Thank you for trying Sticky AMP!!

মুক্তচিন্তায় বাধা, ‘শনিবার বিকেল’ মুক্তি চেয়ে ছোট পর্দার নির্মাতাদের লিখিত চিঠি

‘শনিবার’ সিনেমাটির মুক্তি নিয়ে লিখিত প্রতিবাদ জানাল ছোট পর্দার নির্মাতাদের সংগঠন ডিরেক্টরস গিল্ড। তা

বেশ কদিন ধরে চলচ্চিত্র ও নাটকের পরিচালক, অভিনেতা ও কলাকুশলীরা মোস্তফা সরয়ার ফারুকীর ‘শনিবার বিকেল’ সিনেমাটির সেন্সর ছাড়পত্রসহ মুক্তি নিয়ে সরব হয়েছেন। এবার সিনেমাটির মুক্তি নিয়ে লিখিত প্রতিবাদ জানাল ছোট পর্দার নির্মাতাদের সংগঠন ডিরেক্টরস গিল্ড। তারা মনে করে, সিনেমাটি আটকে রাখা মুক্তচিন্তার জন্য সবচেয়ে বড় বাধা।

ডিরেক্টরস গিল্ডের অফিশিয়াল পেজে আজ ২৮ আগস্ট প্রতিবাদে বলা হয়েছে, ‘তিন বছরের বেশি সময় ধরে “শনিবার বিকেল” সেন্সরে ছাড়পত্র পাচ্ছে না, এটা মুক্তচিন্তার জন্য সবচেয়ে বড় বাধা। সেন্সর বোর্ড এই সিনেমাটিকে সেন্সর ছাড়পত্র কেন দিচ্ছে না, তা আমাদের কাছে পরিষ্কার নয়।’

‘শনিবার বিকেল’ বা ‘স্যাটারডে আফটারনুন’ ছবির পরিচালক মোস্তফা সরয়ার ফারুকী

২০১৬ সালের হোলি আর্টিজান বেকারিতে হামলার ঘটনা নিয়ে সিনেমাটির গল্প। সিনেমা নির্মাণের পর ২০১৯ সালে সেন্সরে জমা দেওয়া হয়। সেই সময় ছাড়পত্র পাওয়ার কথা থাকলেও পরে বেশ কিছু কারণ জানিয়ে সিনেমাটির সেন্সর বাতিল হয়। ডিরেক্টর গিল্ডের প্রতিবাদ বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘প্রায় ধ্বংস হতে যাওয়া সিনেমা যে কয়েকজন পরিচালক এখনো আশার আলো দেখাচ্ছেন, যে কয়েকজন পরিচালক আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে বাংলা চলচ্চিত্রকে বিশেষভাবে পরিচয় করাতে সক্ষম হয়েছেন, তাঁদের মধ্যে মোস্তফা সরয়ার ফারুকী অন্যতম।’

শনিবার বিকেল সিনেমায় অভিনয় করেছেন তিশা

এ সময় ডিরেক্টর গিল্ড সিনেমাটির আন্তর্জাতিক অর্জনগুলো তুলে ধরে। সেখানে বলা হয়, ‘২০১৯ সালে “শনিবার বিকেল” মস্কো আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের ৪১তম আসরে রাশান ফেডারেশন অব ফিল্ম ক্রিটিকস জুরি পুরস্কার এবং কমেরসান্ত পুরস্কারসহ অনেক উৎসবে পুরস্কৃত ও প্রশংসিত হয়। এ ছাড়া বুসান ও সিডনিসহ অনেক উৎসবের অফিশিয়াল সিলেকশনে স্থান পায় ছবিটি। তাঁর প্রায় সব সিনেমা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবগুলোতে গুরুত্বের সঙ্গে প্রদর্শন করা হয়। অনেক সিনেমা পুরস্কৃত হয়েছে, যা আমাদের জন্য গর্বের।’

ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত হন তিন প্রজন্মের নির্মাতা ও অভিনয়শীল্পীরা

ডিরেক্টরস গিল্ড মনে করে, আন্তর্জাতিক অর্জনের পর সিনেমাটি এখন দেশের দর্শকদের জন্য উন্মুক্ত করা উচিত। এ প্রসঙ্গে তারা লিখিত বিবৃতিতে লিখেছে, ‘বাংলাদেশেও “শনিবার বিকেল” সিনেমাটি দেখতে চাই। বাংলা সিনেমার উন্নতির ধারা অব্যাহত রাখার জন্য “শনিবার বিকেল”-এর সেন্সর ছাড়পত্র না দেওয়ায় প্রতিবাদ জানাচ্ছি। পাশাপাশি বর্তমান সেন্সর আইনের পরিবর্তে সেন্সর গ্রেডেশন পদ্ধতি চালুর দাবি জানাচ্ছি।’