Thank you for trying Sticky AMP!!

জয়া আহসান

জয়ার ক্ষোভ প্রাণ-প্রকৃতির প্রতি আমরা আর কবে সংবেদনশীল হব!

কাঁটাবনের পশুপাখির মার্কেটে অক্সিজেন ও খাবারের অভাবে ৪০০ প্রাণীর মৃত্যুতে গভীর ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন জয়া আহসান। স্রেফ অবহেলার কারণে এমনটা ঘটেছে বলে অভিযোগ করেছেন কয়েকবারের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারজয়ী এই অভিনয়শিল্পী।

নিজের ফেসবুকে এক পোস্টে জয়া বলেন, ‘করোনা মহামারির দুঃসহ এই সময় আমাদের প্রত্যেকটি পরিবারের মধ্যেই কোনো না কোনো অপূরণীয় শূন্যতা তৈরি করেছে। প্রায় সবারই মধ্যে কোনো না কোনো তাজা ক্ষত আছে। মানুষের কষ্টের কোনো সীমা নেই।

কাঁটাবনের একটি দোকানের ছবি ফেসবুকে পোস্ট করেছেন জয়া

মানুষের বাইরে মানুষের ওপর নির্ভরশীল প্রাণীগুলোরও কষ্টের কত খবর যে আমরা পাচ্ছি। কিন্তু একটা খবরে মনটাকে আর বশে রাখা গেল না। ১ জুলাই থেকে যে লকডাউন হলো, তাতে ঢাকার কাঁটাবনের পোষা প্রাণীর বাজারে অনেকগুলো পশুপাখি নির্মম মৃত্যুর শিকার হলো। পোষা প্রাণীর মালিকেরা এই পুরো লকডাউনে তাঁদের দোকানপাট রুদ্ধ করে রেখেছিলেন। আলো–বাতাসহীন দমবন্ধ অন্ধকারে ৪০০ পাখি আর ডজনের পর ডজন কুকুর, বিড়াল, খরগোশ, গিনিপিগ তড়পাতে তড়পাতে মারা গেছে। এই মৃত্যুর কারণ স্রেফ অবহেলা।’

পথের কুকুরকে খাওয়াচ্ছেন জয়া আহসান

জয়া ফেসবুকে এ–ও লিখেছেন, ‘যাঁরা এসব পোষা প্রাণীদের বাজার বসিয়েছেন, তাঁদের মনে মায়া নেই। আইনের প্রতি ন্যূনতম শ্রদ্ধা নেই। তাঁরা পোষা প্রাণীর কারবারে নেমেছেন, “প্রাণিকল্যাণ আইন ২০১৯”–এ প্রাণীদের প্রতি যেসব সুযোগ–সুবিধা নিশ্চিত করার কথা বলা হয়েছে, তা মেনে চলার বাধ্যবাধকতা তাঁদের নেই। খবরটি সংবাদপত্রের শিরোনাম হওয়ার পর কর্তৃপক্ষের টনক নড়েছে। লকডাউনে তারা প্রতিদিন সকালে–সন্ধ্যায় দুই ঘণ্টা করে দোকানের শাটার খোলা রাখার আদেশ দিয়েছে। কিন্তু এটুকুই কি যথেষ্ট? যে প্রাণীগুলো মর্মান্তিকভাবে মারা গেল, তার দায়ভার কেউ নেবে না?

জয়ার কোলে কুকুরটির নাম নিমকি

এখানে রাষ্ট্রীয় কর্তৃপক্ষও দায়ী, দোকানমালিকদের অবশ্যই আইন অনুযায়ী শাস্তি দেওয়া দরকার। তবু শাস্তি তো আর শেষ কথা নয়। পোষা প্রাণীর বাজারে তাদের প্রতিপালনের জন্য আইনের সম্পূর্ণ প্রয়োগ নিশ্চিত করা দরকার। না হলে এ বাজার তুলে দেওয়াই কর্তব্য। প্রাণ–প্রকৃতির প্রতি আমরা আর কবে সংবেদনশীল হব!’
পোষা প্রাণীর প্রতি জয়া আহসানের মায়া-মমতা ও ভালোবাসার কথা সবারই জানা। করোনার এই বিধিনিষেধে নিজের হাতে রেঁধেবেড়ে পথকুকুরদের খাইয়েছেন।

এর আগে কক্সবাজারে ঘোড়া মারা সেই ঘটনা নিয়ে স্ট্যাটাস দিয়েছিলেন এই জয়া