Thank you for trying Sticky AMP!!

অস্ট্রেলিয়ায় শাবনূরের ‘বোরিং’ ঈদ

শাবনূর

এক দশকের বেশি হয়ে গেল অস্ট্রেলিয়া আছেন শাবনূর। কিন্তু এবারের মতো এমন পানসে ঈদ তাঁর একবারও কাটেনি। শাবনূরের ভাষায়, এবারের ঈদটা ভীষণ বোরিং কেটেছে। লকডাউনের কারণে বাসা থেকে বেরই হতে পারেননি। ঘরে বসেই পরিবারের অন্যদের সঙ্গে ঈদ উদযাপন করতে হয়েছে।

শাবনূর

একমাত্র সন্তান আইজান নেহানকে নিয়ে সিডনিতে থাকেন শাবনূর। মা, ভাই, বোন ও আত্মীয়স্বজনসহ শাবনূরের পরিচিত ৫০ জনের বেশি মানুষ অস্ট্রেলিয়াতে থাকেন। তাঁদের কেউ থাকে সিডনি, কেউ মেলবোর্ন। শাবনূরের তাই সেখানে মানিয়ে নিতে খুব একটা সমস্যা হয় না। যখন মন চায় আত্মীয়স্বজন আর বন্ধুদের বাসায় বেড়াতে যান। ঘুরতেও বের হন। সিডনিতে থাকলে ঈদের সময়টায় আনন্দ উদযাপন হয় আরও বেশি। মনে হয়, দেশেই আছেন। কিন্তু এবারের ঈদে ঘর থেকে বের হতে পারেননি।

শাবনূর

শাবনূর বলেন, ‘অস্ট্রেলিয়ায় ঈদ করি, এটা আমাকে খুব বেশি কষ্ট দেয় না। আসলে মানুষ তো যে যেখানেই থাকুক, ঈদ করতে সবাই পরিবারের কাছে ছুটে যায়। আমার পরিবারের প্রায় সবাই সিডনিতে থাকেন। এ ছাড়া এখানে আমার অনেক বন্ধু আছে। অস্ট্রেলিয়ায় সাপ্তাহিক ছুটির দিনগুলোও একেকটা উৎসবের সমান। প্রায় প্রতি সপ্তাহেই কেউ না কেউ পিকনিকের আয়োজন করে। ঈদের সময় আনন্দ আয়োজনটা থাকে আরও বেশি। কিন্তু লকডাউনের কারণে এবার কিছুই হলো না। কারও সঙ্গে এবার দেখা হয়নি। ফোনে কথা বলেছি। ইনশা আল্লাহ পৃথিবী ঠিকঠাক হলে আমরা আবার আনন্দ–উৎসব করব।’

শাবনূর

শাবনূর প্রথম আলোকে বলেন, ‘অন্য সময় ব্যস্ত থাকলেও ঈদের সময়টায় সবাই সাধারণত ঘোরাঘুরি করতে পছন্দ করে। আমি ঘুরতে ভালোবাসি। কিন্তু পরিবার, আত্মীয়স্বজন ও বন্ধুবান্ধবদের সবার সুরক্ষার কথা ভেবে এবার আমাদের ঘরে থাকতে হয়েছে।’

কথায় কথায় শাবনূর জানালেন, বাংলাদেশের অনেকের সঙ্গেই কথা হয়। তাঁদের সবার জন্য মনটা ভীষণ খারাপ। শাবনূর বললেন, ‘যখন যার কথা মনে পড়ে, সময় পেলেই খোঁজখবর নিই। ক্যামেরার পেছনে যাঁরা আমার সঙ্গে সব সময় থাকতেন, আমার মেকআপ ম্যান, ড্রেস ম্যান, তাঁদের বেশি মিস করছি। যে যেখানেই আছেন, সাবধানে থাকবেন।’