতীয় চলচ্চিত্রের দুই উজ্জ্বল নক্ষত্রের নাম রাজ কাপুর ও দিলীপ কুমার। দুজনেরই জন্ম পাকিস্তানের পেশোয়ারে। ১৯৪৭ সালে ভারত আর পাকিস্তান ভাগ হওয়ার সময় এই দুই অভিনেতা ভারতে চলে যান। সাদাকালো থেকে রঙিন—টানা কয়েক দশক হিন্দি চলচ্চিত্রের দুনিয়ায় সফলভাবে রাজত্ব করেন।

পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখোয়াতে রয়েছে এই দুই বলিউড কিংবদন্তির পৈতৃক বাড়ি। প্রত্নতত্ত্ব বিভাগ সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে ভবন দুটিকে জাতীয় ঐতিহ্য হিসেবে ঘোষণা দেওয়া হবে। বাড়ি দুটিতে তৈরি করা হবে স্মারক ভবন।

পরিকল্পনা অনুযায়ী, প্রদেশটির বড় শহর পেশোয়ারের প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত এই দুই ভবন কেনার জন্য পর্যাপ্ত অর্থ বরাদ্দ রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছে। এই বাড়ি দুটির বর্তমান মালিক স্থানীয় দুই ব্যক্তি। পেশোয়ারের কিসা খোয়ানি বাজার এলাকায় দুটি বাড়িই ভগ্নদশা। তবে পদ্মভূষণজয়ী ‘ট্র্যাজেডি কিং’ দিলীপ কুমারের পারিবারিক বাড়িটির অবস্থা বেশি খারাপ। একটি ব্লগপোস্টে অমিতাভ বচ্চন সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ অভিনেতা হিসেবে আখ্যায়িত করেন দিলীপ কুমারকে। ভবন দুটিকে ইতিমধ্যে বিপজ্জনক বলে ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।

পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখোয়াতে রয়েছে রাজ কাপুর ও দিলীপ কুমারের পৈতৃক বাড়ি। সেই দুটো বাড়ির একটির ছবি

প্রেস ট্রাস্ট অব ইন্ডিয়ার (পিটিআই) খবরে বলা হয়েছে, দেশভাগের আগে তৈরি হওয়া ২৫টি ভবন কেনার পরিকল্পনা নিয়েছে খাইবার পাখতুনখাওয়ার প্রাদেশিক সরকার। ওই সরকার মোট ৭৭টি ভবন সেখানকার জাতীয় ঐতিহ্যের তালিকাভুক্ত করেছে। এর মধ্যে ৫২টি ভবন সরকারের মালিকানায় আছে। বাকি ২৫টি আছে স্থানীয় কিছু অধিবাসীর মালিকানায়। এই ২৫ ভবন এবার কেনার উদ্যোগ নিয়েছে প্রাদেশিক সরকার। ২৫টি ভবনের মধ্যেই রয়েছে রাজ কাপুর ও দিলীপ কুমারের পূর্বপুরুষের বাড়ি।

রাজ কাপুর

বাড়ি দুটি ভেঙে নতুন করে বানানো হবে। আর সে জন্য এর বর্তমান মালিকদের কাছ থেকে সরকার বাড়িটি কিনে নেবে। এর আগে তিনবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারসহ ১১টি ফিল্মফেয়ারজয়ী রাজ কাপুরের বাড়িটি খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশ সরকারের কাছে বিক্রি করতে ২০০ কোটি টাকা দাবি করেছেন এর বর্তমান মালিক আলী কাদর।

সরকারকে দুই দফায় পারিশ্রমিক দিতে হবে। বাড়ি দুটির বর্তমান দুই মালিককে এবং পুরাতত্ত্ব বিভাগকে নতুন করে এই বাড়ি ভেঙে বানানোর জন্য। ১৯১৮ সালে রাজ কাপুরের ‘কাপুর হাভ্যালি’ ও ১৯২২ সালে দিলীপ কুমারের বাড়িটি বানানো হয়। ২০১৪ সালে বাড়ি দুটিকে জাতীয় ঐতিহ্য হিসেবে ঘোষণা করা হয়। ২০১৮ সালে ঋষি কাপুর ভারত সরকারকে রাজ কাপুরের বাড়িটিকে জাদুঘর বানাতে অনুরোধ করেন।

দীলিপ কুমার

২০১৮ সালের ডিসেম্বরে পাকিস্তানের প্রাদেশিক সরকার এ সিদ্ধান্তের ঘোষণা দিয়েছিল। সব আনুষ্ঠানিকতা শেষ করে কাজ শুরু করতে প্রায় দুই বছর সময় লেগে গেল।

সায়রা বানু ও দীলিপ কুমার