Thank you for trying Sticky AMP!!

এক তরুণী আমাকে জড়িয়ে ধরেছিল: নিশো

আফরান নিশো

এই সময়ের ব্যস্ত অভিনেতা আফরান নিশো। এবারের ঈদে বেশ কিছু টেলিভিশন নাটকে ব্যতিক্রমী চরিত্রে অভিনয় করে প্রশংসা কুড়িয়েছেন। ঈদের কাজ, বর্তমান নাটকের অবস্থা, বড় পর্দায় কাজ নিয়ে কথা হলো প্রথম আলোর সঙ্গে।

ঈদের কাজের সাড়া কেমন পেলেন?
এই ঈদে দর্শক টেলিভিশনে নাটক বেশি দেখেছে। রোজার ঈদের তুলনায় ইউটিউবে নাটক দেখার সংখ্যা কম, টেলিভিশনে বেশি। গত ঈদে দর্শক টেলিভিশনে বিশ্বকাপ ফুটবল দেখেছে। নাটক দেখেছে ইউটিউব ও নানা ওয়েবসাইটে। প্রতিবারই নানা রকম চরিত্র করার ইচ্ছা থাকে। যেমন রোজার ঈদে আমি করেছিলাম বুকের বাঁ পাশে। এবার ভাবলাম, একটু দায়িত্বশীল হই। একটা ছেলের জীবন শেষ হয়ে যাচ্ছে প্রেমের কারণে। প্রেমে ধাক্কা খেলেও সেখান থেকে ঘুরে দাঁড়ানোর জন্য অনুপ্রেরণার একটা গল্প বলি। সে জন্য এবার কাজ করলাম শোক হোক শক্তি নাটকে। আমাদের এখানে বেশির ভাগ নাটকই ফ্যামিলি ড্রামা। সেখান থেকে বের হয়ে করলাম লালাই। একটা গরুর সঙ্গে মানুষের সম্পর্ক নিয়ে এই নাটক। এ ছাড়া এবার তোরা মানুষ হ, লতিফ একজন জুনিয়র আর্টিস্ট, সব গল্প রূপকথা নয়সহ বেশ কিছু ভালো নাটক ছিল।

ঈদের পরে কাজ শুরু করেছেন?
না। ঈদের এক সপ্তাহ আগে একটু অসুস্থ হয়ে পড়েছিলাম। সেটা নিয়েই ঈদের কাজগুলো করেছি। এখন বিশ্রামে আছি।

এই সময়ের নাটক নিয়ে কিছু বলবেন?
শিল্পীর দায়িত্ব দর্শকের রুচি তৈরি করা। দর্শক যা দেখতে চান, সেটা তৈরি না করে, আমরা যা দেখাতে চাই, তা বানানো জরুরি। অনেক সময় দেখা যায়, খুব মানসম্মত নয় এমন জিনিসেরও কোটি কোটি ‘ভিউ’ হয় ইউটিউবে। তাই দর্শককে ভালো নাটক দেখতে অভ্যস্ত করতে হবে।

‘ভিউ’ কি এখন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ?
অনেক সময় দেখা যায়, নাটক দেখার পর ‘ভিউ’ গুরুত্বপূর্ণ হয়ে দাঁড়ায়। তবে এটা নিয়ে চিন্তিত হওয়ার দরকার নেই। দর্শকের রুচি একটা জায়গায় সেট হয়ে গেলে দেখা যাবে যে ভালো জিনিসগুলোও বেশি দেখা হচ্ছে। দেখার পরিমাণ নাটকের মানের নির্ধারক নয়। অনেক বস্তা পচা নাটক মানুষ দেখছে। কিন্তু অনেক ভালো নাটকও অনেকে দেখেনি। তবে দেখা বেশি হলে ভালো লাগে।

বড় পর্দায় অভিনয়ের ইচ্ছা আছে কি?
বড় পর্দায় অভিনয়ের আলোচনা চলছে। তবে একটা হতাশার দিক আছে সিনেমা নিয়ে। আগে মা-খালারা নিয়মিত সিনেমা দেখতেন। এখন আমার পরিচিতদের মধ্যে কেউ নিয়মিত সিনেমা দেখতে যায় না। হয়তো বছরে দুবার যায়। তা-ও আবার মাল্টিপ্লেক্সগুলোতে। তাই পেশাদার মনোভাব নিয়ে এই ইন্ডাস্ট্রিতে আসা মানে ঝুঁকি নেওয়া। বছরে একটি বা দুটি কাজ করে টিকে থাকা খুব কঠিন। আমাকে পাশাপাশি নাটকও চালিয়ে যেতে হবে। এটা আমি করতে চাই না। আবার টিকে থাকার জন্য যেসব সিনেমায় অভিনয় করতে হবে, সেগুলোও আমি ধারণ করি না। তারপরও সিনেমায় অভিনয় করা আমার প্রথম পছন্দ। বয়স হয়ে গেলে নাহয় বৃদ্ধের চরিত্রে অভিনয় করব। তারপরও যেন আমি আমার কাজ নিয়ে গর্ব করে বলতে পারি, এটা আমার সিনেমা।

নিশো যখন রেগে যায়...
অনেক চিৎকার করে। পাঁচ মিনিট পরে ঠিক হয়ে যায়।

অভিনয় করতে পারছেন না, তখন কী করবেন?
তারপরও চেষ্টা করব অভিনয় করা যায় কি না। সমস্যাগুলো সমাধান করব। যদি এমন হয় যে একদমই শারীরিক বা অন্য কোনো কারণে অভিনয় করতে পারছি না, তখন গল্প লিখব। অভিনয় পুরোপুরি না করতে পারলে হয়তো মারাই যাব!

জীবনে ঘটা সবচেয়ে বিব্রতকর মুহূর্ত?
আমার স্ত্রীকে নিয়ে একবার ব্যাংকক গিয়েছিলাম। তখন আমার স্ত্রী ও কিছু আত্মীয়র ঘোরাঘুরি ভিডিও করছিলাম আমি। হঠাৎ তাদের সামনেই এক তরুণী আমাকে জড়িয়ে ধরল! সেটা খুব বিব্রতকর ছিল।