Thank you for trying Sticky AMP!!

প্রেমের গল্প নিয়ে হৃৎমঞ্চের নাটক 'রুধির রঙ্গিণী'

নতুন নাট্যদল হৃৎমঞ্চের নতুন নাটক ‘রুধির রঙ্গিণী’র উদ্বোধনী মঞ্চায়নের একটি দৃশ্য। গতকাল শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালায়। ছবি: প্রথম আলো

একটি মেয়ের জীবন নিয়েই আবর্তিত হয়েছে নাটকটির গল্প। এক মেয়ে তাঁর প্রেমের আকাঙ্ক্ষা পূরণ করতে গিয়ে নানা ধরনের ঘাত-প্রতিঘাতের সামনে পড়ে, যে ইতিহাস, বাস্তবতা, পরিপার্শ্ব ও নিয়তির বাণী—সবকিছু অস্বীকার করে দুর্নিবারভাবে অনুভব করতে চায় নিজের প্রেমকে। সে প্রেমের গল্প নিয়ে গতকাল শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালার পরীক্ষণ থিয়েটার মিলনায়তনে ‘রুধির রঙ্গিণী’র উদ্বোধনী মঞ্চায়ন হলো।

শুভাশিস সিনহার লেখা ও নির্দেশনায় নতুন এ নাটকের মধ্য দিয়েই যাত্রা শুরু করল নতুন রেপার্টরি নাট্যদল ‘হৃৎমঞ্চ’। এ নাটকের আরেকটি বৈশিষ্ট্য, বাংলা মঞ্চনাটকের তিন প্রজন্মের তিন গুণী অভিনয়শিল্পী রোকেয়া রফিক বেবী, আবুল কালাম আজাদ ও জ্যোতি সিনহা অভিনয় করেছেন। নাটকটি ১৯ মে পর্যন্ত প্রতিদিন একই মিলনায়তনে সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায় মঞ্চস্থ হবে। ১৮ ও ১৯ মে বিকেল পাঁচটায় নাট্যকর্মী ও শিক্ষার্থীদের জন্য বিশেষ মূল্যছাড়ে দুটি প্রদর্শনী হবে।

নাটকের শুরুতে মঞ্চে আলো পড়তেই এক নারী আসেন, যাঁর জীবনে প্রেম ও পুরুষ উভয়ই ক্ষণস্থায়ী। বিয়ের কয়েক দিন পরই অপঘাতে মারা যান তাঁর স্বামী। একবার নয়, দুবার মায়ের নিষেধবাণী উপেক্ষা করে আরেক প্রেমের দিকে তিনি ধাবিত হন। এ পুরুষ থাকেন শঙ্খনদের তীরে, বাঁশি বাজান। মা মেয়েকে সর্বনাশের কথা বলে ফেরাতে চান; কিন্তু তিনি এগিয়ে চলেন নিয়তির পরিহাসকে শেষবারের মতো মোকাবিলা করতে। মায়ের বাধা অগ্রাহ্য করে ঘর ছেড়ে বের হন তিনি। কিন্তু যাঁর জন্য সবকিছু ছেড়ে আসেন নারীটি, সে পুরুষের মৃত্যু আসন্ন!

নাটকটির রচয়িতা ও নির্দেশক শুভাশিস সিনহা বলেন, ‘প্রায়ই বলা হয়ে থাকে, আমাদের সমকালীন নাট্যসাহিত্য দুর্বল। “রুধির রঙ্গিণী” সেই ধারণাকে দূর করবে বলেই আশা করা যায়।’

নাটকের সংগীত আয়োজন করেছেন নির্ঝর চৌধুরী। গীতকণ্ঠে রয়েছেন শর্মিলা সিনহা, নির্ঝর চৌধুরী ও হুমায়ূন আজম রেওয়াজ।

নাটকটি মঞ্চায়নে সহযোগিতা করছে সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয় ও শিল্পকলা একাডেমি।