Thank you for trying Sticky AMP!!

‘সুজন সখী’তে কেন ছদ্মনাম নিয়েছিলেন পরিচালক খান আতা

‘সুজন সখী’তে নির্মাতা হিসেবে নিজের নাম গোপন করে ‘প্রমোদকর’ ছদ্মনাম ব্যবহার করেছিলেন খান আতা

অভিনেতা, গীতিকার, সুরকার, সংগীত পরিচালক, গায়ক, নির্মাতা, চিত্রনাট্যকার, কাহিনিকার, প্রযোজক—খান আতাউর রহমানের কত পরিচয়! গুণী এই মানুষটি ১৯৯৭ সালের ১ ডিসেম্বর মারা যান। মজার ব্যাপার, ফারুক ও কবরী অভিনীত দর্শকপ্রিয় সিনেমা ‘সুজন সখী’তে নির্মাতা হিসেবে নিজের নাম গোপন করে ‘প্রমোদকর’ ছদ্মনাম ব্যবহার করেছিলেন খান আতা। কেন ছদ্মনাম নিয়েছিলেন এই গুণী পরিচালক?

ফারুক ও কবরী অভিনীত দর্শকপ্রিয় সিনেমা ‘সুজন সখী’

খান আতাউর রহমানের ছেলের সংগীতশিল্পী আগুন বলেন, ‘বাবা মূলত আর্টফিল্ম ঘরানার সিনেমা বানাতেন, এখন আমরা যেটাকে বিকল্পধারা বলি। ব্যক্তিগত কারণে হঠাৎ সম্পূর্ণ বাণিজ্যিক ধারার সিনেমা “সুজন সখী” নির্মাণে হাত দেন। সেই সময় বাবা এবং তাঁদের যে সার্কেল ছিল, তাঁরা আর্টফিল্মের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। কিন্তু “সুজন সখী” বাণিজ্যিক হওয়ার কারণে বাবা নিজের নাম বাদ দেন। ফুল কমার্শিয়াল সিনেমা তিনি ওউন করতেন না। কেউ যেন বুঝতে না পারে, সে জন্য ছদ্মনাম “প্রমোদকর” ব্যবহার করেন। এখন সঠিক মনে নেই, এটা মনে হয় মুক্তিও পায় ছদ্মনামেই। পরে যখন দর্শক গ্রহণ করেন, সুপারহিট হয়, তখন অনেকেই বাবাকে বলেছিলেন, পরিচালকের নামটা দেওয়া উচিত। তখনই নাম যোগ করা হয়।’

খান আতা ১৯২৮ সালে ১১ ডিসেম্বর মানিকগঞ্জে জন্মগ্রহণ করেন

‘বাবার সিনেমার নাম এবং গল্প দেখলেই বুঝতে পারবেন সেই অর্থে নাচ-গানে, মারপিটে ভরপুর বাণিজ্যিক সিনেমা বাবা নির্মাণ করেননি। বাবা নিজে যা পছন্দ করতেন, সেটাই করতেন। বাবার শেষ সিনেমায় অভিনয় করেছিলাম। তখন বাবাকে দেখতাম কাজপাগল মানুষ হিসেবে। বাবাকে বাবা নয়, পরিচালক হিসেবেই সেটে দেখেছি,’ কথাগুলো বলেন আগুন।

সুজন সখী সিনেমার পোস্টার। ছবি: সংগৃহীত

খান আতা ১৯২৮ সালে ১১ ডিসেম্বর মানিকগঞ্জে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৬৩ সালে মুক্তি পায় পরিচালক খান আতার প্রথম ছবি ‘অনেক দিনের চেনা’। ‘নবাব সিরাজউদ্দৌলা’, ‘সাত ভাই চম্পা’, ‘অরুণ বরুণ কিরণমালা’, ‘জোয়ার ভাটা’, ‘আবার তোরা মানুষ হ’, ‘হিসাব নিকাশ’ এবং ‘পরশপাথর’ তাঁর উল্লেখযোগ্য ছবি। ১৯৭৫ সালে ‘সুজন সখী’ সিনেমাটি ১ম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে তিনটি শাখায় পুরস্কৃত হয়। শ্রেষ্ঠ চিত্রনাট্যকার হিসেবে পুরস্কৃত হন খান আতা। তাঁর সর্বশেষ সিনেমা ছিল ‘এখনো অনেক রাত’।