Thank you for trying Sticky AMP!!

সানি দেওলের সংসদ সদস্য পদ হারানোর আশঙ্কা!

সানি দেওলের সংসদ সদস্য পদ হারানোর আশঙ্কা তৈরি হয়েছে

এবার লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির প্রার্থী হয়ে স্ত্রী হেমা মালিনী জিতেছেন উত্তর প্রদেশের মথুরাপুর থেকে আর ছেলে সানি দেওল পাঞ্জাবের গুরুদাসপুরে। নির্বাচনে স্ত্রী আর ছেলের এমন ফলাফলে দারুণ খুশি বলিউডের বরেণ্য অভিনেতা ধর্মেন্দ্র। তাঁর বয়স এখন ৮৩। এবার মনে হচ্ছে, ধর্মেন্দ্রর এই আনন্দ হয়তো থেমে যাবে। কারণ, সানি দেওলের সংসদ সদস্য পদ হারানোর আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।

ভারতীয় বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম থেকে জানা গেছে, সানি দেওলের বিরুদ্ধে অভিযোগ, নির্বাচনী প্রচারে তিনি অতিরিক্ত খরচ করেছেন। এরই মধ্যে নির্বাচন কমিশন থেকে সানি দেওলকে নোটিশ পাঠানো হয়েছে। নিয়ম অনুযায়ী নির্বাচনের খরচসংক্রান্ত বিধিমালা লঙ্ঘন প্রমাণিত হলে সর্বোচ্চ শাস্তি হিসেবে বিজয়ী প্রার্থীর সদস্য পদ বাতিল করতে পারে নির্বাচন কমিশন।

জানা গেছে, নির্বাচন কমিশন থেকে লোকসভা নির্বাচনে প্রত্যেক প্রার্থীর নির্বাচনী খরচ বাবদ ৭০ লাখ রুপি নির্ধারণ করে দেওয়া হয়। সানি দেওলের বিরুদ্ধে অভিযোগ, নির্বাচনে তিনি ৮৬ লাখ রুপি খরচ করেছেন। নির্বাচন কমিশনের কাছে এ–সংক্রান্ত একাধিক অভিযোগ জমা পড়েছে। সানি দেওলকে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে নির্বাচন কমিশন থেকে পাঠানো নোটিশের জবাব দিতে হবে। পাশাপাশি নির্বাচন কমিশন থেকেও তা তদন্ত করে দেখা হবে। অভিযোগ প্রমাণিত হলে সানি দেওলের শাস্তির ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। তখন যদি সানি দেওলের সংসদ সদস্য পদ বাতিল করা হয়, সে ক্ষেত্রে যিনি দ্বিতীয় স্থানে আছেন, তাঁকেই বিজয়ী ঘোষণা করা হতে পারে।

এর আগে সানি দেওলের বিরুদ্ধে আরও একবার নির্বাচনী বিধি ভঙ্গের অভিযোগ ওঠে। তখন বলা হয়েছে, নির্বাচনের আগে নির্বাচন কমিশনের বেঁধে দেওয়া সময়সীমার বাইরে গিয়ে তিনি প্রচারকাজে অংশ নিয়েছেন। তখন সানি দেওলকে এ ব্যাপারে সতর্ক করে দেওয়া হয়।

এবার ভারতে সপ্তদশ লোকসভা নির্বাচনে পাঞ্জাবের গুরুদাসপুর আসন থেকে পাঞ্জাব কংগ্রেসের প্রধান সুনীল জাখরকে ৮০ হাজার ভোটে হারিয়ে জয়ী হয়েছেন বলিউডের তারকা সানি দেওল। গত মঙ্গলবার তিনি সাংসদ হিসেবে শপথ নিয়েছেন। তাঁর বয়স ৬২। শপথ নেওয়ার সময় তিনি সাদা জামা, কালো ট্রাউজার্স আর কালো কোট পরেছিলেন। তিনি যখন শপথ নিতে যান, তখন সামনে বসে থাকা অন্য সংসদ সদস্যরা তাঁকে হাততালি দিয়ে অভিনন্দন জানান। সানি দেওল ইংরেজিতে শপথবাক্য পাঠ করেন। শপথবাক্য পাঠ শেষ করার পর অন্য সংসদ সদস্যরা স্লোগান দেন, ‘ভারত মাতা কি জয়’।