Thank you for trying Sticky AMP!!

হাজার মাইল দূরে যেমন কাটছে মিশার জন্মদিন

মিশা সওদাগর

পরিবার নিয়ে এখন যুক্তরাষ্ট্রের ডালাসে আছেন ঢালিউডের খল চরিত্রের জনপ্রিয় অভিনেতা মিশা সওদাগর। দুই ছেলের একজন সেখানকার একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে পড়ছেন, অন্যজন অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী। জন্মভূমি থেকে হাজার মাইল দূরে থাকলেও দেশের মানুষের ভালোবাসা তা মোটেও বুঝতে দেয়নি এই অভিনয়শিল্পীকে। জন্মদিনে নানাভাবেই শুভেচ্ছা জানিয়ে যাচ্ছেন অনেকে। সোমবার বাংলাদেশ সময় দুপুরে ডালাস থেকে প্রথম আলোর সঙ্গে আলাপে তেমনটাই বললেন ঢালিউডের খল চরিত্রের এই অভিনয়শিল্পী।
মিশা জানালেন, করোনার মধ্যে এটা সত্যিই অবিশ্বাস্য, মানুষ যেভাবে ভালোবাসা দেখাচ্ছেন। বাংলাদেশ সময় রাত ১২টার পর থেকেই সবাই ফেসবুকে কত সুন্দর সুন্দর কথা লিখছেন! সেগুলোর বেশির ভাগই পড়েছেন, আর মুগ্ধ হয়েছেন তিনি। পরিচিতজনেরা যেমন ভালোবাসা ও শুভেচ্ছা জানাচ্ছেন, তেমনি অপরিচিত ও শুভাকাঙ্ক্ষীরাও আছেন এই তালিকায়। মেসেঞ্জারে ফোন করেও জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানাচ্ছেন।

মিশা বললেন, ‘করোনার এই সংকটে আমরা সবাই ভীষণ কঠিন সময় পার করছি। অস্থির এই সময়েও সবাই আমার জন্মদিনের কথা মনে রেখেছেন, ভালোবাসা ও দোয়া দিচ্ছেন, এসব পরম পাওয়া।’ যুক্তরাষ্ট্রে থাকলেও এরই মধ্যে বেশ কয়েকটি ছবিতে অভিনয়ের ব্যাপারে আলোচনা হয়েছে বলে জানালেন মিশা সওদাগর। জন্মদিনে তা জানিয়ে মিশা বললেন, ‘কয়েকজন পরিচালক যোগাযোগ করেছেন। ফিরে এসেই ছবিগুলোর কাজ শুরু করব। একই সঙ্গে কয়েকটি ছবির ডাবিং বাকি রয়েছে এবং কয়েকটি ছবির শুটিং স্থগিত ছিল, ওসবের কাজও শুরু করতে হবে।’

মিশা সওদাগর

জন্মদিনে স্ত্রী ও সন্তানদের নিয়ে ডালাসের বাসায় কেক কেটেছেন। তাদের সঙ্গেই সময়টা কাটছে মিশার। এমনিতে খুব বেশি বাইরে যাওয়া হয় না। পায়ে দীর্ঘদিনের ব্যথা। এবারের জন্মদিনে মিশার চাওয়া, পৃথিবীটা দ্রুত করোনামুক্ত হয়ে যাক। আবার আগের মতো সুন্দর পরিবেশটা ফিরে পাক। মিশা সওদাগরের বড় ছেলে টেক্সাস টেক ইউনিভার্সিটির কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের শিক্ষার্থী আর ছোট ছেলে সেখানকার একটি স্কুলে অষ্টম শ্রেণিতে পড়ে।

মিশা সওদাগরের দীর্ঘ অভিনয়জীবন। এই সময়ে তিনি আট শর মতো সিনেমায় অভিনয় করেছেন। ১৯৬৬ সালের ৪ জানুয়ারি জন্ম নেওয়া মিশা সওদাগর ১৯৮৬ সালে এফডিসি কর্তৃক আয়োজিত চলচ্চিত্র প্রতিভা অন্বেষণ কার্যক্রম ‘নতুন মুখের সন্ধানে’ আয়োজনের মাধ্যমে ঢালিউডে নাম লেখান।

মিশা সওদাগর ও তাঁর পরিবার

নায়ক হওয়ার ইচ্ছা থেকেই তিনি এই আয়োজনে অংশ নেন। ১৯৯০ সালে ছটকু আহমেদের পরিচালনায় তাঁর প্রথম ছবি ‘চেতনা’ মুক্তি পায়। এরপর তখনকার পরিচালকেরা মিশার মধ্যে খল নায়ক হওয়ার মতো সব ধরনের সম্ভাবনা দেখতে পান। সবার পরামর্শে ‘আশা ভালোবাসা’ ছবিতে খল নায়ক হিসেবে অভিষেক ঘটে তাঁর।
মূলধারার সিনেমায় অভিনয়–দক্ষতায় অনেক নায়কের চেয়েও আলোচনায় আসতে পারতেন মিশা সওদাগর। এর বাইরে ভিন্ন ধারার চলচ্চিত্রেও তিনি নিজের জাত চিনিয়েছেন।