Thank you for trying Sticky AMP!!

আকবর হোসেন পাঠান ফারুক

ভালো আছেন ফারুক, দেশে ফিরছেন কাল

‘এখন আমি সুস্থ। সব ঠিকঠাক থাকলে কাল বৃহস্পতিবার দেশে ফিরব। সিঙ্গাপুর সময় কাল বেলা সাড়ে তিনটার বিমানের টিকিট করা আছে।’ আজ বুধবার দুপুরে সিঙ্গাপুর থেকে এভাবেই বললেন চলচ্চিত্রের বরেণ্য অভিনয়শিল্পী ও সাংসদ আকবর হোসেন পাঠান ফারুক।
গত ১৩ সেপ্টেম্বর উন্নত চিকিৎসার জন্য ফারুককে সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। সাত বছর ধরে সিঙ্গাপুরের এ হাসপাতালেই তিনি নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা করিয়ে আসছেন। এবার সিঙ্গাপুর যাওয়ার আগে নায়ক ফারুক দীর্ঘদিন ধরে জ্বরে ভুগছিলেন।

চিকিৎসকেরা প্রাথমিকভাবে ধারণা করছিলেন, এই অভিনেতা টিবিতে (যক্ষ্মা) ভুগছেন। অবশেষে সিঙ্গাপুরের হাসপাতালে স্বাস্থ্য পরীক্ষার পর চিকিৎসকেরা নিশ্চিত হন, ফারুক টিবিতে আক্রান্ত। তাৎক্ষণিকভাবেই শুরু হয় তাঁর চিকিৎসা।
আকবর হোসেন পাঠান ফারুক
আকবর হোসেন পাঠান ফারুক

দফায় দফায় জ্বরে আক্রান্ত হওয়ায় ঢাকার দুটি বড় হাসপাতালে করোনা পরীক্ষা করিয়েছিলেন ফারুক। দুটি পরীক্ষাতেই তাঁর কোভিড-১৯ নেগেটিভ আসে। এ ছাড়া টাইফয়েড, ডেঙ্গু, ম্যালেরিয়ার পরীক্ষাও করানো হয়েছিল। কিন্তু তাতেও কোনো রোগ ধরা পড়েনি। এতে দুশ্চিন্তা বাড়তে থাকে ফারুকের পরিবারের। সে সময় চিকিৎসকেরা প্রাথমিকভাবে ধারণা করছিলেন, এই অভিনেতা টিবিতে (যক্ষ্মা) ভুগছেন। অবশেষে সিঙ্গাপুরের হাসপাতালে স্বাস্থ্য পরীক্ষার পর চিকিৎসকেরা নিশ্চিত হন, ফারুক টিবিতে আক্রান্ত। তাৎক্ষণিকভাবেই শুরু হয় তাঁর চিকিৎসা।

আকবর হোসেন পাঠান ফারুক

সৃষ্টিকর্তার অশেষ রহমত আর চিকিৎসকদের আন্তরিকতা ও ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় ফারুক এখন সম্পূর্ণ সুস্থ হয়েছেন বলে জানালেন ফারুক। সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে টানা ২১ দিনের চিকিৎসা শেষে ২ অক্টোবর স্ত্রীসহ সেখানকার একটি হোটেলে ওঠেন ফারুক। ঢাকায় ফেরার আগপর্যন্ত দুই দিন পরপর তাঁকে চিকিৎসকের কাছে গিয়ে চেকআপ করে আসতে হয়। আজ বুধবার সিঙ্গাপুর থেকে প্রথম আলোকে ফারুক বললেন, ‘কত দিন প্রিয় দেশ, দেশের মানুষের মুখ দেখি না। মনটা ব্যাকুল হয়ে আছে। ফেরার খবরে অন্যরকম এক আনন্দ হচ্ছে।’

আকবর হোসেন পাঠান ফারুক।

দীর্ঘ সময় ধরে দেশের বাইরে থাকা ফারুকের অন্যরকম উপলব্ধি হয়েছে বলেও জানালেন। তিনি বললেন, ‘সবাই তো এমনিতে ভালোবাসা ও ভালো লাগার অনুভূতি প্রকাশ করে। এবার অসুস্থ হয়ে আসার পর আরও বেশি উপলব্ধি করলাম তা। সহকর্মী, সহযোদ্ধা, বন্ধুবান্ধব ও শুভাকাঙ্ক্ষীরা নানাভাবে আমার খবর নিয়েছে। আমার শারীরিক অবস্থা শুনে উদ্বিগ্ন ছিল। সবচেয়ে বেশি ভালো অনুভূতি হয়েছে, সাংবাদিকদের আমার প্রতি ভালোবাসা দেখে। সংবাদ প্রকাশের কারণ ছাড়াও প্রায় প্রতিদিনই বাংলাদেশ থেকে কোনো না কোনো সাংবাদিক সিঙ্গাপুরে ফোন করে আমার শারীরিক অবস্থার খোঁজখবর নিয়েছেন।’
প্রায় পাঁচ দশক ধরে ঢালিউড মাতিয়েছেন ফারুক। অভিনয় ছাড়ার পর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে ঢাকা-১৭ আসনে প্রথমবারের মতো সাংসদ নির্বাচিত হন তিনি।