Thank you for trying Sticky AMP!!

‘দুই নয়নের আলো’ চলচ্চিত্রে সেঁজুতি চরিত্রে অভিনয় করেন শাবনূর

এমন শাবনূরকে পর্দায় দেখতে চান না তাঁরা

ঢালিউডের দাপুটে অভিনয়শিল্পী শাবনূরের ঢাকায় আসার খবরে চাউর হতে থাকে একের পর এক নতুন ছবিতে অভিনয়ের খবর। এর মধ্যে ‘রঙ্গনা’ নামের একটি ছবির পোস্টারও প্রকাশিত হয়েছে। এতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ভক্তরা তাঁদের মতামত ব্যক্ত করেন। কেউ কেউ আবার ট্রলও করেছেন। শাবনূরকে ট্রল করার বিষয়টি মানতে পারেননি তাঁর ছবির পরিচালক মোস্তাফিজুর রহমান মানিকও। তিনি ফেসবুকে লিখেছেন, গত কয়েক দিনে একটি পোস্টারকে (‘রঙ্গনা’ সিনেমার পোস্টার) কেন্দ্র করে সবার প্রিয় অভিনেত্রী শাবনূরকে যেভাবে ট্রল করা হয়েছে, তা মনে হয় শাবনূরের এত বছরের অভিনয়জীবনে কোনো দিন করা হয়নি। একজন শাবনূর–ভক্ত হিসেবে এটা মেনে নেওয়া কষ্টকর। খোদ শাবনূর–ভক্তরা বয়কটের ডাক দিয়েছেন।

ঢালিউডের একসময়ের প্রভাবশালী চলচ্চিত্র নায়িকা শাবনূর দীর্ঘ তিন বছর পর বাংলাদেশে ফিরেছেন। দুটি নতুন ছবিতে যুক্ত হওয়ার খবর এসেছে। এরই মধ্যে ‘রঙ্গনা’ নামের একটি ছবির পোস্টারও প্রকাশিত হয়েছে। তাতে মন ভরেনি শাবনূর–ভক্তদের—এমন দাবি করা অনেকের। এমন শাবনূরকে পর্দায় দেখতে চান না বলেও মত দিয়েছেন তাঁরা। ‘রঙ্গনা’ ছবিটি পরিচালনার মাধ্যমে প্রথমবার চলচ্চিত্র পরিচালনায় আসছেন আরাফাত।

Also Read: সিনেমায় ফিরছেন শাবনূর, নায়ক কে

অনেকের মতে, শাবনূরের মতো তারকার মেদ ঝরিয়ে একদম ফিট হয়ে মেধাবী কোনো নির্মাতার ছবি দিয়ে ফেরা উচিত। এ নিয়ে কথা বলেছেন শাবনূর অভিনীত ‘দুই নয়নের আলো’ ছবির পরিচালক মোস্তাফিজুর রহমান মানিক। তিনি ফেসবুকে লিখেছেন, ‘এই ট্রলের যুগে, শাবনূরের যদি আবার মুভি করতেই হয়, অত্যন্ত বুঝেশুনে করা উচিত। আমি বিশ্বাস করি, বর্তমান সময়ের অনেক মেধাবী এবং জনপ্রিয় পরিচালক তাঁর সঙ্গে কাজ করতে আগ্রহী। চয়নিকা চৌধুরী, রায়হান রাফী, নিয়ামুল মুক্তা, বুলবুল বিশ্বাস—এরই মধ্যে তাঁর সঙ্গে কাজ করার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। কেউ কেউ আমাকে নিজে বলেছেন তাঁকে নিয়ে কাজ করার কথা। আমার মনে হয় নিজেকে আরও ফিট করে আরও সময় নিয়ে এসব পরিচালকের সঙ্গে রাজকীয়ভাবে তাঁর ফেরা উচিত।’

শাবনূর

মানিক আরও লেখেন, ‘এখন এক্সপেরিমেন্টের কোনো সুযোগ নেই। মনে রাখতে হবে এটা ১৯২৪ না, এটা ২০২৪। বিখ্যাত সব পরিচালক, প্রযোজক, কাহিনিকার, ডিওপি, এমনকি অসংখ্য স্পট বয়ের প্রচেষ্টার সঙ্গে শক্তিশালী অভিনয়দক্ষতার মিশেলে গড়ে উঠেছে শাবনূরের আজকের সর্বজনীন ইমেজ। কিছু লোকের অদক্ষতা, ভাইরাল হওয়ার প্রচেষ্টা আর শাবনূরের নিজের খামখেয়ালির জন্য এই ইমেজ, এই জনপ্রিয়তা, এই প্রতিমা ধ্বংস হোক, আমিসহ সারা পৃথিবীতে ছড়িয়ে–ছিটিয়ে থাকা অগণিত শাবনূর–ভক্ত তা কোনো দিন চায় না।’

Also Read: তিন বছর পর দেশে শাবনূর, সিনেমায় ফিরছেন কি

সবশেষে নিজেকে শাবনূর–ভক্ত দাবি করে এ নির্মাতা লেখেন, ‘প্রয়োজনে আমার মুভিও রিজেক্ট করুন, তবু কাউকে নিজের ইমেজ শেষ করার সুযোগ দেবেন না প্লিজ। মূর্খ অদক্ষ কোনো মেকআপম্যান যদি আপনার উপদেষ্টা হয়, তাহলে বলার কিছু নাই। আপনি তাঁদের ব্যক্তিগতভাবে ভালোবাসুন কোনো সমস্যা নেই। কিন্তু নিজের ক্যারিয়ারের ক্ষেত্রে এদের বর্জন করুন, দরকারে আমাকেও বর্জন করুন। আপনাকে ব্যক্তিগতভাবে এই কথাগুলো বলতে না পেরে এই পোস্ট দিলাম। আশা করি ভুল বুঝবেন না।’
২০০৫ সালে মানিকের ‘দুই নয়নের আলো’ সিনেমায় অভিনয় করে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছিলেন শাবনূর।

Also Read: চমকে দিলেন শাবনূর