Thank you for trying Sticky AMP!!

সুমনের চিকিৎসা সহায়তায় 'হ্যাপি ডেজ'-এর জোড়া প্রদর্শনী শুক্রবার

‘হ্যাপি ডেইজ’ নাটকটির শুক্রবার দুটি প্রদর্শনী হবে। ছবি: সংগৃহীত

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগের প্রাক্তন ছাত্র সুমন এখন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। শৈশবে বাতজ্বরে আক্রান্ত হয়েছিলেন সুমন। পরিণত বয়সে রোগটি তাঁর শরীরে নানা জটিলতা তৈরি করে। হৃৎপিণ্ডের একটি ভালভ অকেজো হয়ে পড়েছে। হৃদ্‌রোগ ও ফুসফুসের সংক্রমণের চিকিৎসা চলাকালে তাঁর স্ট্রোক হয়। এখন তাঁর পরিস্থিতি সংকটজনক। তাঁর চিকিৎসা সহায়তায় আগামী শুক্রবার নাটকসরণিখ্যাত রাজধানীর বেইলি রোডের বাংলাদেশ মহিলা সমিতি মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হবে নাটক ‘হ্যাপি ডেইজ’ ।

ইতিমধ্যে ঢাকার মঞ্চে বেশ প্রশংসিত হয়েছে ফরাসি দূতাবাস প্রযোজিত মণিপুরি থিয়েটার ও হৃৎমঞ্চ পরিবেশিত ‘হ্যাপি ডেজ’ নাটকটি। স্যামুয়েল বেকেট রচিত নাটকটিতে অভিনয় করেছেন জ্যোতি সিনহা আর নির্দেশনায় শুভাশিস সিনহা।

‘হ্যাপি ডেইজ’ নাটকে জ্যোতি সিনহা। ছবি: সংগৃহীত

নির্দেশক শুভাশিস সিনহা প্রথম আলোকে জানান, শুক্রবার নাটকের প্রথম প্রদর্শনী হবে বিকেল সাড়ে ৫টায়। দ্বিতীয় প্রদর্শনী হবে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায়। টিকিটমূল্য রাখা হয়েছে ১০০, ২০০, ৩০০, ৫০০ ও ১০০০ টাকা। এ ছাড়া কেউ যদি স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে বিশেষ সহায়তামূলক দর্শনী দিতে চান, তা সাদরে গ্রহণ করা হবে। টিকিট বিক্রির সব অর্থ সুমনের সহায়তা তহবিলে দেওয়া হবে। টিকিট শোর আগে কাউন্টারে পাওয়া যাবে।

‘হ্যাপি ডেজ’ নাটকটি উইনি নামের নিঃসঙ্গ এক নারীকে কেন্দ্র করে লেখা। সে নিজের প্রেমকে ফিরে পেতে মরিয়া হয়ে ওঠে। উইনি উদ্ভট সব কল্পনায় সাজিয়ে রাখে নিজের দিনগুলো। কিন্তু সে বুঝতে পারে, সেই আনন্দের দিন মানুষের জীবনে কখনো আসে না। দুই দিনের এই আয়োজন করেছে মণিপুরি থিয়েটার।

ফরাসি দূতাবাস প্রযোজিত নাটকটি যৌথভাবে পরিবেশন করছে মণিপুরি থিয়েটার ও হৃৎমঞ্চ। ছবি: সংগৃহীত

নির্দেশক শুভাশিস সিনহা বলেন, ‘নাটকটি প্রথম প্রদর্শনীর পরই বেশ প্রশংসিত হয়। এ ছাড়া এই সময়ে মানুষ একধরনের একাকিত্বের মধ্যে বাস করছে। কল্পনায় তৈরি করে হলেও তারা একটু আনন্দ পেতে চায়। এই নাটকে সে বিষয়টি উঠে এসেছে।

‘হ্যাপি ডেজ’ নাটকের অভিজ্ঞতা নিয়ে জ্যোতি সিনহা বলেন, ‘নাটকটি আমার জন্য একটা চ্যালেঞ্জ ছিল। এতে অভিনয়ের ধরনটা আলাদা। দর্শকেরা আমাকে গ্রহণ করেছেন। দর্শকেরা গ্রহণ করলেই অভিনয়ের সার্থকতা। কাজটি করে প্রত্যেক দর্শকের ভালোবাসা পেয়েছি। তাঁরা নিজেদের ভেতরে অনুভব করেছেন এক নিঃসঙ্গ মানুষ বাস করে। আসলে এই সময়ে পৃথিবীতে সব মানুষই একা হয়ে পড়ছে এবং একা মানুষটাকে অনুভব করতে পেরেছে। সেই অনুভূতিটা আমি মানুষের কাছে পৌঁছাতে পেরেছি। এখানেই সার্থকতা।’