Thank you for trying Sticky AMP!!

ওটা একটা দুষ্টুমি ছিল

মনোজ কুমার
>
  • টেলিভিশন ও মঞ্চ মাতিয়ে রেখেছিলেন মনোজ কুমার।
  • শেষ করেছেন মোস্তফা সরয়ার ফারুকীর ‘শনিবার বিকেল’ ছবির কাজ।
  • আমি কখনো বোবা চরিত্রে অভিনয় করিনি।

‘ক্লোজআপ কাছে আসার গল্প’র ‘শহরে নতুন গান’ ও মঞ্চ নাটক ‘নিখোঁজ সংবাদ’-এ অভিনয় করে গত সপ্তাহে টেলিভিশন ও মঞ্চ মাতিয়ে রেখেছিলেন মনোজ কুমার। শেষ করেছেন মোস্তফা সরয়ার ফারুকীর ‘শনিবার বিকেল’ ছবির কাজ। কথা হলো এই অভিনেতার সঙ্গে।

কয়েক বছর আগে আপনি ক্লোজআপের বিজ্ঞাপনে মডেল ছিলেন। এবার নাটকে অভিনয় করলেন। কেমন লাগছে?
২০১৩ সালে মডেল হয়েছিলাম। সেটা প্রচারিত হয়েছে ২০১৪ সালে। ওই সময় থেকেই আমার ইচ্ছা ছিল ক্লোজআপের নাটকে কাজ করার, কিন্তু সুযোগ হয়নি। এত দিন পরে তাঁরা নিশ্চয় ভেবেছেন বলেই আমাকে নিয়েছেন। আমি কৃতজ্ঞ।

মঞ্চেও করলেন ‘নিখোঁজ সংবাদ’ নাটকটি। কোনটাতে কেমন সাড়া পেলেন?
আমি কখনো বোবা চরিত্রে অভিনয় করিনি। শহরে নতুন গান নাটকে এমন চরিত্রে অভিনয় আমার জন্য চ্যালেঞ্জিং ছিল। তবে প্রচারিত হওয়ার পর সবাই বেশ পছন্দ করেছেন। মঞ্চের ব্যাপারে বলব, আমি যখন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে নাট্যতত্ত্ব বিভাগের শিক্ষার্থী ছিলাম, তখন মঞ্চ নাটকে অভিনয় করেছি। মোটামুটি ১০ বছর পর আবার মঞ্চে অভিনয় করলাম। টানা দেড়-দুই ঘণ্টা মঞ্চে থাকা এবং একটা চরিত্রকে ধারণ করা সত্যিই কঠিন ছিল আমার জন্য। তবে শো শেষ করে সবার প্রশংসা শুনে ভালো লেগেছে।

নতুন কোনো কাজ?
দুটি চলচ্চিত্রে অভিনয়ের ব্যাপারে কথা হচ্ছে। চূড়ান্তই বলা যায়। আশা করছি সিনেমা দুটি করব। আর মঞ্চের শো তো চলবে। এক ঘণ্টার টেলিভিশন নাটক করা হবে কিছু।

আপনি কাজ খুব কম করেন। কারণ কী? কাজ পান না, নাকি অন্য কোনো কারণ?
আমি একটা চাকরি করি। তাই চাইলেও একটানা ধারাবাহিক নাটক করতে পারি না। গল্প ও চিত্রনাট্য পছন্দ হলেই এক ঘণ্টার নাটক করি। তবে আমার মূল লক্ষ্য চলচ্চিত্রে অভিনয়। মোস্তফা সরয়ার ফারুকীর শনিবার বিকেল-এ অভিনয় করে সেটা শুরু হলো।

আপনি চাকরি করেন, অভিনয় করেন আবার কিছুদিন পরিচালনার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। আপনার আসল পরিচয় কোনটা?
আমি আসলে জীবনে মনোজ কুমার হতে চেয়েছি। আর কিছু না। আমার সবগুলোই ভালো লাগে এ কারণে করি। সব সময় আমার চিন্তা হলো, অন্যের ক্ষতি হবে না, বিরক্তির কারণ হবে না, আমার ভালো লাগবে এমন যা কিছু আছে সবই করতে চাই।

কিছুদিন আগে ফেসবুকে একজনের ছবি দিয়ে ক্যাপশন লিখেছিলেন, ‘আমার ভালোবাসা!’ তিনি কে?
আমি আসলে এখনই এ ব্যাপারে কিছু বলতে চাই না। এটা একান্ত ব্যক্তিগত বিষয়। শুধু এটুকু বলি, ওটাকে এত সিরিয়াসলি নেওয়ার কিছু নেই। ওটা একটা দুষ্টুমি ছিল।

সাক্ষাৎকার: হাবিবুল্লাহ সিদ্দিক