Thank you for trying Sticky AMP!!

যৌন হেনস্তাকারীর আত্মহত্যার চেষ্টা

অনির্বাণ দাস ব্লা

কাওয়ান এন্টারটেইনমেন্টের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা এবং ‘সেলিব্রিটি ম্যানেজার’ অনির্বাণ দাস ব্লার বিরুদ্ধে এরই মধ্যে যৌন হেনস্তার কয়েকটি গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। এসব অভিযোগের ব্যাপারে তিনি কোনো প্রতিবাদ করেননি, এমনকি কোনো বিবৃতিও দেননি। এবার জানা গেছে, গতকাল বৃহস্পতিবার গভীর রাতে মুম্বাইর নভি এলাকার পুরোনো ভাসি ব্রিজ থেকে ঝাঁপিয়ে পড়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন তিনি। কিন্তু বাধা টপকানোর সময় সেখানে দ্রুত পুলিশ এসে তাঁকে ধরে ফেলে। এর ফলে আত্মহত্যার চেষ্টা ব্যর্থ হয় তাঁর। এ সময় তিনি কান্নায় ভেঙে পড়েন।

বলিউডের নায়ক-নায়িকাদের কাছে অনির্বাণ দাস ব্লা খুবই ক্ষমতাধর একজন ব্যক্তির নাম। কাওয়ান এন্টারটেইনমেন্ট এখন হৃতিক রোশন, রনবীর কাপুর, দীপিকা পাড়ুকোন, সোনম কাপুর, জ্যাকুলিন ফার্নান্দেজ, প্রিতম, মহেশ বাবু, রানা দাগ্গুবতিসহ আরও অনেক জনপ্রিয় সেলিব্রিটির মার্কেটিং ও তাঁদের ব্যবস্থাপনার কাজ করছে। আর এখানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছেন অনির্বাণ দাস ব্লা। তিনি এই সেলিব্রিটিদের ম্যানেজার।

‘#মি টু’ আন্দোলনে যখন অনেক নারী তাঁদের তিক্ত অভিজ্ঞতা আর কঠিন দিনগুলোর কথা তুলে ধরছেন, তখন এই অনির্বাণ দাস ব্লার বিরুদ্ধে যৌন হেনস্তার কয়েকটি অভিযোগ এসেছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। যেহেতু সেলিব্রিটিদের পাশাপাশি তাঁকেও সবাই ‘সেলিব্রিটি ম্যানেজার’ হিসেবেই গুরুত্ব দেন, তাই এই সুযোগকে নাকি তিনি কাজে লাগিয়ে অনেক মেয়ের সঙ্গে প্রতারণা করেছেন। অনেক মেয়েকেই চলচ্চিত্রে সুযোগ করে দেওয়ার কথা বলে তাঁদের ওপর যৌন নির্যাতন করেছেন। তাঁর মধ্য থেকে কয়েকজন এখন মুখ খুলেছেন।

কাওয়ান এন্টারটেইনমেন্ট থেকে এরই মধ্যে জানানো হয়েছে, নিরাপদ কর্মপরিবেশের জন্য কাজ করছে প্রতিষ্ঠানটি। তাই অনির্বাণ দাস ব্লার বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠার পর তাঁকে কাওয়ান এন্টারটেইনমেন্ট থেকে পদত্যাগ করার জন্য বলেন প্রতিষ্ঠানটির অন্য অংশীদারেরা। এমনকি যে সেলিব্রিটিদের ব্যবস্থাপনার কাজ তিনি দেখাশোনা করছিলেন, তাঁরাও মুখ ফিরিয়ে নিয়েছেন। অনেকেই এখন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম অথবা বিভিন্ন সংবাদ সংস্থাকে জানিয়েছেন, যাঁদের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্তার অভিযোগ শোনা যাবে, যদি প্রমাণিত হয়, তাহলে তাঁদের সঙ্গে কেউ কাজ করবেন না।

মাত্র অল্প দিনের মধ্যে সম্মানহানি, চাকরি হারানো, সামাজিক ও পারিবারিকভাবে অপদস্থ হওয়া—সবকিছু মিলিয়ে অনির্বাণ দাস ব্লা মানসিকভাবে অবসাদগ্রস্ত হয়ে পড়েন। ধারণা করা হচ্ছে, এর ফলে তিনি আত্মহত্যার মতো জঘন্য পথকে বেছে নেন।