Thank you for trying Sticky AMP!!

ঝামেলায় পড়বে মাঝপথে থেমে যাওয়া সিনেমাগুলো

নুসরাত ফারিয়া। ছবি: প্রথম আলো

করোনায় বড় রকমের জটিলতায় পড়তে যাচ্ছে ঢালিউড। একদিকে বিনোদনজগতের সব ধরনের কাজ বন্ধ, কবে শুরু হবে, সেটাও অজানা,অন্যদিকে বাড়িতে আটকে থেকে নায়ক-নায়িকা, পরিচালক ও কলাকুশলীরা শারীরিক ও মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়ছেন। শিগগির এ অবস্থার পরিবর্তন না-ও হতে পারে। এতে বড় রকমের জটিলতায় পড়তে পারে আংশিক শুটিং হওয়া সিনেমাগুলো।

অনির্দিষ্টকালের জন্য সিনেমার শুটিং বন্ধ করে দিয়েছে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র প্রযোজক পরিবেশক সমিতি। এতে আটকে গেছে অনেক সিনেমার কাজ। দীর্ঘ সময় পর যদি সেসবের শুটিং শুরুও হয়, ছবিগুলোর চরিত্রের ধারাবাহিকতা, অভিনয়শিল্পীদের চরিত্রে প্রবেশ, এমনকি শুটিং শিডিউল পাওয়া সহজ হবে না বলে ধারণা করছেন তারকারা।

মাহিয়া মাহি। ছবি: প্রথম আলো

গত ১১ মার্চ থেকে শুটিং শুরুর কথা ছিল নুসরাত ফারিয়ার ‘যদি কিন্তু তবুও’ ছবিটির। সেটি শেষ হলে কলকাতার ‘ভয়’ ও ঢাকার ‘ঢাকা ২০৪০’ ছবি দুটির বাকি শুটিংয়ে অংশ নেওয়ার কথা ছিল তাঁর। কিন্তু করোনা পরিস্থিতিতে ‘যদি কিন্তু তবুও’র কাজ শুরু করাই যায়নি। এই পরিস্থিতিতে আবার কবে সিনেমাগুলোর শুটিং শুরু করা যাবে, তার কোনো নিশ্চয়তা নেই। ফারিয়া বলেন, ‘দীর্ঘদিন ঘরে বসে থেকে অনেকেরই শারীরিক গঠনে পরিবর্তন আসতে পারে। ফলে চরিত্রের ধারাবাহিকতায় ঝামেলা হতে পারে। আবার করোনার কারণে দীর্ঘদিন মানসিক চাপে থাকায় চরিত্রে ঢুকতেও সমস্যা হতে পারে।’ এসব কারণে যে ছবিগুলোর সামান্য শুটিং হয়েছে, সেগুলোর ফুটেজ বাদ দিয়ে আবার গোড়া থেকে শুটিং শুরু করতে হতে পারে বলে ধারণা করছেন এই তারকা।

বিদ্যা সিনহা মিম। ছবি: প্রথম আলো

মার্চ মাসের শুরুর দিকে নেপাল থেকে ‘সাইকো’ ছবির গানের কাজ শেষ করে ফিরেছেন পূজা চেরি। এরই মধ্যে ঢাকায় ছবির বাকি কাজ শেষ করার কথা ছিল তাঁর। কিন্তু করোনা আটকে দিয়েছে সেসব কাজ। পূজা বললেন, ‘এই কাজ কবে শেষ করা যাবে, তার কোনো ঠিক নেই। করোনা পরিস্থিতি দিনকে দিন খারাপ হচ্ছে। যদি ছয় মাস পরও শুটিং হয়, তবু ঝামেলা হবে। তখন কি আর চাইলেই চট করে চরিত্রে ঢুকে পড়তে পারব? মানুষ তো আর রোবট নয়। তা ছাড়া দীর্ঘদিন বাসায় থাকতে থাকতে ওজন বেড়ে যাওয়া অস্বাভাবিক নয়।’

‘স্বপ্নবাজি’ ছবির জন্য মাত্র পাঁচ দিন কাজ করেছেন মাহিয়া মাহি। এত দিনে নতুন ধাপের কাজ শুরু হয়ে যাওয়ার কথা ছিল। যখন কাজ শুরু হবে, তখনকার পরিস্থিতি শুরুর দিকের মতো থাকবে না। মাহি বলেন, ‘এই ছবিতে একটি নতুন চরিত্রে কাজ করছি। পরের অংশগুলোতে ওই চরিত্রে খাপ খাইয়ে নেওয়া কঠিন হতে পারে। নতুন করে প্রস্তুতি নিলেও দেখা যাবে আগের শুট করা অংশের সঙ্গে উনিশ-বিশ হবে।’ বিদ্যা সিনহা মিমের “ইত্তেফাক” ছবির ৫০ শতাংশ কাজ শেষ। মিম বলেন, বাকি কাজ শুরু করার কোনো নির্দিষ্ট সিডিউল নেই। এই অবস্থায় কাজ শুরু করতে তিন মাস, ছয় মাস, এমনকি এক বছরও লাগতে পারে। এতে ছবিতে চরিত্রের কনটিউনিটি, অভিনয়, দুটোই খানিকটা এদিক–সেদিক হওয়ার সম্ভাবনা থাকবে। হুট করে কাজ শুরু করা যাবে না। চরিত্রটির জন্য নিজেকে নতুন করে আবার প্রস্তুত নিতে হবে।’

পূজা চেরি । ছবি: প্রথম আলো

এসব সমস্যার বাইরেও পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে কাজ শুরুর আগে সিডিউল নিয়ে ঝামেলা তৈরি হতে পারে। নুসরাত ফারিয়া বলেন, কোনো কোনো তারকার দুতিনটি ছবির কাজ আটকে আছে। পরিচালক প্রযোজক সবাই তো সিডিউল চাইবে। সবাই-ই আগে আগে কাজ শেষ করতে চাইবে। কোনটা রেখে কোনটা সিডিউল দেবেন, সেটা নিয়েও তারকারা সমস্যায় পড়বেন।