Thank you for trying Sticky AMP!!

থানচি উপজেলার রেমাক্রির দুর্গম এলাকায় ‘নাদান’ সিনেমার শুটিং করেছেন অভিনেতা শ্যামল মাওলা, এরফান মৃধারা

থানচিতে শুটিংয়ের মধ্যে গোলাগুলির কবলে পড়েছিলেন তারকারা

বান্দরবান জেলার থানচি উপজেলার রেমাক্রির দুর্গম এলাকায় ‘নাদান’ সিনেমার শুটিং করেছেন অভিনেতা শ্যামল মাওলা, এরফান মৃধারা। ছবিটি পরিচালনা করছেন পরিচালক ফরহাদ চৌধুরী।

রেমাক্রিতে ১০ থেকে ১২ দিন শুটিংয়ের পর থানচিতে ফেরে সিনেমার টিম। গতকাল বুধবার সকাল থেকে থানচি বাজারঘাটে শুটিংয়ে অংশ নেন শ্যামল মাওলারা। দুপুরের দিকে হঠাৎ গোলাগুলির কবলে পড়ে সিনেমার ইউনিট।

শ্যামল মাওলা

সেই সময়ে ধারণকৃত একটি ভিডিও গতকাল রাতে ফেসবুকে পোস্ট করে শ্যামল মাওলা লিখেছেন, ‘“নাদান” সিনেমার শুটিং করতে গিয়ে গোলাগুলির মুখে আমরা।’

আজ বৃহস্পতিবার সকালে এই অভিনেতা প্রথম আলোকে বলেন, তিনিসহ সিনেমার ইউনিটের সবাই নিরাপদে আছেন। তিনি সকালে ঢাকায় ফিরেছেন।

গতকাল বান্দরবানের থানচি উপজেলা বাজারে সোনালী ব্যাংক ও কৃষি ব্যাংকের দুটি শাখায় ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। দিনদুপুরে ডাকাতি শেষে গুলি ছুড়তে ছুড়তে থানচি ছাড়ে ৪০ থেকে ৫০ জন সন্ত্রাসী।

শুটিংয়ের মাঝেই গোলাগুলির শব্দ পেয়ে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন সিনেমার ইউনিটের সদস্যেরা

কী ঘটেছিল?—এমন প্রশ্নের জবাবে ‘সদরঘাটের টাইগার’, ‘মানি হানি’, ‘মাইনকার চিপায়’-এর অভিনেতা বলেন, ‘গোলাগুলির শব্দে মানুষ ভয়ে থানচি বাজারঘাটের দিকে ছুটে আসছিলেন। আমাদের ডান পাশ দিয়ে দুই থেকে তিনটা গাড়ি ফাঁকা গুলি ছুড়তে ছুড়তে যাচ্ছিল। আমরা বাঁচতে সাঙ্গু নদী পার হয়ে পাহাড়ে আশ্রয় নিই।’

পরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সহযোগিতায় থানচিতে হোটেলে ফেরে সিনেমার টিম। থানচির পরিস্থিতি তখন থমথমে ছিল, হোটেলেও কার্যত অবরুদ্ধ অবস্থায় ছিলেন তাঁরা।

এরফান মৃধা

গতকাল দুপুরে থানচি থেকে এক ফেসবুক পোস্টে ‘সাদা সাদা কালা কালা’ গায়ক এরফান মৃধা লিখেছে, ‘কেউ বান্দরবানের থানচি আসার প্ল্যান করে থাকলে কাইন্ডলি আসবেন না, এখানকার সিচুয়েশন খারাপ, গোলাগুলি হচ্ছে। আমাদের জন্য দোয়া করবেন।’

থানচির পরিস্থিতি শান্ত হওয়ার পর রাতে ঢাকার পথ ধরেছেন তাঁরা। আজ সকালে ঢাকায় নেমেছেন শ্যামল মাওলা, এরফান মৃধারা।

সিনেমার শুটিংয়ে গত ২০ মার্চ বান্দরবান গিয়েছিল ‘নাদান’ টিম।

Also Read: শ্যামল মাওলা, সেরা সময়টা পার করছেন ওটিটিতেই