Thank you for trying Sticky AMP!!

'ছপাক' একটা আন্দোলন: গুলজার

লক্ষ্মী আগরওয়াল ও গুলজার। ছবি: ইনস্টাগ্রাম থেকে নেওয়া

লক্ষ্মী আগরওয়াল যখন অ্যাসিড–সন্ত্রাসের শিকার হন, তখন তাঁর বয়স ছিল ১৫। লক্ষ্মীর অপরাধ, তিনি ৩২ বছর বয়সী ওই লোকের প্রেমের প্রস্তাবে সাড়া দেননি। তারপরও উঠে দাঁড়িয়েছেন, বেঁচে আছেন লক্ষ্মী। অ্যাসিড বিক্রির বিরুদ্ধে আন্দোলন করেছেন। তার পরিপ্রেক্ষিতে ভারতের সংবিধান নতুন আইন পাস করেছে। এখন ২৯ বছর বয়সী লক্ষ্মী এক সন্তানের মা, সমাজকর্মী, টেলিভিশন উপস্থাপক ও অনুপ্রেরণাদায়ক বক্তা।

সংবাদ সম্মেলনে লক্ষ্মী আগরওয়াল, দীপিকা পাড়ুকোন ও গুলজার। ছবি: ইউটিউব থেকে নেওয়া

এই লক্ষ্মী আগরওয়ালের জীবন থেকে অনুপ্রাণিত চলচ্চিত্র ‘ছপাক’ মুক্তি পাবে ১০ জানুয়ারি। দীপিকা পাড়ুকোন, বিক্রান্ত মাসেই অভিনীত ছবিটি পরিচালনা করেছেন মেঘনা গুলজার। ছবির সংগীত পরিচালনা করেছেন শঙ্কর-এহসান-লয়। আর গান লিখেছেন অস্কার ও গ্র্যামিজয়ী ভারতীয় গীতিকার গুলজার। ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস ডটকমের প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, ‘ছপাক’ ছবির গান মুক্তি উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে গুলজার বলেন, ‘মেঘনা, লক্ষ্মী আর দীপিকার অর্জনে আমি গর্বিত। তাদের এই বিষয়ের ওপর ছবি নির্মাণের সিদ্ধান্ত আর সেটা ঘটিয়ে ফেলা, সত্যিই দুর্দান্ত একটা ব্যাপার।’

‘ছপাক’ ছবির দৃশ্যে দীপিকা পাড়ুকোন ও বিক্রান্ত মাসেই। ছবি: ইনস্টাগ্রাম থেকে নেওয়া

সাতবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পাওয়া ও ২১টি ফিল্মফেয়ার জয়ী এই গীতিকার, চলচ্চিত্র পরিচালক, কবি ও লেখক আরও বলেন, ‘আমার ছবিতে, আমার লেখায় বারবার উঠে এসেছে নারীদের কথা। আমার প্রতিটি ছবি নারী চরিত্রকেন্দ্রিক। সঞ্জীব কুমার অবশ্য দাবি করতে পারে যে তাকে বলা হয়েছে, সে-ই ছবির মূল চরিত্র করছে। কিন্তু সেটিও আসলে একটা নারীরই গল্প। আমার “আন্ধেরি”, “খুশবু”সহ আরও অসংখ্য ছবিতে তুলে ধরা হয়েছে নারীর জীবনের গল্প।’

‘ছপাক’ ছবির পরিচালক মেঘনা গুলজারের বাবা গুলজার জানান, তিনি সব সময় ইন্ডাস্ট্রিতে নারীদের নিরাপত্তার বিষয়ে সচেষ্ট ছিলেন। তিনি বলেন, ‘সব সময় ভাবতাম, কীভাবে নারীদের নিরাপত্তা দিতে পারি। পরে দেখলাম, তারা নিজেরাই নিজেদের নিরাপত্তার জন্য যথেষ্ট। এখন তারা সব পেশায়, সর্বত্র পুরুষের কাঁধে কাঁধ রেখে কাজ করছে। নারীকেন্দ্রিক বহু সিনেমা হচ্ছে। এটাই আমার চোখে অগ্রগতি।’

পরিচালক মেঘনা গুলজার, লক্ষ্মী আগরওয়াল ও দীপিকা পাড়ুকোন। ছবি: ইউটিউব থেকে নেওয়া

বক্তব্যের শেষে গুলজার আরও বলেন, ‘তবে এখনো আমাদের সমাজে নারীদের ওপর সহিংসতা হচ্ছে। নারীরা তাদের প্রতি সমাজ, পুরুষ ও অন্য নারীর দৃষ্টিভঙ্গি বদলানোর জন্য কাজ করছে। আমি আগেও বলেছি, আবার বলছি, “ছপাক” কেবল একটা সিনেমা নয়, এটি সমাজ পরিবর্তনের আন্দোলন। আগে এটা কেবল নারীদের ছিল, এখন আমাদেরও। আমাদের নারীরা যেন নিরাপদে থাকে, সেটি আমাদেরই নিশ্চিত করতে হবে।’