Thank you for trying Sticky AMP!!

কুইজ আমার সব সময়ই ভালো লাগে: সুবর্ণা মুস্তাফা

সুবর্ণা মুস্তাফা
>

‘কুইজিং টাইম’ নামে একটি অনুষ্ঠানের উপস্থাপনা করছেন অভিনেত্রী সুবর্ণা মুস্তাফা। এটা প্রচারিত হবে আজ নিউজ টোয়েন্টি ফোর চ্যানেলে রাত ১১টায়। পাশাপাশি কাজ করছেন ফাখরুল আরেফীন খানের ‘গণ্ডি’ সিনেমা ও জোবায়ের ইবনে বকরের ‘লীলাবতী’ সিনেমায়। শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের ‘পল্লীসমাজ’ উপন্যাস অবলম্বনে তৈরি হচ্ছে ‘লীলাবতী’। এ ছাড়া তাঁর বর্তমান ব্যস্ততা নিয়ে কথা বললেন প্রথম আলোর সঙ্গে।

আবার কুইজের অনুষ্ঠানে আপনি। কেন অভিনয় ছেড়ে কুইজের সঙ্গে জড়ালেন নিজেকে?
কুইজ আমার সব সময়ই ভালো লাগে। আগে এনটিভিতে মেধাবী নামে একটি কুইজ অনুষ্ঠান করেছিলাম বিবিসির মাস্টারমাইন্ডের আদলে। সেটা অবশ্য বেশ কঠিন ছিল। এটা অতটা কঠিন নয়।

কী থাকবে এই অনুষ্ঠানে?
এটা হবে অনেকটা বিষয়ভিত্তিক। সব মিলিয়ে থাকবে পাঁচটা রাউন্ড। প্রথম চারটা বিষয়ভিত্তিক, যার নাম ‘প্রিয় বাংলাদেশ’, ‘প্রযুক্তির জানালা’, ‘বিশ্ব সংস্কৃতি’ ও ‘বাংলার ধাঁধা’। শেষে ঝটপট উত্তর। এখানে অংশ নেবে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছেলেমেয়েরা। দলগত নয়, একক।

কুইজের অনুষ্ঠান হওয়া দরকার বলে মনে করেন?
কুইজ নিয়ে আমার আগ্রহ আজকের নয়। জানা-অজানা তথ্য মানুষকে বিকশিত করে তোলে। এখন তো স্কুল-কলেজে সাধারণ জ্ঞানের অবস্থা খুব করুণ। কুইজ, বিতর্ক স্কুল-কলেজে আরও ছড়িয়ে দিতে পারলে ভালো হয়।

আপনি তো আবার সিনেমা নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন। পরপর দুটো ছবিতে অভিনয় করবেন বলে চুক্তি করলেন...
হ্যাঁ, দুটো নতুন ছবি। একটা জুবায়েরের। শরৎচন্দ্রের ‘পল্লীসমাজ’ নিয়ে ‘লীলাবতী’। অন্যটা ফাখরুলের ‘গণ্ডি’। ওটাতে সব্যসাচী অভিনয় করবে আমার বিপরীতে। সব্যসাচীর সঙ্গে ছবিটির গল্প আমার খুব পছন্দ হয়েছে। আসলে এই বয়সের লোকজনকে কেন্দ্র করে যে গল্প হচ্ছে, তা দেখে খুব ভালো লাগল। আমাদের দেশে তো এ রকম করে ভাবাই হয় না। আরেফীন ভেবেছে।

চলচ্চিত্রের অবস্থা তো ভালো নয়। আশার আলো দেখছেন কি?
হ্যাঁ, সেটা তো নানা কারণেই। আমাদের দেশের মানুষ সিনেমা হলে যাওয়ার মতো অবস্থায় কি আছে? সিনেমা হলগুলোই তো সব বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। একটা ছবি খুব ব্যবসা করলে চলচ্চিত্রশিল্প ঘুরে দাঁড়ায় না। সব ছবিকেই মোটামুটি ব্যবসা করতে হয়। বাংলাদেশে সেটা সম্ভব। কিন্তু সিনেমা হলই তো নেই। এখন তো ৩৫ মিলিমিটারে ছবি তৈরি হয় না। ডিজিটালি তৈরি হয়। সেটা চালাতে হলে মেশিন লাগে, তার ভাড়া দিতে হয়। সব হলে সেই সিস্টেম থাকে না। এ ছাড়া অনেক ধরনের সমস্যা রয়েছে। সিনেপ্লেক্স ছাড়া আর কারও কোনো দায়বদ্ধতা নেই।

মোবাইল ফোন, ল্যাপটপে ছবি দেখতে পারাটাও কি একটা কারণ?
আমি তা মনে করি না। দেশে সিনেমা থাকবে। প্রযুক্তির সঙ্গে যুদ্ধ করে লাভ নেই। সেটা বিকশিত হবেই। কিন্তু টেলিভিশন এসেছে বলে কি থিয়েটার হচ্ছে না? ব্রডওয়ে কি শেষ হয়ে গেছে? ব্যাপারটা ও রকম। যারা সিনেমা হলে গিয়ে সিনেমা দেখতে ভালোবাসে, তারা সিনেমা হলে গিয়েই সিনেমা দেখবে। সব সিনেমাই সাংঘাতিক উচ্চমার্গের হতে হবে, এমন কোনো কথা নেই। নাচে-গানে ভরপুর ছবি, যা সাধারণ মানুষ দেখে খুশি হয়, তা হতে সমস্যা কী? আমি তো কোনো সমস্যা দেখি না।