Thank you for trying Sticky AMP!!

ভারতের ‘আইটেম ড্যান্সার’দের মধ্যে প্রথম সারির দুটি নাম মালাইকা অরোরা ও নোরা ফতেহি।

মালাইকা ফেরায় নোরার বিদায়

ভারতের ‘আইটেম ড্যান্সার’দের মধ্যে প্রথম সারির দুটি নাম মালাইকা অরোরা ও নোরা ফতেহি। ‘ছাইয়া ছাইয়া’, ‘মুন্নি বদনাম হুয়ি’খ্যাত মালাইকা ৪৬ বছর বয়সে এসেও তরুণদের ‘ফিটনেস আইকন’।

অন্যদিকে মরোক্কান বংশোদ্ভূত নোরা কানাডা থেকে বলিউডে এসে নিজের জায়গা তৈরি করে নিতে সময় নেননি। একের পর এক উপহার দিয়েছেন জনপ্রিয় মিউজিক ভিডিও। ‘দিলবার দিলবার’, ‘সাকি সাকি’র মতো বেশ কয়েকটি গানে ২৮ বছর বয়সী নোরা নেচেছেন আর নাচিয়েছেন লাখো ভক্তকে। এসব গান স্থান দখল করে নিয়েছে ইউটিউব ও টুইটারের ট্রেন্ডিংয়ে।

অন্যদিকে মরোক্কান বংশোদ্ভূত নোরা কানাডা থেকে বলিউডে এসে নিজের জায়গা তৈরি করে নিতে সময় নেননি

করোনাকালে তারকাদের মধ্যে প্রথম দিকেই কাজে নেমেছেন মালাইকা অরোরা। লকডাউনের মধ্যেই তিনি বসেছিলেন ‘ইন্ডিয়াস বেস্ট ড্যান্সার’ শোর বিচারকের আসনে। কিন্তু গত ৬ সেপ্টেম্বর ইনস্টাগ্রামে জানালেন, করোনা বাসা বেঁধেছে তাঁর শরীরে। তারপরই ঘরবন্দী হয়ে যান তিনি।

‘ছাইয়া ছাইয়া’, ‘মুন্নি বদনাম হুয়ি’খ্যাত মালাইকা ৪৬ বছর বয়সে এসেও তরুণদের ‘ফিটনেস আইকন’।

কিন্তু ইন্ডিয়াস বেস্ট ড্যান্সারের বিচারকের আসন তো আর ফাঁকা থাকবে না। সেই আসনে ‘অতিথি বিচারক’ হিসেবে বসলেন নোরা। প্রায় এক মাস তিনিই মালাইকার হয়ে বিচারের ভার তুলে নিয়েছেন। অবশ্য এতে শাপেবর হয়েছে। টিআরপি বেড়েছে এই রিয়েলিটি শোর। এখন আবার সুস্থ হয়ে ফিরছেন মালাইকা। তাই বিদায় নিতে হচ্ছে নোরাকে। তবে গ্র্যান্ড ফিনালের দিন আবার দেখা যাবে তরুণ এই নৃত্যশিল্পীকে। মালাইকার সঙ্গে পাশাপাশি আসনে বসবেন। অন্য দুই বিচারক টেরেন্স লুইস আর গীতা কাপুর তো আছেনই।

গ্র্যান্ড ফিনালের দিন আবার দেখা যাবে তরুণ এই নৃত্যশিল্পীকে। মালাইকার সঙ্গে পাশাপাশি আসনে বসবেন নোরা

সুস্থ হয়ে মালাইকা ভারতীয় চলচ্চিত্র সাময়িকী ফিল্মফেয়ারকে বলেন, ‘আমি এমন একজন মানুষ যে কাজ না করে, বাইরে না বের হয়ে, ঘোরাঘুরি না করে কখনো থাকিনি। বছরের পর বছর ধরে আমি কেবল ছুটে চলেছি। তাই আমার জন্য ১৪ দিন ঘরে থাকা যতটা না শারীরিক সংকট, তার চেয়ে অনেক বেশি মানসিক সংকট। এমন দুঃসময়ে যে মানুষগুলো পাশে থাকেন, যেমন ডাক্তার, সেবিকা—তাঁদের প্রতি আমি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।’

মালাইকা এমন একজন মানুষ যে কাজ না করে, বাইরে না বের হয়ে, ঘোরাঘুরি না করে কখনো থাকেননি