Thank you for trying Sticky AMP!!

সত্যজিৎ রায় যদি একবার প্রস্তাব দিতেন...

নৃত্যশিল্পী থেকে সিনেমায় অভিনয়ের চেষ্টা করে বারবার ব্যর্থ হয়েছেন, প্রথম সিনেমায় বক্স অফিসে সাড়া জাগাতে ব্যর্থ হন। তারপরও কখনো হাল ছাড়েননি। নিজের চেষ্টায় ইন্ডাস্ট্রিতে আলাদা জায়গা করে নিয়েছিলেন। আজ ১৬ অক্টোবর হেমা মালিনীর জন্মদিন।

তামিলের আঞ্চলিক সিনেমায় নাচতেন হেমা। পরে তিনি সিনেমার নায়িকা হওয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু চেহারা নায়িকাসুলভ না হওয়ায় সি ভি শ্রীধরের সিনেমা থেকে বাদ পড়ে যান। বেশ কবার প্রত্যাখ্যাত হওয়ার তিন বছর পর ‘সপনোঁ কা সওদাগর’-এ নায়িকা চরিত্রে অভিনয়ের সুযোগ পান। তাঁর প্রথম এই সিনেমায় বিপরীতে ছিলেন রাজ কাপুর। সিনেমাটি ফ্লপ হয়
২. শোনা যায়, তাঁকে পছন্দ করতেন অভিনেতা সঞ্জীব কুমার ও জিতেন্দ্র। তাঁদের কাছ থেকে বিয়ের প্রস্তাবও পেয়েছিলেন। কিন্তু তিনি পছন্দ করতেন ধর্মেন্দ্রকে। একসঙ্গে ছবি করতে গিয়ে তাঁদের পরিচয়। শোনা যায়, জিতেন্দ্রর সঙ্গে বিয়ে ঠিক হয়ে যাওয়ার পর একদম শেষ মুহূর্তে নাকি তা ভেঙে দেন হেমা। জল্পনা–কল্পনার অবসান ঘটিয়ে ১৯৭৯ সালের ২১ আগস্ট হেমা ও ধর্মেন্দ্র ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করে বিয়ে করেন
একসময় নায়কদের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে পারিশ্রমিক নিতেন হেমা মালিনী। ১৯৭১ থেকে ১৯৭৫ সাল পর্যন্ত বলিউডের সর্বাধিক উপার্জনকারী শিল্পীর তালিকায় তাঁর অবস্থান ছিল চতুর্থ। ‘শোলে’, ‘সীতা অউর গীতা’, ‘মীরা’, ‘কিনারা’, ‘সন্ন্যাসী’, ‘মেহবুবা’, ‘ড্রিম গার্ল’, ‘প্রেম নগর’, ‘খুশবু’র মতো সিনেমা তাঁকে অন্যদের কাছ থেকে আলাদা করেছে
শৈশবে নাচের প্রতি প্রবল ঝোঁকের কারণে পড়াশোনায় ছিলেন অমনোযোগী। এর মধ্যেই তাঁর মনে হয়, অভিনেত্রী হতে পারবেন। সেই স্বপ্নে বিভোর হেমার মেট্রিকও পাস করা হয়নি। তাঁর মা চাইতেন, পড়াশোনা শেষ করে মেয়েকে বিয়ে দেবেন
সহ–অভিনেতা হিসেবে শশী কাপুর, রাজেশ খান্না, দেব আনন্দ ছিলেন তাঁর সবচেয়ে বেশি পছন্দ। এ তালিকায় ধর্মেন্দ্র ও অমিতাভ বচ্চন না থাকায় গণমাধ্যম তাঁর সমালোচনা করতেও ছাড়েনি। শশী কাপুরের সঙ্গে তাঁর পাঁচটি, দেব আনন্দের সঙ্গে তিনটি সিনেমা সুপারহিট
প্রথম আলোর সঙ্গে এক সাক্ষাৎকরে হেমা জানিয়েছিলেন, ভালো পরিচালক যদি প্রস্তাব দেন, অবশ্যই বাংলা সিনেমায় অভিনয় করবেন। তিনি আরও বলেছিলেন, ‘তবে আমার তো বয়স হয়ে গেছে, পরিচালকেরা আগ্রহী হবেন কি না, জানি না! তবে সত্যজিৎ রায় যদি একবার প্রস্তাব দিতেন তাঁর ছবিতে অভিনয়ের জন্য, ঝাঁপিয়ে পড়তাম।’
তাঁর মা চাইতেন, হেমা নাচই করুক। যে কারণে এখনো নিয়মিত নাচ করতে চান। হেমা এখন নিয়মিত অভিনয় না করলেও নাচের একটি স্কুল চালান। তিনি মনে করেন, ‘যেদিন নাচতে পারব না, সেদিন আমি থাকব না’
সর্বমোট ১১ বার ফিল্মফেয়ার পুরস্কারে সেরা অভিনেত্রীর মনোনয়ন পান। তিনবার পুরস্কারটি পান। ২০০০ সালে চলচ্চিত্রে অবদানের জন্য ভারত সরকার তাঁকে পদ্মশ্রী খেতাব দেয়
হেমার সৌন্দর্যের রহস্য জানার আগ্রহ অনেকেরই। এক সাক্ষাৎকারে তিনি জানিয়েছেন, তাঁর সৌন্দর্যের একমাত্র রহস্য পানি। প্রচুর পানি পান করে ত্বকের পরিচর্যা করেন হেমা মালিনী। তিনি সব সময় মনে করতেন, ভক্তদের কাছে ‘ড্রিম গার্ল’ খ্যাতিই তাঁর জীবনের সেরা পাওয়া
হেমা মালিনী ১৯৯৯ সাল থেকে রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত। ওই বছর ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) হয়ে নির্বাচনী প্রচারণা করেন। ২০০৪ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে বিজেপিতে যোগ দেন হেমা মালিনী। ২০০৯ সাল পর্যন্ত এ অভিনেত্রী রাজ্যসভার সদস্য ছিলেন
রুপালি পর্দায় বেল বটম জনপ্রিয় করেন হেমা