Thank you for trying Sticky AMP!!

একটা অভিনয় স্কুল করার স্বপ্ন দেখছি: জ্যোতি সিনহা

জ্যোতি সিনহা। ছবি: সংগৃহীত
>

প্রায় ছয় মাস বিরতির পর আজ চট্টগ্রামে মঞ্চায়িত হচ্ছে জ্যোতি সিনহা অভিনীত মণিপুরি থিয়েটারের নাটক হ্যাপি ডেজ। কমলগঞ্জে ২৫ থেকে ২৭ ডিসেম্বর হবে ও মন পাহিয়া নাটকের পাঁচটি প্রদর্শনী। বছর শেষে থিয়েটার নিয়ে ও নিজের কিছু কথা বললেন এই অভিনয়শিল্পী।

প্রায় ছয় মাস পরে ‘হ্যাপি ডেজ’–এর শো হচ্ছে...
হ্যাঁ। পাঁচ মাসের একটু বেশি। মূলত দলের নতুন নাটকের পূর্ণ প্রস্তুতির জন্যই এই বিরতি নিয়েছিলাম। নতুন নাটক ও মন পাহিয়াতে খুবই চ্যালেঞ্জিং একটা চরিত্রে কাজ করেছি। মানুষ নয়, একেবারে পাখির ভূমিকায়। ভালো লাগছে দীর্ঘ বিরতির পর ‘বিস্তার শিল্পোৎসব’-এর মতো ভিন্ন রকম এক আয়োজনে হ্যাপি ডেজ হতে যাছে। চট্টগ্রামে এই প্রথম শো।

‘ও মন পাহিয়া’র পাঁচটি প্রদর্শনী নিয়ে একক উৎসব হবে কমলগঞ্জে। রাজধানীর উৎসব আর ঢাকার বাইরের উৎসবে কোনো পার্থক্য আছে?
নাগরিক নাট্য সম্প্রদায়ের প্রণোদনায় ‘নতুনের উৎসব–২০১৯’–এ ৪ ডিসেম্বর ঢাকায় উদ্বোধনী প্রদর্শনী হয় নাটকটির। নির্দেশনায় শুভাশিস সিনহা। বেশ বড় একটা দল। নিয়মিত শো আয়োজন করা খুব মুশকিল বলেই এই টানা প্রদর্শনী। আমন্ত্রণের শো ছাড়া ঢাকা বা দূর শহরে গিয়ে শো করা খুব কঠিন। কাজটা একটু অন্য রকম। উৎসব আয়োজনে ঢাকার সঙ্গে বাইরের অনেক পার্থক্য আছে। আর্থিক বিষয়টা এখানে খুবই জরুরি। ঢাকায় পৃষ্ঠপোষক পাওয়া যায়, এখানে সেই সুযোগ কম। প্রচার–প্রচারণার জন্য বেগ পেতে হয়। তবে এখানে নানা বয়স, শ্রেণি, পেশার মানুষের সম্মিলন ঘটে। এটা খুব আনন্দের। আশা করি ২৫ থেকে ২৭ ডিসেম্বর—তিন দিন জমে উঠবে আমাদের নটমণ্ডপ।

অভিযোগ আছে, নাটক এখন কোরিওগ্রাফিভিত্তিক। উঁচুগ্রামের অভিনয় হয়। আপনি কী বলেন?
কোরিওগ্রাফি নাটকের বাইরের কোনো অংশ নয়। আবহমান বাংলার নাটক গীতনৃত্য ও নানান আঙ্গিকের সমন্বয়ে হয়েছে। কিন্তু কোরিওগ্রাফি যেন আলাদা কিছু মনে না হয়, তা যেন নাটকের ভেতরকার অনিবার্য উপাদান হয়ে ওঠে। মঞ্চনাটকের কণ্ঠপ্রক্ষেপণ খানিকটা উঁচুগ্রামেই হয়, তবে সেটা যেন চিৎকার–চেঁচামেচি না হয়ে যায়, নাটকের হারমোনি নষ্ট না করে। আসলে নির্দেশকের অভিনয়–ভাবনার ওপরও অনেক কিছু নির্ভর করে।

ভবিষ্যতে কাজের পরিকল্পনা কী?
মণিপুরি থিয়েটারের একটা অভিনয় স্কুল করার স্বপ্ন দেখছি। কয়েকজন অগ্রজ নারীশিল্পীর সাক্ষাৎকার নিয়ে একটা বই, রাসলীলার ওপর করা আমার এমফিল গবেষণাটির বই করতে চাই। নতুন একটি নাটকের কথাও ভাবছি, তবে সময় লাগবে। একটা স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রে অভিনয়ের কথা আছে। দেখা যাক, নতুন বছর জীবনে কী বার্তা নিয়ে আসে।