Thank you for trying Sticky AMP!!

মেয়েটা পানি নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকে সেই মাঝির অপেক্ষায়

বহু বছর আগে নির্মাতা সুমন রেজার গ্রামে দুই–তিন বাড়ি মিলিয়ে খাওয়ার পানির জন্য একটি টিউবওয়েল বসাত। পথিকেরা সেই টিউবওয়েল থেকে পানি পান করত। এখন প্রতিটি ঘরেই টিউবওয়েল আছে। তবে গোপনীয়তার কারণে সব টিউবওয়েল এখন ঘরের আঙিনায় চলে গেছে! সেখান থেকেই ‘তিয়াস’ নামে একটি স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র নির্মাণের আইডিয়া মাথায় আসে সুমন রেজার। ১৫ মিনিটের এই  ছবিটি তেহরান ইন্টারন্যাশনাল শর্টফিল্ম ফেস্টিভ্যালসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ও দেশি চলচ্চিত্র উৎসবে পাঠানো হয়েছে।

তিয়াস সিনেমার পোস্টার

‘তিয়াস’ একটি গ্রামের গল্প। সেই গ্রামের পাশেই একটি বিল। সেই বিলে এক মাঝি সারা দিন নৌকা বেয়ে ক্লান্ত, তৃষ্ণার্ত হয়ে গ্রামে আসে পানির খোঁজে। গ্রামে বাড়ির বাইরের টিউবওয়েলগুলো সব নষ্ট! মাঝি একটি বাড়িতে পানি চায়। কিন্তু সেই বাড়ির মেয়ের তখন কোনো কারণে মন ভালো ছিল না। পানি না দিয়ে খারাপ আচরণ করে, তাড়িয়ে দেয় মাঝিকে! এরপর থেকে মেয়েটা অপরাধবোধে ভুগতে থাকে। মানসিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়ে সে। রোজ সে বিলের ধারে পানি নিয়ে অপেক্ষা করে ওই মাঝির জন্য। ঘটতে থাকে একের পর এক অদ্ভুত ঘটনা। এগিয়ে যায় সিনেমা। এমন গল্পে স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ‘তিয়াস’ নির্মাণ করেছেন সুমন রেজা। মুখ্য দুই চরিত্রে অভিনয় করেছেন জামশেদ শামীম ও আসপিয়া ওহি। ‘পৃথিবীর তিন ভাগের দুই ভাগ পানি। কিন্তু খাওয়ার উপযোগী কতটুকু? আর সেটা কতটা নাগালের মধ্যে?’ এমন সংলাপ দিয়ে শুরু হয় স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রটি।

চলছে তিয়াসের দৃশ্যধারণের কাজ

২০১৪ সাল থেকে সুমন রেজা নাটক বানান। ‘দেব্বু’, ‘দুষ্ট হাওয়া’, ‘রাত আঁধারী’, ‘বিষ পান করবে না’, ‘কাগজে লিখো না’, ‘এই জোছনা’, ‘নয়া কুটুম’ প্রভৃতি তাঁর একক নাটক। ‘টিভি পরিবার’, ‘ক্লাব বি পজিটিভ’, ‘কুটুম বাড়ি’ নামে ধারাবাহিকও বানিয়েছেন। ‘তিয়াস’–এর আগে ‘বিয়ের গল্প’, ‘সন্তান’, ‘সিটি নাইট’, ‘আগুন’ নামে স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রও বানিয়েছেন।

চলছে তিয়াসের দৃশ্যধারণের কাজ

এ বছর তেহরান ইন্টারন্যাশনাল শর্টফিল্ম ফেস্টিভ্যালের জন্য সিনেমা জমা দিতে বলা হয় ২১ মার্চ থেকে। ৩৮ বছর ধরে অনুষ্ঠিত এই উৎসবের বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে ৩০ মিনিট বা তার কম দৈর্ঘ্যের ছবি পাঠানো যাবে ২১ জুন পর্যন্ত। সেপ্টেম্বরের ২০ তারিখে জানিয়ে দেওয়া হবে, কারা পেলেন চূড়ান্ত মনোনয়ন। আর অক্টোবরের ১৯ তারিখ থেকে শুরু হয়ে এই উৎসব চলবে ২৪ অক্টোবর পর্যন্ত।