Thank you for trying Sticky AMP!!

শাহরুখ না হৃতিক, কে জিতলেন

বলিউডের বড় পর্দার দুই হৃদয়, শাহরুখ খান আর হৃতিক রোশন। ছবি: ইনস্টাগ্রাম

বলিউডের বড় পর্দার দুই হৃদয়—শাহরুখ খান আর হৃতিক রোশন। একজন কখনো প্রেমিক রাহুল বা কখনো রাজ বা রাম হয়ে মানুষের মন জয় করেছেন। আরেকজন নাচের মুদ্রা, মারামারি আর গ্রিক দেবতার লুক দিয়ে জায়গা করে নিয়েছেন কোটি মানুষের হৃদয়ে। বলিউডের খানদের সম্রাজ্যতে যদি কেউ সত্যিকারভাবে হানা দিয়ে থাকে, তাহলে সেই নামটি প্রখ্যাত প্রযোজক ও পরিচালক, রাকেশ রোশনপুত্র হৃতিক রোশন। 


৪৬ বছর বয়সী হৃতিক, ৪৫ বছর বয়সে এসে ক্যারিয়ারের সফলতম সময়ের দেখা পেলেন। মেঘ দেখে ভয় করেননি হৃতিক। আড়ালে লুকিয়ে থাকা হাসিমুখের সূর্যের দেখা পেয়েছেন ঠিকই। ২০১৯ সালে হৃতিক রোশনের দুটি ছবি মুক্তি পেয়েছে, ‘সুপার থার্টি’ ও ‘ওয়ার’। এই দুটি ছবিই ২০১৯ সালের সর্বোচ্চ আয় করা ১০ ছবির তালিকায় স্থান করে নিয়েছে। ‘ওয়ার’ বলিউডের ইতিহাসে মুক্তির দিন সবচেয়ে বেশি আয় করা ছবি। ২ অক্টোবর মুক্তির প্রথম দিন ছবিটি তুলে আনে ৫৩ কোটি রুপি। আর এখন পর্যন্ত ভারত ও ভারতের বাইরে থেকে ‘ওয়ার’ আয় করেছে ৫০০ কোটি রুপি। এটি ২০১৯ সালের সর্বোচ্চ আয় করা ছবি। গণিত শিক্ষক আনন্দ কুমারকে নিয়ে ছবি ‘সুপার থার্টি’ আয় করেছে ২০৮ কোটি রুপি। সব মিলিয়ে হৃতিক রোশনের দুটি ছবি আয় করেছে ৭০৮ কোটি রুপি। এইবেলা একটু বলে রাখি, ২০১৯ সালে হৃতিকের অর্জনের মুকুটে যুক্ত হয়েছে আরও একটি রুপালি পালক। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক একটি এজেন্সির সম্প্রতিক জরিপ বলে, জনপ্রিয় ফুটবল তারকা ডেভিড বেকহাম, ‘টোয়াইলাইট’ ছবির নায়ক রবার্ট প্যাটিনসন আর ‘ক্যাপ্টেন আমেরিকা’ ছবির নায়ক ক্রিস ইভানের মতো সুপুরুষদের পেছনে ফেলে ‘বিশ্বের সবচেয়ে হ্যান্ডসাম পুরুষ’ তারকা হৃতিক রোশন।
হৃতিকের যেখানে বৃহস্পতি তুঙ্গে, সেখানে শাহরুখের দিনকাল ভালো যাচ্ছে না। গত এক দশকেই ‘চেন্নাই এক্সপ্রেস’ ছাড়া শাহরুখের তেমন বক্স অফিস মাতানো ছবি নেই। তারকাবহুল ‘হ্যাপি নিউ ইয়ার’কে পুরোপুরি শাহরুখের ছবি বলা যায় না। আর ছবিটি বক্স অফিসে মোটামুটি আয় করলেও সমালোচকেরা বলেছে ‘সস্তা, বাজে মুভি’। কিছু সিনেমা শতকোটির ক্লাবে গেলেও সাধারণ মানুষ বা সমালোচক—কোনো শ্রেণির ভেতরেই সেভাবে সাড়া ফেলতে পারেনি। তবে শাহরুখ কথা দিয়েছেন, চলতি দশকেই তিনি দর্শকদের তাঁর জীবনের সেরা ছবিগুলো উপহার দেবেন। একনজরে দেখে নেওয়া যাক, এই দুইজনের যেই ছবিগুলো, যেগুলো ভারতের বক্স অফিসে পার করেছে ১০০ কোটির মাইলফলক। এখানে ভারতের বাইরে থেকে ছবিগুলোর আয় যুক্ত করা হয়নি।

শাহরুখ খান :
ছবির নাম—দেশীয় আয় (কোটি রুপিতে)
চেন্নাই এক্সপ্রেস—২০৭ কোটি রুপি
হ্যাপি নিউ ইয়ার—১৭৮ কোটি রুপি
দিলওয়ালে—১৪০ কোটি রুপি
রই—১২৯ কোটি রুপি
রা ওয়ান—১১৪ কোটি রুপি
ডন টু—১০৬ কোটি রুপি
জাব তাক হ্যায় জান—১০২ কোটি রুপি
হৃতিক রোশন:
ছবির নাম—দেশীয় আয় (কোটি রুপিতে)
ওয়ার—২৯৩ কোটি রুপি
কৃষ থ্রি—১৭৬ কোটি রুপি
সুপার থার্টি—১৪৭ কোটি রুপি
ব্যাং ব্যাং—১৪১ কোটি রুপি
অগ্নিপথ—১১৯ কোটি রুপি

হৃতিক রোশন, শাহরুখ খান। ছবি: ইনস্টাগ্রাম

অন্যদিকে হৃতিকের প্রিয় সিনেমা আবার শাহরুখ অভিনীত। চলতি লকডাউনে ঘরে বসে আরও একবার দেখে ফেলেছেন, ১৯৯৫ সালে মুক্তি পাওয়া বলিউডের বড় পর্দার সেই আইকনিক ছবি—‘করণ–অর্জুন’। দেখেই ক্ষান্ত থাকেননি, টুইট করে জানান দিয়েছেন, ‘করণ-অর্জুনের সঙ্গে যুক্ত পুরো দলকে আমার ধন্যবাদ আর কৃতজ্ঞতা। দুর্দান্ত এই ছবিটি উপহার দেওয়ার জন্য। আমার মনে আছে, ভারতের দর্শককে পাগল করে দিয়েছিল এই ছবি।’
শাহরুখের ৭টি ছবি, আর হৃতিকের ৫টি। তবে ’৯০ বা একবিংশ শতকের শুরুর দশকের প্রথম দিকের ছবিগুলোর আয় যদি ২০২০ সালের হিসাবে ধরা হয়, তাহলে এই হিসাব ওলট–পালটও হয়ে যেতে পারে।